রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের নেতাদের মারধরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনায় আসা ডিএমপির এডিসি সানজিদা আফরিনকে বদলি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সানজিদাসহ আরও ৩৫ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ইউনিটে পদায়ন করা হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এডিসি সানজিদা আফরিনকে রংপুরের পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার বেশ কিছু কর্মকর্তাকেও বিভিন্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর রাতে এডিসি হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শাহবাগ থানার সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। ওই ঘটনার সূত্রে পুলিশ কর্মকর্তা সানজিদা আফরিনের নামও সামনে আসে।
পুলিশ ও প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হকের স্ত্রী এডিসি সানজিদা আফরিন ঘটনার দিন বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান এবং এডিসি হারুনকে সহায়তার জন্য সেখানে ডেকে পাঠান। পরবর্তীতে আজিজুল হক ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন হাসপাতালেই এডিসি হারুনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
পরবর্তীতে এডিসি হারুনকে ডিএমপির সদর দপ্তরে সংযুক্ত করার পর তাকে একাধিকবার বদলি করা হয় এবং শেষ পর্যন্ত বরখাস্ত করা হয়। তৎকালীন সময় থেকে সানজিদা আফরিনের বদলির বিষয়ে আলোচনা চলছিল, যা বাস্তবে কার্যকর হলো।
এ ঘটনায় পুলিশের কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।