তুরস্কজুড়ে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানবিরোধী বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) পর্যন্ত দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রায় ১,৮৭৯ জন বিক্ষোভকারী, শিক্ষার্থী এবং বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে। আটককৃতদের মধ্যে ২৬০ জনকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, ৬৬২ জনের শুনানি চলমান, এবং ৪৮৯ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া জানিয়েছেন, বিক্ষোভ দমনে নেওয়া অভিযানে পুলিশের ১৫০ সদস্য আহত হয়েছেন। সরকারবিরোধীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো পুলিশের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের নিন্দা জানিয়েছে এবং এসব ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
অন্যদিকে, সাংবাদিকরাও এরদোয়ান সরকারের ধরপাকড়ের শিকার হচ্ছেন। সংবাদ সংগ্রহের জন্য মাঠে থাকা সাতজন স্থানীয় সাংবাদিককে আটক করা হলেও পরে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে বিবিসির সংবাদদাতা মার্ক লোয়েনকে ইস্তাম্বুলের একটি হোটেল থেকে তুলে নিয়ে ১৭ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় এবং পরে যুক্তরাজ্যে ফেরত পাঠানো হয়।
বিক্ষোভের মূল কেন্দ্রবিন্দু ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তার। তার মুক্তির দাবিতে সারা দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং দেশব্যাপী নতুন সমাবেশের ডাক দিয়েছে। তবে এরদোয়ান কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এই বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আন্তর্জাতিক মহল এরদোয়ান প্রশাসনকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমনে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানালেও তুরস্ক সরকার এ বিষয়ে কোনো নমনীয়তা দেখায়নি।