বিএনপি’র দু’গ্রুপের সংর্ঘষে আহত শ্রমিক দল নেতা আলম মিয়া ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করলে এ খবর এলাকায় পৌঁছালে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় বিক্ষুদ্ব শ্রমিক দল নেতারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রায় আড়াই ঘন্টা অবরোধ করে রাখে।
স্থানীয় বিএনপি নেতা ও প্রসাশনের হস্তক্ষেপে বিক্ষুদ্ধরা অবরোধ তুলে নেয়। মৃত আলম মিয়া নরসিংদী সদর উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের আলিমদ্দিনের পুত্র।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে নরসিংদীর পাচঁদোনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির পাঁচদোনা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি লালমিয়া মেম্বার ও যুবদল নেতা মোসাদ্দেক গ্রুপের মধ্যে সর্ঘষ হয়। এতে মোসাদ্দেক ও তার লোকজন লালমিয়া মেম্বারের লোকজনের উপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলাপাথারী হামলা চালায়। হামলায় লালমিয়া মেম্বারের লোকজনের মধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হয়।
মাধবদী থানার মামলায় উল্লেখিত ঘটনার দিন (১৮ ডিসেম্বর) গুলির আঘাতে গুরুতর আহত পাঁচদোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আলম মিয়া (৫৫) কে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৬দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে আজ মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আলম মিয়ার মৃত্যুর খবরে পুনরায় পাঁচদোনা মোড় অশান্ত হয়ে পড়ে। শ্রমিক দল নেতারা রাস্তায় আগুন লাগিয়ে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে আলমিয়া হত্যায় জড়িত যুবদল নেতা মোসাদ্দেকের ফাঁসির দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
খবর পেয়ে মধাবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের হস্তক্ষেপে আড়াই ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুদ্ধরা।
মারামারির ঘটনায় লালমিয়া মেম্বারের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া বাদী হয়ে মোসাদ্দেককে ১ নং আসামীসহ আরো ২০ জনকে আসামী করে ১৯ ডিসেম্বর মধাবদী থানায় মামলা দায়ের করেন।