বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে দুর্নীতির তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম। দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) ২০২৪ সালের জন্য প্রকাশিত দুর্নীতি ধারণা সূচকে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। স্কোর ১০০-এ ২৩ পেয়ে বাংলাদেশ তালিকায় ১৪তম অবস্থানে রয়েছে। একই স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের সাথে অবস্থান করছে কঙ্গো ও ইরান।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ধানমন্ডিতে সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের সিপিআই সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ২৩, যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ বছর স্কোরের ওপর ভিত্তি করে দেশের অবস্থান উচ্চক্রম (ভালো থেকে খারাপ) অনুযায়ী ১৫১তম এবং নিম্নক্রম (খারাপ থেকে ভালো) অনুযায়ী ১৪তম।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, বাংলাদেশের স্কোর ও অবস্থানের এই অবনতি প্রমাণ করে যে, যদিও কর্তৃত্ববাদী সরকার মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছে, বাস্তবে দুর্নীতি প্রশ্রয় দেওয়া, লালন করা এবং দুর্নীতি সংঘটনে সহায়তা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “এ পরিস্থিতির জন্য যথেচ্ছ লুটপাট, দুর্নীতিবাজদের রাষ্ট্রীয়ভাবে তোষণ, আইনের সঠিক প্রয়োগ না করা এবং কাঠামোগত দুর্বলতা দায়ী।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, “দুর্নীতিবিরোধী বাগাড়ম্বর ব্যতীত এ নিয়ে সরকারের কোনো বিকার বা চিন্তা দেখা যায়নি। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের প্রকৃত ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে।”
এ ছাড়া, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান ১৭ পয়েন্ট নিয়ে সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে এবং বাংলাদেশ দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে। ২০২৪ সালে, বাংলাদেশ পূর্ববর্তী বছর ২০২৩ থেকে আরও দুই ধাপ অবনতি হয়েছে, যেখানে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২তম।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
এর আগে, ২০২৪ সালের সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৪, যা বিশ্বব্যাপী ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশের তালিকায় ১০ম অবস্থান সৃষ্টি করেছিল।