ঢাকা ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
মৌলভীবাজারে রোজাদার পথচারীদের মাঝে তারেক রহমানের উপহার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬টি সংস্থার নাম পরিবর্তন গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীদের আবির্ভাব বরদাস্ত করা যাবে না: ইশরাক কারা নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবে, জানালেন হাইকোর্ট ফটোশপ করে আহত দেখিয়ে সহায়তা দাবি, ধরা খেলেন গাজীপুরের নয়নসহ ৩ জন লোহিত সাগরে ফের ইসরায়েলি জাহাজে হামলার হুমকি মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুরটির শারীরিক অবস্থার অবনতি দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ‘ডিক্লারেশন’ বাতিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় বসবে না ইরান: মাসুদ পেজেশকিয়ান অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী আর নেই আরব সাগরে যৌথ মহড়া: ইরান-রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত চীন পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা

খালেদা জিয়াসহ ৮ জনকে নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালাস দিয়েছে আদালত

রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং হয়রানি করার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের নাইকো দুর্নীতি মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম এই পর্যবেক্ষণ দেন।

বিচারক রায় ঘোষণার আগে বলেন, “প্রশ্ন উঠতে পারে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কীভাবে আসামির আত্মপক্ষ শুনানি ছাড়াই মামলা থেকে খালাস পাচ্ছেন। তবে আইন অনুযায়ী, যদি আসামি আইনজীবীর মাধ্যমে হাজির থাকে, তবে তার অনুপস্থিতিতে রায় দেওয়া সম্ভব।”

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ও অপর আটজনকে মামলা থেকে খালাস দেয়ার পর আইনজীবীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মামলার অভিযোগ ছিল, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অর্থ প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।

২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান, বিএনপির নেতা গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, কাশেম শরীফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে। ২০১৮ সালে মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয় এবং ২০২৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।

আদালত আরও জানিয়েছে, এই মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে তার পক্ষে আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। আদালত খালেদা জিয়া ও অপর ৭ জনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছেন।

বিচারক রবিউল আলম এ সময় সেলিম ভূঁইয়ার জবানবন্দি সম্পর্কেও মন্তব্য করেন, যেখানে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল। আদালত জানান, এই ধরনের জবানবন্দি সত্যি বলে বিবেচিত হতে পারে না, কারণ তা চাপের মধ্যে নেওয়া হয়েছিল।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মৌলভীবাজারে রোজাদার পথচারীদের মাঝে তারেক রহমানের উপহার

Verified by MonsterInsights

খালেদা জিয়াসহ ৮ জনকে নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালাস দিয়েছে আদালত

আপডেট সময় ০৭:০৩:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং হয়রানি করার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের নাইকো দুর্নীতি মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম এই পর্যবেক্ষণ দেন।

বিচারক রায় ঘোষণার আগে বলেন, “প্রশ্ন উঠতে পারে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কীভাবে আসামির আত্মপক্ষ শুনানি ছাড়াই মামলা থেকে খালাস পাচ্ছেন। তবে আইন অনুযায়ী, যদি আসামি আইনজীবীর মাধ্যমে হাজির থাকে, তবে তার অনুপস্থিতিতে রায় দেওয়া সম্ভব।”

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ও অপর আটজনকে মামলা থেকে খালাস দেয়ার পর আইনজীবীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মামলার অভিযোগ ছিল, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অর্থ প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।

২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান, বিএনপির নেতা গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, কাশেম শরীফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে। ২০১৮ সালে মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয় এবং ২০২৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।

আদালত আরও জানিয়েছে, এই মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে তার পক্ষে আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। আদালত খালেদা জিয়া ও অপর ৭ জনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছেন।

বিচারক রবিউল আলম এ সময় সেলিম ভূঁইয়ার জবানবন্দি সম্পর্কেও মন্তব্য করেন, যেখানে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল। আদালত জানান, এই ধরনের জবানবন্দি সত্যি বলে বিবেচিত হতে পারে না, কারণ তা চাপের মধ্যে নেওয়া হয়েছিল।