ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে একে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা তোলার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই অভিযোগে বিজেপি, কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে প্রতিবাদ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস)।
আরএসএসের নেতা রজনিশ জিন্দাল জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশ দূতাবাসে স্মারকলিপি জমা দেবেন এবং জাতিসংঘ, ইউএনএইচআরসি, ডব্লিউএইচও, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও এডিবিসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে একটি স্মারকলিপি পাঠাবেন। এই স্মারকলিপিতে তারা বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতা বন্ধে অবিলম্বে হস্তক্ষেপের দাবি জানাবেন। ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্টও বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার প্রতিবাদে মাঠে নেমেছে। গত শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) কলকাতা জেলা কমিটির ডাকে এক প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে অংশ নেয় বামফ্রন্টের শরিক দল সিপিএমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমসহ অন্য নেতাকর্মীরা। বামফ্রন্টের দাবি, বাংলাদেশ এবং ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জীবন ও জীবিকার ওপর আক্রমণ বন্ধ করতে হবে।
এছাড়া, ১০ ডিসেম্বর নাগপুরে আরএসএসের পক্ষ থেকেও প্রতিবাদ মিছিল ও মোটরসাইকেল র্যালির আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি জানানো হবে।