ঢাকা ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বাজিতপুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রকিবুল ইসলাম শিবলী আটক যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার বাংলাদেশ সময়ের নির্বাহী সম্পাদকের জন্মদিনে শুভেচ্ছা IRIDP-3 প্রকল্পে সহকারী প্রকৌশলী মো: জাকির হোসেনের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ এলজিইডি সংশ্লিষ্ট কেউ অপরাধ করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ,প্রধান প্রকৌশলী রুটিন দায়িত্ব ,এলজিইডি আদালতে যাওয়ার পথে হত্যা মামলার আসামিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করতে আইএমএফের তাগাদা তাপস-মুন্নীর গানবাংলা টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করছে: নাহিদ ইসলাম ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তরুণদের দিয়ে বিএনপির কড়া সতর্ক বার্তা পোশাক খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হয়েছে: উপদেষ্টা  এম সাখাওয়াত হোসেন শ্রীমঙ্গলে প্রেমিকের হাতে প্রেমিকা খুন, ৪ দিন পরে গ্রেফতার প্রেমিক মৌলভীবাজারে তাপমাত্রা ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস প্রমিতা দেবের মেধা ও সংগ্রামের জয়; পুলিশ কনস্টেবল পদে নির্বাচিত শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করেছে বিএফআইইউ

প্রমিতা দেবের মেধা ও সংগ্রামের জয়; পুলিশ কনস্টেবল পদে নির্বাচিত

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৩ নং কামালপুর বাজার ৬ নং ওয়ার্ড ইউনিয়নের আব্দালপুর গ্রামের নিম্নবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা প্রমিতা দেব। প্রমিতার মা’র স্বপ্ন ছিল মেয়ে পুলিশ হবে। প্রমিতার মা দিপালী দেব স্বপ্ন যেটা দেখেছিলেন, স্বপ্নটি পূরণ হয়েছে। কিন্তু দেখে যেতে পারলেন না প্রমিতার তিনি, পরলোকে তিনি চলে যান।

মৌলভীবাজারে পুলিশ কনস্টেবল পদে জীবনে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেছেন, তবুও হাল ছাড়েননি প্রমিতা। তীব্র অভাব আর টানাপোড়নের সংসার তাদের। অর্থ সংকটে অনেক সময় পরিবারের সবাইকে না খেয়ে থাকতে হয়েছে। পরিবারের আয়ের উৎস বলতে তাতেই কোনোরকম চলে সংসার। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কলেজ পর্যন্ত কোনদিন কোচিং কিংবা প্রাইভেট পড়তে হয়নি। তবে স্কুলের স্যাররা প্রমিতাকে সাহায্য করতেন। পড়াশোনা চালাতে অনেক সময় টাকা থাকতো না, ভর্তির জন্য তার গ্রামের প্রতিবেশীরা টাকা দিয়ে সহযোগীতা করেছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, আব্দালপুর গ্রামে প্রমিতার বাবা লন্টু দেব পেশায় একজন কৃষক। এমনই এক কৃষক পরিবারে বেড়ে উঠা প্রমিতা। প্রমিতাদের বাবা পাশের কৃষক জমিতে থেকে সবজির চারা বিক্রি করেন। প্রমিতা যেভাবে পড়াশোনা করেছে তা অবিশ্বাস্য ঘটনা। সে খুব কষ্ট করে পড়াশোনা করেছে। তার বাবা কোনো কোনো সময় হাত খরচের টাকা দিতে পারতো না, ও কান্না করতো, হয়তো তার কাকা বা আমি দিতাম টিফিনের টাকা। আমরা ওকে বুঝিয়ে স্কুলে পাঠাতাম। মেধা দিয়ে এই সরকারি চাকরি পেয়েছে এটাই আমাদের খুশি।

মেয়েকে খুব কষ্ট করে লেখাপড়া করিয়েছেন এবং একজন সাধারণ কৃষক সেই পরিশ্রমের সুফল পেয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর রাতে পুলিশ লাইন্সে নির্বাচিত ৫৬ জনের নাম ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার এম. কে. এইচ. জাহাঙ্গীর হোসেন। বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ৪ ডিসেম্বর রাতে মৌলভীবাজার জেলার ৫৬জন প্রার্থী স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। কনস্টেবল পদের জন্য সব ধাপ পেড়িয়ে উত্তীর্ণদের তালিকায় প্রমিতার নামও উঠে আসে।

জানা যায়, প্রমিতার মা দিপালী রাণী দেব ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৪ সালে মারা যাওয়ার পরের বছর তার বড় বোনের বিয়ে হয়। আর আজমনি বহুমুখী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রমিতা লেখাপড়া করে। বর্তমানে এই তরুণী মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

মৌলভীবাজার পুলিশের কনস্টেবল পদে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রমিতা দেব বলেন আমি যখন চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ি তখন আমাদের চার বোনকে রেখে আমাদের মা মারা যায়। এবার পুলিশ নিয়োগে ৫৬ জন নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আমি ২১ তম মেধায় উত্তীর্ণ হয়েছি। এই পুলিশের চাকরির জন্য কোনো ধরনের টাকা লাগেনি। যা খরচ হয়েছে তা আমার যাতায়াত খরচ, এর বাইরে অতিরিক্ত কোনো টাকা দিতে হয়নি। এবার সম্পূর্ণ মেধা তালিকায় পুলিশে নিয়োগ নেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেশীরা জানান এবার বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ ২০২৪ এ প্রমিতা দেব প্রাথমিকভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে যে উত্তীর্ণ হয়েছে এতে আমরা খুব খুশি। আগে সবাই জানতো যে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে টাকা লাগতো বা দালালদের মাধ্যমে ঘুষ দিয়ে চাকরি দেওয়া হতো। এই প্রথম দেখলাম আমাদের প্রমিতা কোনো ঘুষ, টাকা, দালাল ছাড়াই একদম নিরপেক্ষভাবে চাকরি পেয়েছে। এই মেয়েটা পড়ালেখা করতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছে। সব চেয়ে বেশি খুশি হয়েছি তার চাকরির জন্য কোনো ঘুষ দিতে হয়নি, একটি টাকাও খরচ করতে হয়নি। এখন সে পুলিশে চাকরি পাওয়ায় আমাদের গ্রামের গর্ব।

