ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী এক প্রতিবাদ জানানোর উদ্দেশ্যে বিএনপির তিন তরুণ সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদল আজ (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা থেকে লংমার্চ করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে লাখো নেতাকর্মী সমাবেশ করেছে। এই লংমার্চের মাধ্যমে তারা ভারতের বিরুদ্ধে কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছে এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত করেছে।
লংমার্চ শুরু হয় রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টন থেকে এবং তা আখাউড়া সীমান্তে এসে শেষ হয়। এ সময় তরুণ নেতারা ইস্পাত কঠিন ঐক্যের মাধ্যমে ভারতের আধিপত্যবাদকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন। তারা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কখনোই কোনো দেশের প্রভুত্ব মেনে নেবে না, এবং ভারতের প্রভুত্বও মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও তা মেনে নেবে না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, এ স্বাধীনতা আমরা বিক্রি করে দেবো না।” তিনি ভারতের শাসকগোষ্ঠীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তাদের দুর্বলতার কারণে তারা বাংলাদেশের জনগণের শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস সম্পর্কে কিছুই জানে না।
লংমার্চের সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে, এবং তারা ভারত বিরোধী নানা স্লোগান দেয়। ঢাকা, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, সিলেট, ভৈরব, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আখাউড়া থেকে আসা নেতাকর্মীরা লংমার্চে শরিক হন। তারা জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করেন এবং ভারত বিরোধী স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানান।
আখাউড়া সীমান্তে সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা প্রয়োজন, কারণ তারা বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা করেছে, দেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করেছে এবং সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকদের উপর হামলা করেছে। যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী এবং ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব সহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া, সমাবেশে বক্তারা শেখ হাসিনার ভারতপন্থী সরকারের সমালোচনা করেন এবং তাদের অভিযোগ করেন যে, এই সরকার ভারতকে আশ্রয় দিয়েছে এবং বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি অবজ্ঞা দেখিয়েছে।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপি তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে, এবং দেশবাসীকে সাবধান করেছে যেন তারা দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে কখনো পিছপা না হয়।