ভারতে একের পর এক বিদেশি নারী পর্যটক ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন, যা দেশটির পর্যটন শিল্পে বড় ধরনের অশনি সংকেত সৃষ্টি করেছে। গত সপ্তাহে কর্ণাটক রাজ্যে এক ইসরায়েলি নারী পর্যটক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এবং তার সঙ্গে থাকা পুরুষকে হত্যা করে একটি খালে ফেলে দেওয়া হয়।
এরপর আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দিল্লির একটি হোটেলে আরও একজন ব্রিটিশ নারী ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে, এই ধর্ষণের ঘটনা বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বিশেষত, কর্ণাটকের হাম্পি এলাকায় ওই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার পর বহু বিদেশি পর্যটক ঐতিহাসিক স্থানটি ছেড়ে চলে গেছেন।
এছাড়া, শুধুমাত্র বিদেশি পর্যটকরাই নয়, তাদের সঙ্গে থাকা ভারতীয় নারীরাও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। কর্ণাটকের সেই ঘটনায় দুই নারী ধর্ষণের শিকার হন, যাদের একজন ইসরায়েলি পর্যটক এবং অপরজন ভারতীয় নাগরিক, যিনি একটি হোমস্টে অপারেটর।
গত বছর কলকাতার একটি হাসপাতালে এক জুনিয়র চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যা এবং উত্তরাখণ্ডে বেসরকারি হাসপাতালের নার্সের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাগুলি আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এছাড়া, সেসময় উত্তরাখণ্ডে একটি চলন্ত বাসের মধ্যে ১৫ বছরের কিশোরীও গণধর্ষণের শিকার হন।
ভারতের ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে এখন বিদেশি পর্যটকরাও এর লক্ষ্যবস্তু হচ্ছেন। গত বছর ঝাড়খণ্ডে এক ব্রাজিলিয়ান-স্প্যানিশ নারী পর্যটকও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনার পর থেকে ভারতে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে ভারতে ৩১,৫১৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সে হিসাবে, দেশটিতে প্রতি দিন গড়ে ৮৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।