রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ৮ সদস্যের একটি টিম বাংলাদেশ ব্যাংকে পৌঁছেছে। এ সময় তারা ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ব্যাংকের লকার খুলতে শুরু করেছে। লকারগুলোতে রক্ষিত নথিপত্র এবং অর্থসম্পদ তালিকা করা হবে।
দুদকের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে সাবেক এবং বর্তমান মিলিয়ে তিনশ’রও বেশি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার অর্থসম্পদ এবং মূল্যবান নথিপত্র সেফ ডিপোজিট হিসেবে রাখা রয়েছে। এই লকারগুলোর মধ্যে কিছু দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নামেও লকার রয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারি দুদক এক অভিযানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের লকারে প্রায় ৫ কোটি টাকার সম্পদ উদ্ধার করেছে। ওই সময় আরও কিছু লকার দেখতে পেয়েছিল তারা, যার মধ্যে বর্তমানে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তাধীন কর্মকর্তাদের নামেও লকার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই কারণে, দুদক ওইসব লকারে তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়ে এসব লকার খুলতে না দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। এরপর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখার লকার আর কাউকে খুলতে দেওয়া হয়নি।