ঢাকা ১০:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
এক ইউএনও জমি দিলো, আরেক ইউএনও কেড়ে নিলো রাস্তার পাশে পড়েছিল শিশুর মাথা থেঁতলানো লাশ নিখোঁজের একদিন পর রেললাইনের পাশ থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার, স্ত্রী ও স্বজনদের অভিযোগ পরিকল্পিত হত্যা মির্জাপুর জমি নিয়ে সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত, স্ত্রী ও ছেলে আহত জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র নিখোঁজের নয়দিন পর পরিত্যক্ত ডোবায় লাশ উদ্ধার লালপুরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৪ নারীসহ আহত ১০, আশঙ্কাজনক ১ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৯৯টি ককটেল ও ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার বগুড়ায় করতোয়া নদীর ধারে মুখ ঝলসানো অর্ধগলিত লাশ পিরিজপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকি: অভিযুক্ত বিএনপি নেতার ছেলে লালপুরে আইনজীবীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ৩জন আহত বগুড়ায় ‘লাশ উত্তোলনের নামে’ প্রতারণা, তিন ভাই গ্রেপ্তার সিংড়ায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আওয়ামী দোসর ও রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো. নাশির উদ্দিনের নাম প্রকল্প পরিচালক হিসেবে মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করায় নিরেপক্ষ প্রকৌশলীদের আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তুতি।

  • বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ১২:১৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ৬২২ বার পড়া হয়েছে

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রাজশাহী জেলার সাবেক আওয়ামী পন্থী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাশির উদ্দিন প্রায় তিন বছর তার ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এলজিইডির সুনাম ধবংস করে ফেলেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মো. নাশির উদ্দিন দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ ও আড়াই হাজার উপজেলায় উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সে সময়ের আওয়ামীলীগের সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (নারায়ণগঞ্জ-১) এবং নজরুল ইসলাম বাবুর (নারায়ণগঞ্জ-২) ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে টেন্ডারবাজী ও নির্মাণ কাজের তদারকিতে ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এবং নিজেকে একজন খাঁটি আওয়ামী লীগার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। তার ফলশ্রুতিতে তৎকালীন দুর্নীতিগ্রস্ত স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে ৫০ লক্ষ টাকা উৎকোচ প্রদানের মাধ্যমে জ্যেষ্ঠতাক্রম ভঙ্গ করে বিভাগীয় শহর রাজশাহী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে পদায়িত হয়েছিলেন।

রাজশাহী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদানের পর হতেই টেন্ডার বাণিজ্য, নিম্নমানের কাজের বিল প্রদান এবং নানা রকম অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। নাশির নিজেকে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের (পলাতক) ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হওয়ায় ডিপার্টমেন্ট তার বিরুদ্ধে কোনো রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। সে রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন বলে সকল ঠিকাদারকে সে ভয় দেখাতেন।

পরবর্তীতে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ এলজিইডির সভাপতি মো. আলী আকতার হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর একই এলাকার মানুষ হিসেবে মো. নাশির উদ্দিনের ক্ষমতার পরিধি চরমভাবে বৃদ্ধি পায়। আলি আখতার হোসেনের দুর্নীতির সহযোগী হিসেবে রাজশাহী বিভাগের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, বদলি বাণিজ্যসহ নানা রকম দুর্নীতির মহোৎসব শুরু হয়।

রাজশাহী জেলায় চলমান RCIP, SupRB, GOB Maintenance সহ বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় বিশেষত বাঘা ও চারঘাট উপজেলায় ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে নিম্নমানের কাজের বিপরীতে বিল প্রদানসহ বিভিন্ন আইটেমের কাজ না করা সত্ত্বেও বিল প্রদান করেন তিনি।

৫ই আগস্ট, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আওয়ামী দুঃশাসনের অবসান হলেও মো. আলী আকতার হোসেন এর বদৌলতে মো. নাশির উদ্দিন স্বপদে বহাল থাকে। এতে রাজশাহীর বঞ্চিত ঠিকাদারদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকার ঠিকাদারদের সাথে কথা বলে প্রায় একই রকম বক্তব্য পাওয়া যায়। বিভিন্ন ঠিকাদারের সাথে কথা বলে জানা যায়, মো. নাশির উদ্দিন রাজশাহী এলজিইডিতে যোগদানের পর হতে প্রায় ৩ বছর আওয়ামী ঠিকাদার ছাড়া অন্য কেউ কাজ পাওয়া তো দূরের কথা অফিসের বারান্দায় পা পর্যন্ত রাখতে পারেননি তারা। এরপরও সে এখন পর্যন্ত এখানে কীভাবে টিকে ছিলেন তা এক বিস্ময়ের ব্যাপার ছিলো!

