ঢাকা ০১:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ইউএসটিসিতে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার ও ফ্রি স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে ইকবাল হত্যার বিচার ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন মৌলভীবাজার পৈলভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে দুর্নীতি: ঠিকাদারের সাথে এলজিইডি কর্মকর্তারা জড়িত জাতীয় আইন সহায়তা দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদী ভাঙনে ১৫টি ঘর বিলীন, দেড়শ পরিবার নিঃস্ব জয়পুরহাটে স্কুল ছাত্র কাফি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ নবীনগর ভূমি অফিসে ‘ভুয়া পরিচয়ে’ ৮ বছর চাকরির অভিযোগ এক ইউএনও জমি দিলো, আরেক ইউএনও কেড়ে নিলো রাস্তার পাশে পড়েছিল শিশুর মাথা থেঁতলানো লাশ নিখোঁজের একদিন পর রেললাইনের পাশ থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার, স্ত্রী ও স্বজনদের অভিযোগ পরিকল্পিত হত্যা মির্জাপুর জমি নিয়ে সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত, স্ত্রী ও ছেলে আহত জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র নিখোঁজের নয়দিন পর পরিত্যক্ত ডোবায় লাশ উদ্ধার

মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদী ভাঙনে ১৫টি ঘর বিলীন, দেড়শ পরিবার নিঃস্ব

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের ছিক্কাগাঁও গ্রামে কুশিয়ারা নদী ভাঙনে ১৫টি ঘর বিলীন হয়ে গেছে। এতে প্রায় দেড়শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, গ্রামের অধিকাংশ জায়গা নদীতে ধসে পড়েছে। কিছু ঘরবাড়ি মাটির নিচে চাপা পড়ে গেছে। দিনমজুর হিসেবে কাজ করা মানুষগুলো ঘর হারিয়ে খড়কুটো দিয়ে তৈরি সামান্য আশ্রয়ে দিন কাটাচ্ছেন। ভাঙনের ঘটনায় দেড় মাস পার হলেও জেলা প্রশাসন বা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কোনো সহায়তা বা সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়নি বলে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উত্তরভাগ ইউনিয়নের জুগিকোনা, কেশরপাড়া, সুনামপুর, উমরপুর, বেড়কুড়ি ও শাহাপুর গ্রামের পাড় ভেঙে আরও প্রায় ৫০টি ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সবমিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৫ কোটি টাকার মতো হবে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এর মধ্যে ছিক্কাগাঁও গ্রামের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ কোটি টাকা।

ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত আছমা বেগম বলেন, “আমরা দিন আনি দিন খাই, এখন জমি কিনে ঘর বানানোর কোনো সামর্থ্য নেই।” এনামুল হক, তকবির মিয়া ও সেলিনা বেগম জানান, “মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকুও হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বাস করছি। কারও কোনো সহযোগিতা পাইনি।”

আরেক বাসিন্দা আরকান আলী জানান, “যতটুকু এলাকা ভেঙেছে, তা এখনই ব্লকের আওতায় না আনলে আরও অনেক অংশ নদীতে তলিয়ে যাবে।”

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদ বিন অলীদ বলেন, “কালারবাজারসহ সংশ্লিষ্ট ভাঙনকবলিত এলাকা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। এলাকাগুলো ব্লকের আওতায় আনার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।”

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউএসটিসিতে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার ও ফ্রি স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

Verified by MonsterInsights

মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদী ভাঙনে ১৫টি ঘর বিলীন, দেড়শ পরিবার নিঃস্ব

আপডেট সময় ০৬:০৫:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের ছিক্কাগাঁও গ্রামে কুশিয়ারা নদী ভাঙনে ১৫টি ঘর বিলীন হয়ে গেছে। এতে প্রায় দেড়শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, গ্রামের অধিকাংশ জায়গা নদীতে ধসে পড়েছে। কিছু ঘরবাড়ি মাটির নিচে চাপা পড়ে গেছে। দিনমজুর হিসেবে কাজ করা মানুষগুলো ঘর হারিয়ে খড়কুটো দিয়ে তৈরি সামান্য আশ্রয়ে দিন কাটাচ্ছেন। ভাঙনের ঘটনায় দেড় মাস পার হলেও জেলা প্রশাসন বা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কোনো সহায়তা বা সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়নি বলে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উত্তরভাগ ইউনিয়নের জুগিকোনা, কেশরপাড়া, সুনামপুর, উমরপুর, বেড়কুড়ি ও শাহাপুর গ্রামের পাড় ভেঙে আরও প্রায় ৫০টি ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সবমিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৫ কোটি টাকার মতো হবে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এর মধ্যে ছিক্কাগাঁও গ্রামের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ কোটি টাকা।

ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত আছমা বেগম বলেন, “আমরা দিন আনি দিন খাই, এখন জমি কিনে ঘর বানানোর কোনো সামর্থ্য নেই।” এনামুল হক, তকবির মিয়া ও সেলিনা বেগম জানান, “মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকুও হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বাস করছি। কারও কোনো সহযোগিতা পাইনি।”

আরেক বাসিন্দা আরকান আলী জানান, “যতটুকু এলাকা ভেঙেছে, তা এখনই ব্লকের আওতায় না আনলে আরও অনেক অংশ নদীতে তলিয়ে যাবে।”

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদ বিন অলীদ বলেন, “কালারবাজারসহ সংশ্লিষ্ট ভাঙনকবলিত এলাকা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। এলাকাগুলো ব্লকের আওতায় আনার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।”