রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং হয়রানি করার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের নাইকো দুর্নীতি মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম এই পর্যবেক্ষণ দেন।
বিচারক রায় ঘোষণার আগে বলেন, “প্রশ্ন উঠতে পারে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কীভাবে আসামির আত্মপক্ষ শুনানি ছাড়াই মামলা থেকে খালাস পাচ্ছেন। তবে আইন অনুযায়ী, যদি আসামি আইনজীবীর মাধ্যমে হাজির থাকে, তবে তার অনুপস্থিতিতে রায় দেওয়া সম্ভব।”
নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ও অপর আটজনকে মামলা থেকে খালাস দেয়ার পর আইনজীবীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মামলার অভিযোগ ছিল, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অর্থ প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান, বিএনপির নেতা গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, কাশেম শরীফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে। ২০১৮ সালে মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয় এবং ২০২৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।
আদালত আরও জানিয়েছে, এই মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে তার পক্ষে আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। আদালত খালেদা জিয়া ও অপর ৭ জনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছেন।
বিচারক রবিউল আলম এ সময় সেলিম ভূঁইয়ার জবানবন্দি সম্পর্কেও মন্তব্য করেন, যেখানে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল। আদালত জানান, এই ধরনের জবানবন্দি সত্যি বলে বিবেচিত হতে পারে না, কারণ তা চাপের মধ্যে নেওয়া হয়েছিল।