ঢাকা ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
নীলফামারীতে শিশুদের ক্রিকেট খেলা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ : থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা নরসিংদীতে স্ত্রীকে হত্যায় অভিযুক্ত পলাতক স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার লালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দোকান কর্মচারীর মৃত্যু এমডিসহ ৮ কর্মকর্তাকে আদালতের শোকজ: যমুনা সার কারখানায় অবৈধভাবে ঠিকাদার নিয়োগের পাঁয়তারা ময়মনসিংহে পুলিশকে ফাঁসাতে গিয়ে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী ধরাশায়ী মির্জাপুরে নিজের শিশু মেয়েকে ধর্ষণের অপরাধে বাবা গ্রেপ্তার গাজীপুর টঙ্গীতে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার লালপুরে চাঁদার টাকা না পেয়ে মারধরে আহত ১, প্রকাশ্যে গুলি বর্ষণ নিখোঁজের পরদিন মিললো স্কুল ছাত্রের ক্ষতবিক্ষত লাশ সন্তান ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ নীলফামারীর এক গর্ভধারিণী মা মির্জাপুরে চার মাসে ৭৪ মামলায় ৮০ লাখ টাকা জরিমানা ধর্মপাশায় মোটর সাইকেল দিয়ে এক কৃষককে হত্যার ঘটনা তিনলাখ টাকায় ধামাচাপার চেষ্টা

আলোচিত এডিসি সানজিদাসহ পুলিশের ৩৫ কর্মকর্তাকে বদলি

রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের নেতাদের মারধরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনায় আসা ডিএমপির এডিসি সানজিদা আফরিনকে বদলি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সানজিদাসহ আরও ৩৫ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ইউনিটে পদায়ন করা হয়।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এডিসি সানজিদা আফরিনকে রংপুরের পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার বেশ কিছু কর্মকর্তাকেও বিভিন্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে।

গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর রাতে এডিসি হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শাহবাগ থানার সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। ওই ঘটনার সূত্রে পুলিশ কর্মকর্তা সানজিদা আফরিনের নামও সামনে আসে।

পুলিশ ও প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হকের স্ত্রী এডিসি সানজিদা আফরিন ঘটনার দিন বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান এবং এডিসি হারুনকে সহায়তার জন্য সেখানে ডেকে পাঠান। পরবর্তীতে আজিজুল হক ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন হাসপাতালেই এডিসি হারুনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

পরবর্তীতে এডিসি হারুনকে ডিএমপির সদর দপ্তরে সংযুক্ত করার পর তাকে একাধিকবার বদলি করা হয় এবং শেষ পর্যন্ত বরখাস্ত করা হয়। তৎকালীন সময় থেকে সানজিদা আফরিনের বদলির বিষয়ে আলোচনা চলছিল, যা বাস্তবে কার্যকর হলো।

এ ঘটনায় পুলিশের কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নীলফামারীতে শিশুদের ক্রিকেট খেলা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ : থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা

Verified by MonsterInsights

আলোচিত এডিসি সানজিদাসহ পুলিশের ৩৫ কর্মকর্তাকে বদলি

আপডেট সময় ০১:২২:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের নেতাদের মারধরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনায় আসা ডিএমপির এডিসি সানজিদা আফরিনকে বদলি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সানজিদাসহ আরও ৩৫ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ইউনিটে পদায়ন করা হয়।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এডিসি সানজিদা আফরিনকে রংপুরের পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার বেশ কিছু কর্মকর্তাকেও বিভিন্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে।

গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর রাতে এডিসি হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শাহবাগ থানার সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। ওই ঘটনার সূত্রে পুলিশ কর্মকর্তা সানজিদা আফরিনের নামও সামনে আসে।

পুলিশ ও প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হকের স্ত্রী এডিসি সানজিদা আফরিন ঘটনার দিন বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান এবং এডিসি হারুনকে সহায়তার জন্য সেখানে ডেকে পাঠান। পরবর্তীতে আজিজুল হক ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন হাসপাতালেই এডিসি হারুনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

পরবর্তীতে এডিসি হারুনকে ডিএমপির সদর দপ্তরে সংযুক্ত করার পর তাকে একাধিকবার বদলি করা হয় এবং শেষ পর্যন্ত বরখাস্ত করা হয়। তৎকালীন সময় থেকে সানজিদা আফরিনের বদলির বিষয়ে আলোচনা চলছিল, যা বাস্তবে কার্যকর হলো।

এ ঘটনায় পুলিশের কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।