ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
এক ইউএনও জমি দিলো, আরেক ইউএনও কেড়ে নিলো রাস্তার পাশে পড়েছিল শিশুর মাথা থেঁতলানো লাশ নিখোঁজের একদিন পর রেললাইনের পাশ থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার, স্ত্রী ও স্বজনদের অভিযোগ পরিকল্পিত হত্যা মির্জাপুর জমি নিয়ে সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত, স্ত্রী ও ছেলে আহত জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র নিখোঁজের নয়দিন পর পরিত্যক্ত ডোবায় লাশ উদ্ধার লালপুরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৪ নারীসহ আহত ১০, আশঙ্কাজনক ১ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৯৯টি ককটেল ও ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার বগুড়ায় করতোয়া নদীর ধারে মুখ ঝলসানো অর্ধগলিত লাশ পিরিজপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকি: অভিযুক্ত বিএনপি নেতার ছেলে লালপুরে আইনজীবীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ৩জন আহত বগুড়ায় ‘লাশ উত্তোলনের নামে’ প্রতারণা, তিন ভাই গ্রেপ্তার সিংড়ায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা

সাংবাদিককে হুমকি: ‘আমি জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১৭ বছর পর কাজ পেয়েছি’

পটুয়াখালীর বাউফল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও দেশ রূপান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ সিদ্দিকুর রহমানকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির সোহাগ। গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে তার অধীনে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চলমান কাজের তথ্য চাইলে তিনি ওই হুমকি দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ ধরনের একটি অডিও ফাঁস হলে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়।

ওই অডিওতে তিনি বলেন, সাংবাদিকের পরিচয় জানার পর, “আমি জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ১৭ বছর পর একটি কাজ পেয়েছি। তুই কাজের সাইটে গেলি ক্যা? কিসের জন্য যাবি? অনিয়ম করলে অফিস দেখবে, আপনি কেন যাবেন? আপনি কি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার? সাংবাদিকদের কাজ কি সাইটে? সাইটে খোঁট খাইতে যাও? আমি আসতেছি, তুই ওখানে থাক। খোঁট খাওয়াইতে আছি, তুই থাক। তুই অফিসে যোগাযোগ কর। ফইজলামি ছড়াও? তুই সাংবাদিক, অন্য কাজ কর। সাইটে গেলে তোকে কী করতে হবে সেটা দেখাইতেছি। আচ্ছা, তুই থাক, আমি বাউফল আসতেছি, তুই থাক। তোকে দেখে নেব।” — বলে ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে সাংবাদিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাউফলের পশ্চিম নুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে ঠিকাদার সোহাগ নামের পটুয়াখালী ভিত্তিক ঠিকাদারকে ফোন করলে তিনি আমাকে ওই হুমকি প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

অভিযুক্ত সোহাগ বলেন, ওই বক্তব্য আমার না। আমার মোবাইল থেকে অন্য কেউ কথা বলেছে। অথচ ওই নাম্বার থেকে তিনি সাংবাদিকের কাছে একাধিকবার ফোন করে ক্ষমা চেয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন বলেন, “সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তাদের পেশাগত কাজে কেউ বাধা দিতে বা হুমকি দিতে পারবে না। যুবদল সেটা সমর্থন করে না। এমন ঘটনা ঘটলে

One thought on “সাংবাদিককে হুমকি: ‘আমি জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১৭ বছর পর কাজ পেয়েছি’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এক ইউএনও জমি দিলো, আরেক ইউএনও কেড়ে নিলো

Verified by MonsterInsights

সাংবাদিককে হুমকি: ‘আমি জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১৭ বছর পর কাজ পেয়েছি’

আপডেট সময় ১১:৩১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

পটুয়াখালীর বাউফল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও দেশ রূপান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ সিদ্দিকুর রহমানকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির সোহাগ। গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে তার অধীনে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চলমান কাজের তথ্য চাইলে তিনি ওই হুমকি দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ ধরনের একটি অডিও ফাঁস হলে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়।

ওই অডিওতে তিনি বলেন, সাংবাদিকের পরিচয় জানার পর, “আমি জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ১৭ বছর পর একটি কাজ পেয়েছি। তুই কাজের সাইটে গেলি ক্যা? কিসের জন্য যাবি? অনিয়ম করলে অফিস দেখবে, আপনি কেন যাবেন? আপনি কি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার? সাংবাদিকদের কাজ কি সাইটে? সাইটে খোঁট খাইতে যাও? আমি আসতেছি, তুই ওখানে থাক। খোঁট খাওয়াইতে আছি, তুই থাক। তুই অফিসে যোগাযোগ কর। ফইজলামি ছড়াও? তুই সাংবাদিক, অন্য কাজ কর। সাইটে গেলে তোকে কী করতে হবে সেটা দেখাইতেছি। আচ্ছা, তুই থাক, আমি বাউফল আসতেছি, তুই থাক। তোকে দেখে নেব।” — বলে ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে সাংবাদিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাউফলের পশ্চিম নুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে ঠিকাদার সোহাগ নামের পটুয়াখালী ভিত্তিক ঠিকাদারকে ফোন করলে তিনি আমাকে ওই হুমকি প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

অভিযুক্ত সোহাগ বলেন, ওই বক্তব্য আমার না। আমার মোবাইল থেকে অন্য কেউ কথা বলেছে। অথচ ওই নাম্বার থেকে তিনি সাংবাদিকের কাছে একাধিকবার ফোন করে ক্ষমা চেয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন বলেন, “সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তাদের পেশাগত কাজে কেউ বাধা দিতে বা হুমকি দিতে পারবে না। যুবদল সেটা সমর্থন করে না। এমন ঘটনা ঘটলে