নেশার টাকা ও সম্পত্তি বন্ধক দিতে কাগজে স্বাক্ষর না দেওয়ায় গর্ভধারিণী মা ও ভাইকে মারধরের অভিযোগ এনে ছেলে আবু তাহের (৩৮) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন হতভাগী মা হাদিছা বেগম।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) মা হাদিছা বেগম ছেলে আবু তাহেরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল গ্রহণকারী আদালতে।
হাদিছা বলেন, ‘আমার ছেলে প্রতিদিন নেশার টাকার জন্য চাপ দিতো। টাকা না দিলে সে আমাদের মারপিট করে নির্যাতন করতো। এমনকি ঘরের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করতো। তার অত্যাচারে বাড়ির সবাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। তাই বাধ্য হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ছেলে নেশাখোর বিধায় তাকে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ঘটনার দিন (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় আমার ছেলে আমার উত্তরের ভিটির বসত ঘরে প্রবেশ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে একটি হলুদ কাগজে আমাকে সই করতে বলে এবং ৫০ হাজার টাকা ও কিছু জমি বন্ধক দিতে হবে বলে জানায়। আমি অস্বীকার করায় আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। একপর্যায়ে আমি চিৎকার দিলে আমাকে গলায় চাপ দিয়ে ধরে। তখন আমার বড় ছেলে আমাকে রক্ষা করতে গেলে তার ডান চোখে একটি ঘুষি মেরে ফেলে দেয়। তখন আমার ঘরে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে অনুমান ১ লাখ টাকার ক্ষতি করে। আমার চিৎকারে সবাই ঘটনাস্থলে এসে দেখে ও ছেলে হুমকি দেয়, ভবিষ্যতে তার কথামতো জমি না দিলে আমাকে খুন করবে। আমার ঘটনার সাক্ষী আছে। সাক্ষীরা ঘটনা প্রমাণ করবে।’
সদর উপজেলার বিন্নাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। আমি খবর পাওয়ার পরপরই মেম্বারকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। পরে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, তারা ৭ ভাইয়ের মধ্যে ৬ ভাই আবু তাহেরের বিপক্ষে। মামলায় সাক্ষী করেন আসামির ৬ ভাইকে। তারা হলেন হারুণ অর রশিদ, আবুল কালাম, রায়হান, মামুন মিয়া, নূরুল ইসলাম, খায়রুল।