ঢাকা ০২:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পিএসসিকে চাপ দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া ডিএসসিসি’র ব্যাটারির দরপত্রে অনিয়ম  :  কর্পোরেশনের ২০ লাখ টাকা গচ্চা এলজিইডির সদর দপ্তরসহ একযোগে ৩৬ অফিসে দুদকের অভিযান মৌলভীবাজারে ডাকাতির ঘটনায় ৫ডাকাতসহ গ্রেফতার-৭: অস্ত্র, গুলি, লুণ্ঠিত টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার রেললাইনের পাশে পড়েছিল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ নাগরপুরে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিরছা ব্রিকসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ইউএসটিসিতে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার ও ফ্রি স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে ইকবাল হত্যার বিচার ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন মৌলভীবাজার পৈলভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে দুর্নীতি: ঠিকাদারের সাথে এলজিইডি কর্মকর্তারা জড়িত জাতীয় আইন সহায়তা দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদী ভাঙনে ১৫টি ঘর বিলীন, দেড়শ পরিবার নিঃস্ব

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুবিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করেছেন, পিলখানায় বীর সেনা সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের সুবিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ। তিনি বলেন, “পিলখানার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর বহু বছর ধরে আমাদের জাতিকে বিভ্রান্তিতে রাখা হয়েছে। এখন রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের দায়িত্ব, সেই নির্মমতার ন্যায়সঙ্গত বিচার নিশ্চিত করা।”

ড. ইউনূস আরও জানান, শহীদ পরিবারগুলির সদস্যরা প্রিয়জন হারানোর এত বছর পরও স্বজন হত্যার সুবিচার পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। এই উপলক্ষে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন, “আমরা দেশের সকল শহীদ পরিবার ও নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়াবো এবং তাদের ক্ষতির প্রতিশোধে কাজ করে যাচ্ছি।”

তিনি বলেন, আজ থেকে প্রতিবার ২৫ ফেব্রুয়ারিকে পিলখানায় ২০০৯ সালে সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সকল শহীদের স্মরণে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস হিসেবে পালিত হবে। এই দিনে তিনি গভীর বেদনা ও বিনম্র শ্রদ্ধা প্রকাশ করে জাতির সূর্য সন্তান শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণ করেন এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

ড. ইউনূস আরও মন্তব্য করেন, “এই দিনটি আমাদের চেতনা ও সংগ্রামের একটি অনন্য প্রতীক হয়ে থাকবে, যা ভবিষ্যতে দুঃশাসন, ষড়যন্ত্র ও আত্ম-অহংকারে আর কোনো প্রাণ হারানোর পথ বন্ধ করবে। আমাদের প্রত্যাশা, প্রত্যেক মানুষ তার আত্মসম্মান ও মানবিক অধিকার নিয়ে সঠিক পথে পৌঁছাতে পারবে।”

তিনি বলেন, “ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বেকারত্বমুক্ত একটি আদর্শ পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশই হওয়া উচিত মাপকাঠি, আর এই উদ্দেশ্যে আমরা একটি স্বনির্ভর ও সুসভ্য বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকারবদ্ধ।”

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

Verified by MonsterInsights

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুবিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৫:২১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করেছেন, পিলখানায় বীর সেনা সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের সুবিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ। তিনি বলেন, “পিলখানার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর বহু বছর ধরে আমাদের জাতিকে বিভ্রান্তিতে রাখা হয়েছে। এখন রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের দায়িত্ব, সেই নির্মমতার ন্যায়সঙ্গত বিচার নিশ্চিত করা।”

ড. ইউনূস আরও জানান, শহীদ পরিবারগুলির সদস্যরা প্রিয়জন হারানোর এত বছর পরও স্বজন হত্যার সুবিচার পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। এই উপলক্ষে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন, “আমরা দেশের সকল শহীদ পরিবার ও নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়াবো এবং তাদের ক্ষতির প্রতিশোধে কাজ করে যাচ্ছি।”

তিনি বলেন, আজ থেকে প্রতিবার ২৫ ফেব্রুয়ারিকে পিলখানায় ২০০৯ সালে সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সকল শহীদের স্মরণে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস হিসেবে পালিত হবে। এই দিনে তিনি গভীর বেদনা ও বিনম্র শ্রদ্ধা প্রকাশ করে জাতির সূর্য সন্তান শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণ করেন এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

ড. ইউনূস আরও মন্তব্য করেন, “এই দিনটি আমাদের চেতনা ও সংগ্রামের একটি অনন্য প্রতীক হয়ে থাকবে, যা ভবিষ্যতে দুঃশাসন, ষড়যন্ত্র ও আত্ম-অহংকারে আর কোনো প্রাণ হারানোর পথ বন্ধ করবে। আমাদের প্রত্যাশা, প্রত্যেক মানুষ তার আত্মসম্মান ও মানবিক অধিকার নিয়ে সঠিক পথে পৌঁছাতে পারবে।”

তিনি বলেন, “ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বেকারত্বমুক্ত একটি আদর্শ পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশই হওয়া উচিত মাপকাঠি, আর এই উদ্দেশ্যে আমরা একটি স্বনির্ভর ও সুসভ্য বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকারবদ্ধ।”