ঢাকা ১১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পিএসসিকে চাপ দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া ডিএসসিসি’র ব্যাটারির দরপত্রে অনিয়ম  :  কর্পোরেশনের ২০ লাখ টাকা গচ্চা এলজিইডির সদর দপ্তরসহ একযোগে ৩৬ অফিসে দুদকের অভিযান মৌলভীবাজারে ডাকাতির ঘটনায় ৫ডাকাতসহ গ্রেফতার-৭: অস্ত্র, গুলি, লুণ্ঠিত টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার রেললাইনের পাশে পড়েছিল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ নাগরপুরে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিরছা ব্রিকসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ইউএসটিসিতে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার ও ফ্রি স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে ইকবাল হত্যার বিচার ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন মৌলভীবাজার পৈলভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে দুর্নীতি: ঠিকাদারের সাথে এলজিইডি কর্মকর্তারা জড়িত জাতীয় আইন সহায়তা দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদী ভাঙনে ১৫টি ঘর বিলীন, দেড়শ পরিবার নিঃস্ব

ডিএসসিসি’র ব্যাটারির দরপত্রে অনিয়ম  :  কর্পোরেশনের ২০ লাখ টাকা গচ্চা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের( ডিএসসিসি) ব্যাটারি সরবরাহের দরপত্রে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ না দিয়ে,২য় দরদাতাকে ব্যাটারি সরবরাহের কার্যাদেশ দেয়ার কারনে কর্পোরেশনকে অতিরিক্ত ২০ লাখ টাকা গচ্চা দিতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে,ব্যাটারি সরবরাহের কাজে নিম্ন দরদাতা হয় র‌্যামসো ব্যাটারি। ব্যাটারি তাদের নিজস্ব প্রোডাক্ট। ক্রিয়েটিভ সল্যুশন হয় ২য় দরদাতা। অন্যদিকে তৃতীয় দরদাতা আল ইমরান র‌্যাঙ্গস্ ব্রান্ডের উন্নতমানের ব্যাটারী সরবরাহের প্রস্তাব করে। কিন্ত ঠুনকো অজুহাতে ব্যাটারী উৎপাদনকারি র‌্যামসোকে কাজ না দিয়ে,কাজ দেয়া হয়েছে সিন্ডিকেট সদস্য ক্রিয়েটিভ সল্যুশনকে। যাদের অতীত রেকর্ড খারাপ। ইতিপূর্বে নিম্নমানের প্রডাক্ট সরবরাহ করে ক্রিয়েটিভ সল্যুশন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।

ক্রিয়েটিভ সল্যুশন এর মালিক মনিরুল হক ভুইয়া। এরা ৪/৫ টি ফার্ম একত্রে সিন্ডিকেট হিসেবে কাজ করেন। যা কন্ট্রোল করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের( ডিএসসিসি) এর সহসচিব রফিকুল ইসলাম। রফিকুল ইসলাম সাবেক মেয়র তাপসের আত্মীয় হিসাবে বিগত আওয়ামী শাসনামলে নানা সুবিধাভোগি ছিলেন।

১৩ গ্রেডের কর্মচারি হয়েও নবম গ্রেডের কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করতেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এখনো রহস্যজনক কারনে একই পদে বহাল আছেন। তাপসের প্রভাবে একই সাথে সহ-সচিব,ভান্ডার রক্ষকের পিএ ও রাজস্ব সুপারভাইজারের দায়িত্ব পালন করতেন। ভান্ডার বিভাগের সকল দরপত্র নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং এখনও করেন।

ভান্ডারে গত ৩ বছর ৪ /৫ টি প্রতিষ্ঠান এর বাহিরে কেউ নিম্ন দরদাতা হলেও কাজ দেন নি। কারন কাকে কাজ দিবেন এটা কন্ট্রোল করতেন রফিক। তাকে সাবেক প্রধান ভান্ডার রক্ষক (বর্তমান ডিএসসিসি সচিব) প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা মর্যাদা দিয়ে সহসচিব-১ হিসাবে তাকে দিয়ে কর্পোরেশনের বদলি,নিয়োগ, সকল টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে সকল তথ্য।

রফিক ও প্রধান ভান্ডার এর যোগসাজসে ক্রিয়েটিভ সল্যুশন কে ইতিপূর্বে টায়ার,বেলচা, কোদাল এর ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে দেন। এমনকি নিম্নমানের টায়ার সাপ্লাই নিয়ে পএিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। বর্তমানেও ব্যাটারি সাপ্লাই ক্রিয়েটিভ সল্যুশন কে দেয়া হয়েছে। ব্যাটারি টেন্ডারে একই নিয়ম অব্যাহত। নিম্নদরদাতাকে দিলে কর্পোরেশন লাভবান হতো ২৪ লাখ টাকা ।

এবিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের( ডিএসসিসি) তালিকাভূক্ত একজন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ডিএসসিসিতে এখনো আওয়ামী ঠিকাদারদের রাজত্ব চলছে।

