ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে এক নাগরিকের হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশে অংশ নেন তারা। সমাবেশে বিএসএফের এমন বর্বর আচরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ‘সীমান্তে হত্যা কেন, ভারত তুই জবাব দে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ স্লোগান দেওয়া হয়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সদস্য জালাল আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইলে ভারতের গলা চেপে ধরা হবে। ফেলানি হত্যার পর থেকে প্রতিদিন শত শত লাশের ঘটনাটি হয়ে আসছে, আমরা আর লাশ দেখতে চাই না। বিএসএফের এমন আচরণে এবার দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে।”
গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, “ভারত সবসময় আমাদের সাথে প্রভুর মতো আচরণ করে, তবে বাংলাদেশের জনগণ এ অবস্থান মেনে নেবে না। বর্তমান সরকার এর আগে ভারতের প্রভুত্ববাদী মনোভাবকে কিছুটা গ্রহণ করলেও এখন আর তা মেনে নেয়া হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারের কাছে দাবি, ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের ব্যবহারের সুযোগ ভারতকে দেয়া হয়েছে, তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত, কারণ তারা এ ধরনের প্রভুত্ববাদী চিন্তাধারায় আমাদের অধিকার নিয়ে এমন আচরণে যোগ্য নয়।”
এদিকে, ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ সম্পর্কে পরিকল্পিত গুজব প্রচারের প্রতিবাদেও তারা নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিক্ষোভকারীরা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।