ঢাকা ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পিএসসিকে চাপ দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া ডিএসসিসি’র ব্যাটারির দরপত্রে অনিয়ম  :  কর্পোরেশনের ২০ লাখ টাকা গচ্চা এলজিইডির সদর দপ্তরসহ একযোগে ৩৬ অফিসে দুদকের অভিযান মৌলভীবাজারে ডাকাতির ঘটনায় ৫ডাকাতসহ গ্রেফতার-৭: অস্ত্র, গুলি, লুণ্ঠিত টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার রেললাইনের পাশে পড়েছিল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ নাগরপুরে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিরছা ব্রিকসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ইউএসটিসিতে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার ও ফ্রি স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে ইকবাল হত্যার বিচার ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন মৌলভীবাজার পৈলভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে দুর্নীতি: ঠিকাদারের সাথে এলজিইডি কর্মকর্তারা জড়িত জাতীয় আইন সহায়তা দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদী ভাঙনে ১৫টি ঘর বিলীন, দেড়শ পরিবার নিঃস্ব

বগুড়া জেলায় অর্থ ও শিল্পোনীতি ঢেলে সাজাতে হবে

প্রাচীন পুন্ড্রনগর খ্যাত বগুড়া জেলার বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে, ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাহিরে যাচ্ছে। গত প্রায় ১৬ বছরে বৈষম্য প্রকট থেকে প্রকটতর হয়েছে। দিন দিন ধনী আরো ধনী আর গরীবরা অতি গরীব হচ্ছে। যা জেলার সমাজ ও সামষ্টিক অর্থনীতিতে তৈরি করেছে অস্বস্থি, অসমতা।

জেলার অধিবাসীরা মনে করেন, “বগুড়ার অর্থ ও শিল্পোনীতি ঢেলে সাজাতে হবে।“

সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি অর্জিত হলেও বৈষম্য নিরসন সম্ভব হয়নি। উচ্চ বৈষম্যের দেশ থেকে সামান্য দুরত্বে আছে বাংলাদেশ তথা বগুড়া জেলা। এমন অবস্থায় পিছিয়ে থাকা এ জেলার জনগোষ্ঠীর কন্ঠস্বর আমলাতন্ত্রের বেড়াজাল ডিঙিয়ে সহজেই নীতি নির্ধারকদের কাছে পোঁছে না। আর দরজায় কড়া নাড়লেও তেমন সদুত্তর পায় না তারা। যে কারণে সামাজিকভাবে বাঞ্চনার একটি অনুভূতি প্রবলভাবে সক্রিয় রয়েছে।

শ্রম শক্তিতে আগন্তুক মুখের তুলনায় কর্মসংস্থান অনেক কম, তরুণ-তরুণীদের হতাশা বাড়ছে। শিল্পের অফুরন্ত সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও অবহেলিত অবস্থায় এ জেলা।

উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার এই জেলার চেহেরা আগের মতই রয়েছে। গত জুলাই আগষ্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পতন ও পালানোর পর উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকাবাসীর বিশ্বাস এখন আর বৈষম্য থাকবে না। আমাদের অর্থ ও শিল্পো নীতি এমনভাবে ঢেলে সাজাতে যেখানে জনগণের স্বার্থ থাকবে কেন্দ্র।

সময়ের প্রয়োজনে জনসাধারণের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে নতুন অর্থ ও শিল্পোনীতি ঢেলে সাজানো হোক। বিভিন্ন পেশার সচেতন মহল আশায় বুক বেধেছে, শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব প্রধান উপদেষ্টা এই অন্তবর্তী সময়ে উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির রোডম্যাপ তৈরি করবেন। বগুড়াবাসীর বাঞ্চনার অনুভূতি দূর হবে, থাকবে না কোন বৈষম্য।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

Verified by MonsterInsights

বগুড়া জেলায় অর্থ ও শিল্পোনীতি ঢেলে সাজাতে হবে

আপডেট সময় ০৯:৩৪:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

প্রাচীন পুন্ড্রনগর খ্যাত বগুড়া জেলার বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে, ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাহিরে যাচ্ছে। গত প্রায় ১৬ বছরে বৈষম্য প্রকট থেকে প্রকটতর হয়েছে। দিন দিন ধনী আরো ধনী আর গরীবরা অতি গরীব হচ্ছে। যা জেলার সমাজ ও সামষ্টিক অর্থনীতিতে তৈরি করেছে অস্বস্থি, অসমতা।

জেলার অধিবাসীরা মনে করেন, “বগুড়ার অর্থ ও শিল্পোনীতি ঢেলে সাজাতে হবে।“

সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি অর্জিত হলেও বৈষম্য নিরসন সম্ভব হয়নি। উচ্চ বৈষম্যের দেশ থেকে সামান্য দুরত্বে আছে বাংলাদেশ তথা বগুড়া জেলা। এমন অবস্থায় পিছিয়ে থাকা এ জেলার জনগোষ্ঠীর কন্ঠস্বর আমলাতন্ত্রের বেড়াজাল ডিঙিয়ে সহজেই নীতি নির্ধারকদের কাছে পোঁছে না। আর দরজায় কড়া নাড়লেও তেমন সদুত্তর পায় না তারা। যে কারণে সামাজিকভাবে বাঞ্চনার একটি অনুভূতি প্রবলভাবে সক্রিয় রয়েছে।

শ্রম শক্তিতে আগন্তুক মুখের তুলনায় কর্মসংস্থান অনেক কম, তরুণ-তরুণীদের হতাশা বাড়ছে। শিল্পের অফুরন্ত সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও অবহেলিত অবস্থায় এ জেলা।

উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার এই জেলার চেহেরা আগের মতই রয়েছে। গত জুলাই আগষ্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পতন ও পালানোর পর উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকাবাসীর বিশ্বাস এখন আর বৈষম্য থাকবে না। আমাদের অর্থ ও শিল্পো নীতি এমনভাবে ঢেলে সাজাতে যেখানে জনগণের স্বার্থ থাকবে কেন্দ্র।

সময়ের প্রয়োজনে জনসাধারণের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে নতুন অর্থ ও শিল্পোনীতি ঢেলে সাজানো হোক। বিভিন্ন পেশার সচেতন মহল আশায় বুক বেধেছে, শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব প্রধান উপদেষ্টা এই অন্তবর্তী সময়ে উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির রোডম্যাপ তৈরি করবেন। বগুড়াবাসীর বাঞ্চনার অনুভূতি দূর হবে, থাকবে না কোন বৈষম্য।