জানা যায়, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আকতার হোসেন রাজশাহী জেলায় তার শেষ মিটিং করার পর প্রায় ১৫ দিন পলাতক থাকা অবস্থায় ২০ অক্টোবর, ২০২৪ তার চাকুরির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে থেকে এলজিইডিকে অস্থিতিশীল করে বর্তমান সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তার এ সকল কর্মকান্ডের প্রধান সহযোগী প্রকৌশলী মো. নাশির উদ্দিন।

এলজিইডির আওয়ামী পন্থীদের ঐক্যবদ্ধ করা এবং এলজিইডিতে চলমান আন্দোলনে অর্থের যোগানদাতা হিসেবে গোপনে সরকারবিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে যে সকল আওয়ামী প্রকৌশলী তাঁর মধ্যে তিনি অন্যতম। তার প্রমাণ পাওয়া যায় সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আকতার হোসেন প্রধান প্রকৌশলীর পদের মেয়াদ শেষের পর আত্মগোপনে থাকলে গত ২০ নভেম্বর, ২০২৪ গোপনে রাজশাহীতে এসে শুধুমাত্র মো. নাশির উদ্দিনের সাথে গোপন শলাপরামর্শ করেছেন।

এ ব্যাপারে এলজিইডির বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন রাজশাহীর আপামর ঠিকাদারবৃন্দ। তারা বলেন, এই দুর্নীতিগ্রস্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাশির উদ্দিনের বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে দুর্নীতি ও অপকর্মের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এলজিইডির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রকৌশলী বাংলাদেশ সময়কে জানান,আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছি তাঁকে ১০০ মিটার আনডার হানড্রেড ব্রীজ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দেয়ার জন্য মন্ত্রনালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।দীর্ঘ বছর ধরে বঞ্চিত ও বৈষম্যের স্বীকার অনেক যোগ্য প্রকৌশলী থাকার পরেও তাঁর নাম প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেয়ার সুপারিশ করায় আমরা শংকিত। এলজিইডিতে এখনো বড় বড় প্রকল্পগুলোর দায়িত্বে বহাল আছেন সাবেক দূর্নীতিবাজ স্হানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম তথা আওয়ামী অনুসারী প্রকৌশলী। তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে এলজিইডি ভবনে যে কোন সময় নিরেপক্ষ প্রকৌশলীগন আন্দোলনে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাশির উদ্দিন এর মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এক ইউএনও জমি দিলো, আরেক ইউএনও কেড়ে নিলো

Verified by MonsterInsights

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আওয়ামী দোসর ও রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো. নাশির উদ্দিনের নাম প্রকল্প পরিচালক হিসেবে মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করায় নিরেপক্ষ প্রকৌশলীদের আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তুতি।

আপডেট সময় ১২:১৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রাজশাহী জেলার সাবেক আওয়ামী পন্থী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাশির উদ্দিন প্রায় তিন বছর তার ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এলজিইডির সুনাম ধবংস করে ফেলেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মো. নাশির উদ্দিন দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ ও আড়াই হাজার উপজেলায় উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সে সময়ের আওয়ামীলীগের সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (নারায়ণগঞ্জ-১) এবং নজরুল ইসলাম বাবুর (নারায়ণগঞ্জ-২) ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে টেন্ডারবাজী ও নির্মাণ কাজের তদারকিতে ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এবং নিজেকে একজন খাঁটি আওয়ামী লীগার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। তার ফলশ্রুতিতে তৎকালীন দুর্নীতিগ্রস্ত স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে ৫০ লক্ষ টাকা উৎকোচ প্রদানের মাধ্যমে জ্যেষ্ঠতাক্রম ভঙ্গ করে বিভাগীয় শহর রাজশাহী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে পদায়িত হয়েছিলেন।

রাজশাহী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদানের পর হতেই টেন্ডার বাণিজ্য, নিম্নমানের কাজের বিল প্রদান এবং নানা রকম অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। নাশির নিজেকে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের (পলাতক) ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হওয়ায় ডিপার্টমেন্ট তার বিরুদ্ধে কোনো রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। সে রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন বলে সকল ঠিকাদারকে সে ভয় দেখাতেন।

