পবিত্র শবেকদরের রাতে ফিলিস্তিনি মুসলিমরা চোখের পানি ঝরিয়ে মহান আল্লাহর সাহায্য চেয়েছেন। মুসলিমদের প্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাসে সমবেত হয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে তারা দোয়া করেন, যেন ফিলিস্তিনের জনগণের দুর্ভোগের অবসান ঘটে।
নানান প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেও ফিলিস্তিনের হাজারো মুসলিম আল-আকসা মসজিদে উপস্থিত হন। অনেকে জানান, পশ্চিম তীর থেকে আসার পথে ইসরায়েলি বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। তবুও গুলির ভয় উপেক্ষা করে প্রাণের চেয়ে প্রিয় বায়তুল মুকাদ্দাসে পৌঁছান তারা।
পশ্চিম তীরের বাসিন্দা হুওয়াইদা মাজিদা বলেন, “আমি অনেক বাধা পেরিয়ে আল-আকসায় পৌঁছেছি। লাইলাতুল কদরের রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার নিয়ত করেছি, যেন গাজায় আমার পরিবার ও সেখানকার সবার জন্য দোয়া করতে পারি। দোয়া করব যেন এই বিপর্যয় ও যুদ্ধের অবসান ঘটে।”
শবেকদরের রাতে ফিলিস্তিনিদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় বায়তুল মুকাদ্দাসের প্রাঙ্গণ। দূরদূরান্ত থেকে হাজারো মানুষ সেখানে আসেন। পশ্চিম তীরের বাসিন্দা হামজা হামুদ বলেন, “প্রায় তিন ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আমি এখানে এসেছি। আমরা এসেছি পবিত্র শবেকদরে বরকতময় এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে। মহান আল্লাহর কাছে ইসলামী উম্মাহর কল্যাণ ও সকল মানুষের মঙ্গলের জন্য দোয়া করেছি।”
যুদ্ধ, সহিংসতা ও দমন-পীড়নের মধ্যেও আল-আকসা মসজিদে শবেকদর পালনে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত মুসল্লিরা। তারা মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন, যেন শান্তি ফিরে আসে ফিলিস্তিনের মাটিতে।