বিশ্বজুড়ে নগরায়ণের বিস্তার অব্যাহত থাকলেও জনসংখ্যার ভারে নুয়ে পড়ছে শহরগুলো। কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও উন্নত জীবনের আকর্ষণে প্রতিদিন লাখো মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। ফলে জনসংখ্যার চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বিভিন্ন মেগাসিটি। পরিবেশগত বিপর্যয়, যানজট, অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও নাগরিক সুবিধার ঘাটতির কারণে অনেক শহরেই বসবাস অনুপযোগী হয়ে উঠছে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে টোকিও, নয়াদিল্লি, সাংহাই, ঢাকা, মেক্সিকো সিটি ও মুম্বাই। এর মধ্যে টোকিও বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর, যেখানে প্রায় ৩ কোটি ৭৪ লাখ মানুষ বাস করে। ভারতের নয়াদিল্লি জনসংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে, যেখানে ২ কোটি ৯৩ লাখ মানুষের বসবাস।
এশিয়ার অন্যতম ব্যস্ত নগরী ঢাকা ইতোমধ্যে বিশ্বের অন্যতম জনবহুল শহরের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। প্রায় ২ কোটি ২ হাজার মানুষের বসবাস এই শহরে। অত্যধিক জনসংখ্যার কারণে ঢাকা ভয়াবহ যানজট, বায়ু দূষণ, জলাবদ্ধতা ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের শিকার হয়েছে।
সাংহাই, সাও পাওলো, মেক্সিকো সিটি, কায়রো ও বেইজিংয়ের মতো শহরগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবেশগত ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিকল্পিত নগরায়ণ, উন্নত গণপরিবহন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নাগরিক সুবিধার উন্নয়ন না হলে এই মেগাসিটিগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠতে পারে।
বিশ্বের শহরগুলোতে নাগরিক সুবিধা উন্নয়নের পাশাপাশি জনসংখ্যার চাপ কমাতে বিকেন্দ্রীকরণ প্রয়োজন বলে মনে করছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। শহরমুখী মানুষের চাপ কমাতে উপশহর ও গ্রামীণ অঞ্চলে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা জরুরি। অন্যথায় ভবিষ্যতে এসব মেগাসিটির জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে।