মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসেন। বাণিজ্য, অভিবাসন এবং আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয় এই বৈঠকে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন ট্রাম্প ও মোদি।
এক সাংবাদিক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাদেশের বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কি?’ এবং বাইডেন প্রশাসনের আমলে মার্কিন ডিপ স্টেটের বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা ছিল না। এটা এমন একটি বিষয় যা প্রধানমন্ত্রী মোদী দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন এবং সত্যি বলতে, শত শত বছর ধরে এটি নিয়ে কাজ চলেছে।’
এরপর, প্রধানমন্ত্রী মোদী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান নিয়ে ট্রাম্পের উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানান। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের জনগণের মধ্যে মতামত রয়েছে যে ভারত এই যুদ্ধের মধ্যে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। তবে আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, ভারতের ভূমিকা নিরপেক্ষ ছিল না, আমরা সব সময়ই শান্তির পক্ষে ছিলাম।’
মোদি আরও বলেন, ‘আমি এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে একটি বিষয় মিল রয়েছে—আমরা দুজনেই আমাদের দেশের স্বার্থ প্রথমে রাখি।’
ট্রাম্পও মোদির প্রশংসা করেন এবং বলেন, ‘মোদি ভারতে দারুণ কাজ করছেন। আমাদের মধ্যে খুব ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে।’ বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বাণিজ্য এবং অভিবাসনসহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
এদিকে, সম্প্রতি জাতিসংঘ বাংলাদেশ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণতন্ত্র ধ্বংসের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলন নিয়ে প্রতিবেদনে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা এবং বহু মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ প্রতিবেদনের পর মন্তব্য করেছেন, শেখ হাসিনার সরকার ফ্যাসিস্ট ছিল। তিনি ভারতকে অনুরোধ করেছেন যাতে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের কাছে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে স্মারক পাঠানো হতে পারে, তবে এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।