রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে অবস্থিত বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের পৈতৃক বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাটি এখন দেশের সংবাদমাধ্যমের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও ব্যাপক প্রচার পেয়েছে। যুক্তরাজ্যের বিবিসি, রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান; তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সি ও টিআরটি ওয়ার্ল্ড, সৌদি আরবের আরব নিউজ, যুক্তরাষ্ট্রের সিএনএন, এবিসি নিউজ, এপিসহ শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনটি শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৈতৃক বাড়ি উচ্ছেদ করেছে বিক্ষোভকারীরা’। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সমর্থকদের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেন, যা এই হামলার সূত্রপাত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তাদের শিরোনামে লিখেছে, ‘বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে’। তারা প্রতিবেদনটিতে আরও লিখেছে, শুধু শেখ হাসিনা নয়, তার পরিবার এবং রাজনৈতিক দলের অন্যান্য নেতাদের বাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা এপি তাদের শিরোনামে লিখেছে, ‘বাংলাদেশি বিক্ষোভকারীরা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়িতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী ভারতে নির্বাসিত থেকে হাসিনা সমর্থকদের উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দেন, যা হামলার উৎস হয়ে দাঁড়ায়। গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ছাত্র-নেতৃত্বাধীন একটি বিদ্রোহের মুখে ভারতে পালিয়ে যান।
তুরস্কের গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি তাদের প্রতিবেদনটি শিরোনাম করেছে, ‘ভারত থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লাইভ ভাষণ বাংলাদেশে প্রতিবাদের সূত্রপাত করেছে’। তারা লিখেছে, বিদ্যমান দলগুলো দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, যার কারণে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।
সৌদি আরবের আরব নিউজ তাদের শিরোনামে লিখেছে, ‘বাংলাদেশি বিক্ষোভকারীরা নির্বাসিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্ত একটি বাড়িতে তাণ্ডব ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে’।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসও ‘ঢাকায় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে জনতা’ এই শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এছাড়া পাকিস্তান ও ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এই ঘটনা ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে।