প্রাচীন পুন্ড্রনগর খ্যাত বগুড়া জেলার বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে, ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাহিরে যাচ্ছে। গত প্রায় ১৬ বছরে বৈষম্য প্রকট থেকে প্রকটতর হয়েছে। দিন দিন ধনী আরো ধনী আর গরীবরা অতি গরীব হচ্ছে। যা জেলার সমাজ ও সামষ্টিক অর্থনীতিতে তৈরি করেছে অস্বস্থি, অসমতা।
জেলার অধিবাসীরা মনে করেন, “বগুড়ার অর্থ ও শিল্পোনীতি ঢেলে সাজাতে হবে।“
সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি অর্জিত হলেও বৈষম্য নিরসন সম্ভব হয়নি। উচ্চ বৈষম্যের দেশ থেকে সামান্য দুরত্বে আছে বাংলাদেশ তথা বগুড়া জেলা। এমন অবস্থায় পিছিয়ে থাকা এ জেলার জনগোষ্ঠীর কন্ঠস্বর আমলাতন্ত্রের বেড়াজাল ডিঙিয়ে সহজেই নীতি নির্ধারকদের কাছে পোঁছে না। আর দরজায় কড়া নাড়লেও তেমন সদুত্তর পায় না তারা। যে কারণে সামাজিকভাবে বাঞ্চনার একটি অনুভূতি প্রবলভাবে সক্রিয় রয়েছে।
শ্রম শক্তিতে আগন্তুক মুখের তুলনায় কর্মসংস্থান অনেক কম, তরুণ-তরুণীদের হতাশা বাড়ছে। শিল্পের অফুরন্ত সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও অবহেলিত অবস্থায় এ জেলা।
উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার এই জেলার চেহেরা আগের মতই রয়েছে। গত জুলাই আগষ্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পতন ও পালানোর পর উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকাবাসীর বিশ্বাস এখন আর বৈষম্য থাকবে না। আমাদের অর্থ ও শিল্পো নীতি এমনভাবে ঢেলে সাজাতে যেখানে জনগণের স্বার্থ থাকবে কেন্দ্র।
সময়ের প্রয়োজনে জনসাধারণের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে নতুন অর্থ ও শিল্পোনীতি ঢেলে সাজানো হোক। বিভিন্ন পেশার সচেতন মহল আশায় বুক বেধেছে, শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব প্রধান উপদেষ্টা এই অন্তবর্তী সময়ে উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির রোডম্যাপ তৈরি করবেন। বগুড়াবাসীর বাঞ্চনার অনুভূতি দূর হবে, থাকবে না কোন বৈষম্য।