মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। স্থানীয় সময় সোমবার (২৫ মার্চ) অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী বাংলাদেশে ইসলামিক চরমপন্থি হামলা, সাংবাদিক গ্রেপ্তার এবং মুক্ত সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন করেন। তবে এসব প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি নবনিযুক্ত মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস।
প্রশ্নকারী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান সম্প্রতি ইসলামিক চরমপন্থি হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি জানতে চান, সন্ত্রাসবাদ দমনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে আরেকটি আফগানিস্তানে পরিণত হওয়া থেকে রোধ করতে দেশটি কী পদক্ষেপ নিচ্ছে।
একইসঙ্গে, বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের অধীনে সাংবাদিকদের বেআইনি কারাদণ্ডের বিষয়টি কীভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়।
জবাবে ব্রুস বলেন, “আমরা এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হই। আমরা অন্যান্য দেশগুলোর বিষয়ে কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবি। আমাদের একটি প্রশাসন রয়েছে, একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন যিনি কূটনৈতিক সমাধানের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের প্রেসিডেন্ট বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে চলার বিষয়ে প্রত্যেক দেশের কাছ থেকে আমরা সচেতনতা ও ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা করি।”
এর আগে, এক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। এক প্রশ্নকারী বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি নিয়ে কী মূল্যায়ন এবং তিনি কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?”
এ বিষয়ে ব্রুস বলেন, “সরকারের কূটনৈতিক আলোচনার বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করা সম্ভব নয়। কোনো নির্দিষ্ট দেশে কী ঘটছে সে সম্পর্কে অনুমান করাও সম্ভব নয়। তবে আমাদের প্রশাসন এই বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে দেখে।”
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য না আসলেও ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গভীর পর্যবেক্ষণ স্পষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।