পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পোলট্রি মেলা। বহুল আকাঙ্ক্ষিত ১৩তম আন্তর্জাতিক পোলট্রি শো-২০২৫, পূর্বাচলের বাংলাদেশ চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে আয়োজিত মেলা চলবে টানা তিনদিন (২০-২২ ফেব্রুয়ারি)। ওয়ার্ল্ডস পোলট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখা বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এই মেলার আয়োজন করেছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় পোলট্রি মেলা বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
‘সাসটেইনেবল পোলট্রি ফর এমাজিং বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এ মেলায় ১৮ দেশের দুই শতাধিক কোম্পানি প্রযুক্তি ও সেবা নিয়ে উপস্থিত হবে। মেলায় থাকবে ৮২৫টি স্টল। ফিডমিল, হ্যাচারি, ব্রিডারফার্ম, কমার্সিয়াল ফার্ম, প্রসেসিং, রিসাইক্লিংসহ পোলট্রি শিল্প সংশ্লিষ্ট বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও পণ্যের দেখা মিলবে এ মেলায়।
দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা মেটাতে এবং পোলট্রি খাতকে আরো আধুনিক ও টেকসই করার লক্ষ্যে উক্ত মেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে আয়োজক সূত্রের দাবী।
পোলট্রি মেলা সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। কুড়িল বিশ্বরোডের ৩০০ ফিট থেকে সারাদিন ফ্রি শাটল বাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ডস পোলট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখা (WPSABB) এবং বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) যৌথভাবে উক্ত মেলার আয়োজন করেছে।
তিন দিনব্যাপী এই শো ও সেমিনারে দেশ বিদেশের বিশিষ্ট পোলট্রি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন এবং আধুনিক প্রযুক্তি, নতুন ইনপুট ও উন্নত উৎপাদন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবেন। এতে পোলট্রি শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সংস্থাগুলোর জন্য জ্ঞান বিনিময় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ তৈরি হবে।
ওয়াপসাবিবি ও বিপিআইসিসির পক্ষ থেকে সকলকে এতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা পোলট্রি খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে। এই সেমিনারের মাধ্যমে পোলট্রি শিল্পের উন্নয়ন ও নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনের গুরুত্ব আরও সুস্পষ্ট হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন বিনিয়োগ এবং তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে এবং ডিম ও মুরগির মাংসের চাহিদা পূরণে এই মেলা সহায়ক হবে বলেও মনে করছে আয়োজকরা।