ঢাকা ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা বিএনপিতে কোনো বেয়াদবের জায়গা থাকবে না: হীরা মানুষের কাজ করতে হবে হৃদয় উজার করে: মহসিন মিয়া মধু পাবনা জেল সুপারের মানবিকতায় কারাগার থেকে নিজ দেশে ফিরে গেলেন নেপালী যুবক পাবনায় শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত গ্রেপ্তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন: পিআইও আবুল কালাম আজাদ ও স্ত্রী-ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা মির্জাপুরে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করায় যুবক গ্রেপ্তার রমজানে ৫০০ জন রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ করছে “মানুষের পাশে আমরা, যশোর” বিজিবির অভিযানে ২০ লাখ টাকার মাদকসহ আটক ১০ বিবেকের জাগরণ: কখন আসবে আমাদের চেতনার আলো? রাজশাহীতে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, দুর্ভোগে রোগীরা বদলগাছীতে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উদযাপন

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৩৫ কর্মকর্তার লকার খুলবে দুদক

বাংলাদেশ ব্যাংক

বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ, অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান ৩৫ কর্মকর্তাকে নজরদারিতে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদের মধ্যে ব্যক্তিগত লকার খুলে তাদের সম্পদের তালিকা তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুদক।

রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের উপস্থিতিতে দুদকের বিশেষ টিম লকারগুলো খুলবে। এর আগে আদালতের অনুমতি নিয়ে লকারগুলো ফ্রিজ করা হয়। দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল এসব লকার খুলে অর্থ ও সম্পদের তালিকা তৈরি করবে, যা পরে আদালতকে জানানো হবে।

এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) লকার থেকে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ উদ্ধার করার পর আরও ৩৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে অর্থ পাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক দুই গভর্নর ড. আতিউর রহমান ও মো. আবদুর রউফ তালুকদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন ডেপুটি গভর্নর, উপদেষ্টা, নির্বাহী পরিচালক, পরিচালকসহ বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তার নামও দুদকের অনুসন্ধানের তালিকায় রয়েছে।

এছাড়া, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর এবং বিএফআইইউর সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলা করেছে। দুদক জানিয়েছে, গত বছর ৫ আগস্টের পর ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ও বিক্ষোভের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন, শেয়ারবাজার থেকে প্রতারণা, সঞ্চয়পত্র জালিয়াতি, রিজার্ভের তহবিল তছরুপের মতো গুরুতর অভিযোগ তদন্ত করছে। ফলে এই কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে, কারণ তাদের লকার খুলে সম্পদের তদন্ত করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা

Verified by MonsterInsights

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৩৫ কর্মকর্তার লকার খুলবে দুদক

আপডেট সময় ১২:০১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ, অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান ৩৫ কর্মকর্তাকে নজরদারিতে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদের মধ্যে ব্যক্তিগত লকার খুলে তাদের সম্পদের তালিকা তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুদক।

রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের উপস্থিতিতে দুদকের বিশেষ টিম লকারগুলো খুলবে। এর আগে আদালতের অনুমতি নিয়ে লকারগুলো ফ্রিজ করা হয়। দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল এসব লকার খুলে অর্থ ও সম্পদের তালিকা তৈরি করবে, যা পরে আদালতকে জানানো হবে।

এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) লকার থেকে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ উদ্ধার করার পর আরও ৩৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে অর্থ পাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক দুই গভর্নর ড. আতিউর রহমান ও মো. আবদুর রউফ তালুকদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন ডেপুটি গভর্নর, উপদেষ্টা, নির্বাহী পরিচালক, পরিচালকসহ বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তার নামও দুদকের অনুসন্ধানের তালিকায় রয়েছে।

এছাড়া, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর এবং বিএফআইইউর সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলা করেছে। দুদক জানিয়েছে, গত বছর ৫ আগস্টের পর ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ও বিক্ষোভের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন, শেয়ারবাজার থেকে প্রতারণা, সঞ্চয়পত্র জালিয়াতি, রিজার্ভের তহবিল তছরুপের মতো গুরুতর অভিযোগ তদন্ত করছে। ফলে এই কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে, কারণ তাদের লকার খুলে সম্পদের তদন্ত করা হবে।