ঢাকা ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পিএসসিকে চাপ দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া ডিএসসিসি’র ব্যাটারির দরপত্রে অনিয়ম  :  কর্পোরেশনের ২০ লাখ টাকা গচ্চা এলজিইডির সদর দপ্তরসহ একযোগে ৩৬ অফিসে দুদকের অভিযান মৌলভীবাজারে ডাকাতির ঘটনায় ৫ডাকাতসহ গ্রেফতার-৭: অস্ত্র, গুলি, লুণ্ঠিত টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার রেললাইনের পাশে পড়েছিল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ নাগরপুরে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিরছা ব্রিকসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ইউএসটিসিতে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার ও ফ্রি স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে ইকবাল হত্যার বিচার ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন মৌলভীবাজার পৈলভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে দুর্নীতি: ঠিকাদারের সাথে এলজিইডি কর্মকর্তারা জড়িত জাতীয় আইন সহায়তা দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদী ভাঙনে ১৫টি ঘর বিলীন, দেড়শ পরিবার নিঃস্ব

কিশোরগঞ্জে ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের মামলা

প্রতীকী ছবি | সংগৃহীত

নেশার টাকা ও সম্পত্তি বন্ধক দিতে কাগজে স্বাক্ষর না দেওয়ায় গর্ভধারিণী মা ও ভাইকে মারধরের অভিযোগ এনে ছেলে আবু তাহের (৩৮) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন হতভাগী মা হাদিছা বেগম।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) মা হাদিছা বেগম ছেলে আবু তাহেরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল গ্রহণকারী আদালতে।

হাদিছা বলেন, ‘আমার ছেলে প্রতিদিন নেশার টাকার জন্য চাপ দিতো। টাকা না দিলে সে আমাদের মারপিট করে নির্যাতন করতো। এমনকি ঘরের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করতো। তার অত্যাচারে বাড়ির সবাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। তাই বাধ্য হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ছেলে নেশাখোর বিধায় তাকে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ঘটনার দিন (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় আমার ছেলে আমার উত্তরের ভিটির বসত ঘরে প্রবেশ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে একটি হলুদ কাগজে আমাকে সই করতে বলে এবং ৫০ হাজার টাকা ও কিছু জমি বন্ধক দিতে হবে বলে জানায়। আমি অস্বীকার করায় আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। একপর্যায়ে আমি চিৎকার দিলে আমাকে গলায় চাপ দিয়ে ধরে। তখন আমার বড় ছেলে আমাকে রক্ষা করতে গেলে তার ডান চোখে একটি ঘুষি মেরে ফেলে দেয়। তখন আমার ঘরে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে অনুমান ১ লাখ টাকার ক্ষতি করে। আমার চিৎকারে সবাই ঘটনাস্থলে এসে দেখে ও ছেলে হুমকি দেয়, ভবিষ্যতে তার কথামতো জমি না দিলে আমাকে খুন করবে। আমার ঘটনার সাক্ষী আছে। সাক্ষীরা ঘটনা প্রমাণ করবে।’

সদর উপজেলার বিন্নাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। আমি খবর পাওয়ার পরপরই মেম্বারকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। পরে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, তারা ৭ ভাইয়ের মধ্যে ৬ ভাই আবু তাহেরের বিপক্ষে। মামলায় সাক্ষী করেন আসামির ৬ ভাইকে। তারা হলেন হারুণ অর রশিদ, আবুল কালাম, রায়হান, মামুন মিয়া, নূরুল ইসলাম, খায়রুল।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

Verified by MonsterInsights

কিশোরগঞ্জে ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের মামলা

আপডেট সময় ০৭:১৯:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নেশার টাকা ও সম্পত্তি বন্ধক দিতে কাগজে স্বাক্ষর না দেওয়ায় গর্ভধারিণী মা ও ভাইকে মারধরের অভিযোগ এনে ছেলে আবু তাহের (৩৮) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন হতভাগী মা হাদিছা বেগম।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) মা হাদিছা বেগম ছেলে আবু তাহেরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল গ্রহণকারী আদালতে।

হাদিছা বলেন, ‘আমার ছেলে প্রতিদিন নেশার টাকার জন্য চাপ দিতো। টাকা না দিলে সে আমাদের মারপিট করে নির্যাতন করতো। এমনকি ঘরের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করতো। তার অত্যাচারে বাড়ির সবাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। তাই বাধ্য হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ছেলে নেশাখোর বিধায় তাকে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ঘটনার দিন (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় আমার ছেলে আমার উত্তরের ভিটির বসত ঘরে প্রবেশ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে একটি হলুদ কাগজে আমাকে সই করতে বলে এবং ৫০ হাজার টাকা ও কিছু জমি বন্ধক দিতে হবে বলে জানায়। আমি অস্বীকার করায় আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। একপর্যায়ে আমি চিৎকার দিলে আমাকে গলায় চাপ দিয়ে ধরে। তখন আমার বড় ছেলে আমাকে রক্ষা করতে গেলে তার ডান চোখে একটি ঘুষি মেরে ফেলে দেয়। তখন আমার ঘরে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে অনুমান ১ লাখ টাকার ক্ষতি করে। আমার চিৎকারে সবাই ঘটনাস্থলে এসে দেখে ও ছেলে হুমকি দেয়, ভবিষ্যতে তার কথামতো জমি না দিলে আমাকে খুন করবে। আমার ঘটনার সাক্ষী আছে। সাক্ষীরা ঘটনা প্রমাণ করবে।’

সদর উপজেলার বিন্নাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। আমি খবর পাওয়ার পরপরই মেম্বারকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। পরে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, তারা ৭ ভাইয়ের মধ্যে ৬ ভাই আবু তাহেরের বিপক্ষে। মামলায় সাক্ষী করেন আসামির ৬ ভাইকে। তারা হলেন হারুণ অর রশিদ, আবুল কালাম, রায়হান, মামুন মিয়া, নূরুল ইসলাম, খায়রুল।