পরবর্তীতে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ এলজিইডির সভাপতি মো. আলী আকতার হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর একই এলাকার মানুষ হিসেবে মো. নাশির উদ্দিনের ক্ষমতার পরিধি চরমভাবে বৃদ্ধি পায়। আলি আখতার হোসেনের দুর্নীতির সহযোগী হিসেবে রাজশাহী বিভাগের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, বদলি বাণিজ্যসহ নানা রকম দুর্নীতির মহোৎসব শুরু হয়।

রাজশাহী জেলায় চলমান RCIP, SupRB, GOB Maintenance সহ বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় বিশেষত বাঘা ও চারঘাট উপজেলায় ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে নিম্নমানের কাজের বিপরীতে বিল প্রদানসহ বিভিন্ন আইটেমের কাজ না করা সত্ত্বেও বিল প্রদান করেন তিনি।

৫ই আগস্ট, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আওয়ামী দুঃশাসনের অবসান হলেও মো. আলী আকতার হোসেন এর বদৌলতে মো. নাশির উদ্দিন স্বপদে বহাল থাকে। এতে রাজশাহীর বঞ্চিত ঠিকাদারদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকার ঠিকাদারদের সাথে কথা বলে প্রায় একই রকম বক্তব্য পাওয়া যায়। বিভিন্ন ঠিকাদারের সাথে কথা বলে জানা যায়, মো. নাশির উদ্দিন রাজশাহী এলজিইডিতে যোগদানের পর হতে প্রায় ৩ বছর আওয়ামী ঠিকাদার ছাড়া অন্য কেউ কাজ পাওয়া তো দূরের কথা অফিসের বারান্দায় পা পর্যন্ত রাখতে পারেননি তারা। এরপরও সে এখন পর্যন্ত এখানে কীভাবে টিকে ছিলেন তা এক বিস্ময়ের ব্যাপার ছিলো!

জানা যায়, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আকতার হোসেন রাজশাহী জেলায় তার শেষ মিটিং করার পর প্রায় ১৫ দিন পলাতক থাকা অবস্থায় ২০ অক্টোবর, ২০২৪ তার চাকুরির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে থেকে এলজিইডিকে অস্থিতিশীল করে বর্তমান সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তার এ সকল কর্মকান্ডের প্রধান সহযোগী প্রকৌশলী মো. নাশির উদ্দিন।

এলজিইডির আওয়ামী পন্থীদের ঐক্যবদ্ধ করা এবং এলজিইডিতে চলমান আন্দোলনে অর্থের যোগানদাতা হিসেবে গোপনে সরকারবিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে যে সকল আওয়ামী প্রকৌশলী তাঁর মধ্যে তিনি অন্যতম। তার প্রমাণ পাওয়া যায় সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আকতার হোসেন প্রধান প্রকৌশলীর পদের মেয়াদ শেষের পর আত্মগোপনে থাকলে গত ২০ নভেম্বর, ২০২৪ গোপনে রাজশাহীতে এসে শুধুমাত্র মো. নাশির উদ্দিনের সাথে গোপন শলাপরামর্শ করেছেন।

এ ব্যাপারে এলজিইডির বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন রাজশাহীর আপামর ঠিকাদারবৃন্দ। তারা বলেন, এই দুর্নীতিগ্রস্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাশির উদ্দিনের বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে দুর্নীতি ও অপকর্মের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এলজিইডির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রকৌশলী বাংলাদেশ সময়কে জানান,আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছি তাঁকে ১০০ মিটার আনডার হানড্রেড ব্রীজ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দেয়ার জন্য মন্ত্রনালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।দীর্ঘ বছর ধরে বঞ্চিত ও বৈষম্যের স্বীকার অনেক যোগ্য প্রকৌশলী থাকার পরেও তাঁর নাম প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেয়ার সুপারিশ করায় আমরা শংকিত। এলজিইডিতে এখনো বড় বড় প্রকল্পগুলোর দায়িত্বে বহাল আছেন সাবেক দূর্নীতিবাজ স্হানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম তথা আওয়ামী অনুসারী প্রকৌশলী। তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে এলজিইডি ভবনে যে কোন সময় নিরেপক্ষ প্রকৌশলীগন আন্দোলনে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাশির উদ্দিন এর মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।