ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পিএসসিকে চাপ দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া ডিএসসিসি’র ব্যাটারির দরপত্রে অনিয়ম  :  কর্পোরেশনের ২০ লাখ টাকা গচ্চা এলজিইডির সদর দপ্তরসহ একযোগে ৩৬ অফিসে দুদকের অভিযান মৌলভীবাজারে ডাকাতির ঘটনায় ৫ডাকাতসহ গ্রেফতার-৭: অস্ত্র, গুলি, লুণ্ঠিত টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার রেললাইনের পাশে পড়েছিল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ নাগরপুরে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিরছা ব্রিকসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ইউএসটিসিতে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার ও ফ্রি স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে ইকবাল হত্যার বিচার ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন মৌলভীবাজার পৈলভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে দুর্নীতি: ঠিকাদারের সাথে এলজিইডি কর্মকর্তারা জড়িত জাতীয় আইন সহায়তা দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদী ভাঙনে ১৫টি ঘর বিলীন, দেড়শ পরিবার নিঃস্ব

ক্যান্সার আক্রান্ত ঝর্ণা বাঁচতে চায়

জরায়ু মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত (৪৫) বছর বয়সী ঝর্ণা আক্তার রোগ থেকে মুক্তির জন্য সহযোগিতা চান।

সরেজমিনে কথায় তাঁর স্বামী জসিম উদ্দিন জানান, এর আগে ধার-দেনা ও এলাকাবাসীর সহায়তায় ৩টি থেরাপি দেওয়া হলেও আগামী জানুয়ারি মাসের ৯ তারিখ থেকে আরেকটি থেরাপি দেওয়ার তারিখ, কিন্তু টাকা না থাকায় তা অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। এছাড়াও তার এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ২০ বছর বয়সী অবিবাহিত যুবতী মেয়ে রয়েছে। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের দিনমজুর জসিম উদ্দিনের স্ত্রী।

স্বামীর সংসার হতদরিদ্র হওয়ায় ঝর্ণা খেয়ে না খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তার কোনো সহায় সম্বল নেই। মাত্র এক শতাংশ জায়গার দোচালা ভাঙ্গাচোরা টিনের ঘরে বসবাস করেন তিনি, যা বসবাসের অযোগ্য। কিন্তু গত ৯ মাস ধরে তিনি জরায়ু মুখের ক্যান্সারের সাথে লড়াই করছেন। ঝর্ণা আক্তার রোগ মুক্তি লাভ করে সুস্থ হয়ে বাঁচতে চান। সংসারে একমাত্র মেয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী খাদিজা আক্তার (২০)। জরায়ু মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে ঝর্ণা আক্তার সংসারে কাজ করতে পারছেন না। ভয়াবহ এই রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় চিকিৎসা খরচ মিলাতে পারছে না। যার কারণে তিনি বাঁচার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রের বিত্তবান লোকদের সহযোগিতা চান।

ঝর্ণা আক্তার জানান, ‘দীর্ঘ ৯ মাস ধরে জরায়ু মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি। ঝর্ণা আক্তারের স্বামী দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি কাজ করতে পারছেন না। এলাকার স্থানীয় লোকজনের সাহায্য-সহযোগিতায় কোনোভাবে চিকিৎসার ব্যয় বহন করছেন। স্থানীয়দের সহযোগিতার পরেও ক্যান্সার চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা করছেন। ৬টি থেরাপির মধ্যে তিনটি সম্পন্ন হয়েছে। আরও তিনটি থেরাপি বাকি রয়েছে।’

বাকি থেরাপি চিকিৎসার জন্য ঝর্ণা আক্তার ও স্বামী দিনমজুর জসিম উদ্দিন বিত্তশালীদের সহযোগিতা চেয়েছেন। যদি কোনো বিত্তবান হতদরিদ্র ঝর্ণা আক্তারকে সাহায্য করেন, তাহলে তার চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব।

রোগীর বিকাশ একাউন্ট নম্বর দেয়া হলো: ০১৬৪২০৬৫০৩৫

এ ব্যপারে হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাহিদ ইভা বলেন, জরায়ু মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত ঝর্ণা আক্তার স্বামীসহ আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন। আমি বলেছি সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে সরকার ক্যান্সার আক্রান্তদের ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়। ঝর্ণা আক্তার আবেদন করলে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে জানান।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

Verified by MonsterInsights

ক্যান্সার আক্রান্ত ঝর্ণা বাঁচতে চায়

আপডেট সময় ০৬:২৯:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

জরায়ু মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত (৪৫) বছর বয়সী ঝর্ণা আক্তার রোগ থেকে মুক্তির জন্য সহযোগিতা চান।

সরেজমিনে কথায় তাঁর স্বামী জসিম উদ্দিন জানান, এর আগে ধার-দেনা ও এলাকাবাসীর সহায়তায় ৩টি থেরাপি দেওয়া হলেও আগামী জানুয়ারি মাসের ৯ তারিখ থেকে আরেকটি থেরাপি দেওয়ার তারিখ, কিন্তু টাকা না থাকায় তা অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। এছাড়াও তার এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ২০ বছর বয়সী অবিবাহিত যুবতী মেয়ে রয়েছে। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের দিনমজুর জসিম উদ্দিনের স্ত্রী।

স্বামীর সংসার হতদরিদ্র হওয়ায় ঝর্ণা খেয়ে না খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তার কোনো সহায় সম্বল নেই। মাত্র এক শতাংশ জায়গার দোচালা ভাঙ্গাচোরা টিনের ঘরে বসবাস করেন তিনি, যা বসবাসের অযোগ্য। কিন্তু গত ৯ মাস ধরে তিনি জরায়ু মুখের ক্যান্সারের সাথে লড়াই করছেন। ঝর্ণা আক্তার রোগ মুক্তি লাভ করে সুস্থ হয়ে বাঁচতে চান। সংসারে একমাত্র মেয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী খাদিজা আক্তার (২০)। জরায়ু মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে ঝর্ণা আক্তার সংসারে কাজ করতে পারছেন না। ভয়াবহ এই রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় চিকিৎসা খরচ মিলাতে পারছে না। যার কারণে তিনি বাঁচার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রের বিত্তবান লোকদের সহযোগিতা চান।

ঝর্ণা আক্তার জানান, ‘দীর্ঘ ৯ মাস ধরে জরায়ু মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি। ঝর্ণা আক্তারের স্বামী দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি কাজ করতে পারছেন না। এলাকার স্থানীয় লোকজনের সাহায্য-সহযোগিতায় কোনোভাবে চিকিৎসার ব্যয় বহন করছেন। স্থানীয়দের সহযোগিতার পরেও ক্যান্সার চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা করছেন। ৬টি থেরাপির মধ্যে তিনটি সম্পন্ন হয়েছে। আরও তিনটি থেরাপি বাকি রয়েছে।’

বাকি থেরাপি চিকিৎসার জন্য ঝর্ণা আক্তার ও স্বামী দিনমজুর জসিম উদ্দিন বিত্তশালীদের সহযোগিতা চেয়েছেন। যদি কোনো বিত্তবান হতদরিদ্র ঝর্ণা আক্তারকে সাহায্য করেন, তাহলে তার চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব।

রোগীর বিকাশ একাউন্ট নম্বর দেয়া হলো: ০১৬৪২০৬৫০৩৫

এ ব্যপারে হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাহিদ ইভা বলেন, জরায়ু মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত ঝর্ণা আক্তার স্বামীসহ আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন। আমি বলেছি সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে সরকার ক্যান্সার আক্রান্তদের ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়। ঝর্ণা আক্তার আবেদন করলে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে জানান।