সাবেক মেয়র তাপসের অনুগত রফিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বহাল তবিয়তে থাকায় টেন্ডার সিন্ডিকেট ভাঙ্গা যাচ্ছেনা। ডিএসসিসি’র দরপত্রের অনিয়ম নিয়ে তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন ও এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এই ঠিকাদার।

এবিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য ডিএসসিসি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে তারা রিসিভ করেননি।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

Verified by MonsterInsights

ডিএসসিসি’র ব্যাটারির দরপত্রে অনিয়ম  :  কর্পোরেশনের ২০ লাখ টাকা গচ্চা

আপডেট সময় ১১:৪৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের( ডিএসসিসি) ব্যাটারি সরবরাহের দরপত্রে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ না দিয়ে,২য় দরদাতাকে ব্যাটারি সরবরাহের কার্যাদেশ দেয়ার কারনে কর্পোরেশনকে অতিরিক্ত ২০ লাখ টাকা গচ্চা দিতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে,ব্যাটারি সরবরাহের কাজে নিম্ন দরদাতা হয় র‌্যামসো ব্যাটারি। ব্যাটারি তাদের নিজস্ব প্রোডাক্ট। ক্রিয়েটিভ সল্যুশন হয় ২য় দরদাতা। অন্যদিকে তৃতীয় দরদাতা আল ইমরান র‌্যাঙ্গস্ ব্রান্ডের উন্নতমানের ব্যাটারী সরবরাহের প্রস্তাব করে। কিন্ত ঠুনকো অজুহাতে ব্যাটারী উৎপাদনকারি র‌্যামসোকে কাজ না দিয়ে,কাজ দেয়া হয়েছে সিন্ডিকেট সদস্য ক্রিয়েটিভ সল্যুশনকে। যাদের অতীত রেকর্ড খারাপ। ইতিপূর্বে নিম্নমানের প্রডাক্ট সরবরাহ করে ক্রিয়েটিভ সল্যুশন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।

ক্রিয়েটিভ সল্যুশন এর মালিক মনিরুল হক ভুইয়া। এরা ৪/৫ টি ফার্ম একত্রে সিন্ডিকেট হিসেবে কাজ করেন। যা কন্ট্রোল করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের( ডিএসসিসি) এর সহসচিব রফিকুল ইসলাম। রফিকুল ইসলাম সাবেক মেয়র তাপসের আত্মীয় হিসাবে বিগত আওয়ামী শাসনামলে নানা সুবিধাভোগি ছিলেন।

১৩ গ্রেডের কর্মচারি হয়েও নবম গ্রেডের কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করতেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এখনো রহস্যজনক কারনে একই পদে বহাল আছেন। তাপসের প্রভাবে একই সাথে সহ-সচিব,ভান্ডার রক্ষকের পিএ ও রাজস্ব সুপারভাইজারের দায়িত্ব পালন করতেন। ভান্ডার বিভাগের সকল দরপত্র নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং এখনও করেন।

ভান্ডারে গত ৩ বছর ৪ /৫ টি প্রতিষ্ঠান এর বাহিরে কেউ নিম্ন দরদাতা হলেও কাজ দেন নি। কারন কাকে কাজ দিবেন এটা কন্ট্রোল করতেন রফিক। তাকে সাবেক প্রধান ভান্ডার রক্ষক (বর্তমান ডিএসসিসি সচিব) প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা মর্যাদা দিয়ে সহসচিব-১ হিসাবে তাকে দিয়ে কর্পোরেশনের বদলি,নিয়োগ, সকল টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে সকল তথ্য।

রফিক ও প্রধান ভান্ডার এর যোগসাজসে ক্রিয়েটিভ সল্যুশন কে ইতিপূর্বে টায়ার,বেলচা, কোদাল এর ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে দেন। এমনকি নিম্নমানের টায়ার সাপ্লাই নিয়ে পএিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। বর্তমানেও ব্যাটারি সাপ্লাই ক্রিয়েটিভ সল্যুশন কে দেয়া হয়েছে। ব্যাটারি টেন্ডারে একই নিয়ম অব্যাহত। নিম্নদরদাতাকে দিলে কর্পোরেশন লাভবান হতো ২৪ লাখ টাকা ।

এবিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের( ডিএসসিসি) তালিকাভূক্ত একজন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ডিএসসিসিতে এখনো আওয়ামী ঠিকাদারদের রাজত্ব চলছে।

সাবেক মেয়র তাপসের অনুগত রফিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বহাল তবিয়তে থাকায় টেন্ডার সিন্ডিকেট ভাঙ্গা যাচ্ছেনা। ডিএসসিসি’র দরপত্রের অনিয়ম নিয়ে তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন ও এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এই ঠিকাদার।

এবিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য ডিএসসিসি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে তারা রিসিভ করেননি।