প্রমিতার বাবা লন্টু দেব বলেন আমি একজন কৃষক। ফসল চাষ করে অনেক কষ্টে চলছি। আমার চার মেয়েকে নিয়ে কোনোরকম জীবনযাপন করছি। এক মেয়ে বিয়ে দিয়েছি, আর তিন মেয়ে রয়েছে,মেয়েদের লেখাপড়ায় অনেকে অনেকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছে। আমার এক মেয়ের সরকারি চাকরি পেয়েছে এতে আমি অনেক খুশি।

মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার এম. কে. এইচ. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের সার্কুলার দেওয়ার পর থেকেই সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল পুলিশ হেডকোয়ার্টার এর। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম থেকেই আমরা নার্সিং এর কাজ শুরু করেছিলাম। যখন বিভিন্ন জায়গায় আমরা পোস্টারিং করেছি, লিফলেট বিতরণ করেছি যে পুলিশ নিয়োগে কোনোরকম টাকা পয়সা লাগে না, কোনো দালালের কাছে যাবেন না, মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। পুলিশ নিয়োগে আমরা মেধাকে প্রাধান্য দিয়েছি। মেধা, শারীরিক যোগ্যতা এগুলোতে যারা উত্তীর্ণ হতে পেরেছে তাদেরকে আমরা নির্বাচন করেছি। নিয়োগের মাধ্যমেই পুলিশ মানুষের কাছাকাছি যেতে পারে, মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাজিতপুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রকিবুল ইসলাম শিবলী আটক

যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

বাংলাদেশ সময়ের নির্বাহী সম্পাদকের জন্মদিনে শুভেচ্ছা

IRIDP-3 প্রকল্পে সহকারী প্রকৌশলী মো: জাকির হোসেনের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ

এলজিইডি সংশ্লিষ্ট কেউ অপরাধ করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ,প্রধান প্রকৌশলী রুটিন দায়িত্ব ,এলজিইডি

প্রমিতা দেবের মেধা ও সংগ্রামের জয়; পুলিশ কনস্টেবল পদে নির্বাচিত

আপডেট সময় ০৫:৫০:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৩ নং কামালপুর বাজার ৬ নং ওয়ার্ড ইউনিয়নের আব্দালপুর গ্রামের নিম্নবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা প্রমিতা দেব। প্রমিতার মা’র স্বপ্ন ছিল মেয়ে পুলিশ হবে। প্রমিতার মা দিপালী দেব স্বপ্ন যেটা দেখেছিলেন, স্বপ্নটি পূরণ হয়েছে। কিন্তু দেখে যেতে পারলেন না প্রমিতার তিনি, পরলোকে তিনি চলে যান।

মৌলভীবাজারে পুলিশ কনস্টেবল পদে জীবনে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেছেন, তবুও হাল ছাড়েননি প্রমিতা। তীব্র অভাব আর টানাপোড়নের সংসার তাদের। অর্থ সংকটে অনেক সময় পরিবারের সবাইকে না খেয়ে থাকতে হয়েছে। পরিবারের আয়ের উৎস বলতে তাতেই কোনোরকম চলে সংসার। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কলেজ পর্যন্ত কোনদিন কোচিং কিংবা প্রাইভেট পড়তে হয়নি। তবে স্কুলের স্যাররা প্রমিতাকে সাহায্য করতেন। পড়াশোনা চালাতে অনেক সময় টাকা থাকতো না, ভর্তির জন্য তার গ্রামের প্রতিবেশীরা টাকা দিয়ে সহযোগীতা করেছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, আব্দালপুর গ্রামে প্রমিতার বাবা লন্টু দেব পেশায় একজন কৃষক। এমনই এক কৃষক পরিবারে বেড়ে উঠা প্রমিতা। প্রমিতাদের বাবা পাশের কৃষক জমিতে থেকে সবজির চারা বিক্রি করেন। প্রমিতা যেভাবে পড়াশোনা করেছে তা অবিশ্বাস্য ঘটনা। সে খুব কষ্ট করে পড়াশোনা করেছে। তার বাবা কোনো কোনো সময় হাত খরচের টাকা দিতে পারতো না, ও কান্না করতো, হয়তো তার কাকা বা আমি দিতাম টিফিনের টাকা। আমরা ওকে বুঝিয়ে স্কুলে পাঠাতাম। মেধা দিয়ে এই সরকারি চাকরি পেয়েছে এটাই আমাদের খুশি।

মেয়েকে খুব কষ্ট করে লেখাপড়া করিয়েছেন এবং একজন সাধারণ কৃষক সেই পরিশ্রমের সুফল পেয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর রাতে পুলিশ লাইন্সে নির্বাচিত ৫৬ জনের নাম ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার এম. কে. এইচ. জাহাঙ্গীর হোসেন। বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ৪ ডিসেম্বর রাতে মৌলভীবাজার জেলার ৫৬জন প্রার্থী স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। কনস্টেবল পদের জন্য সব ধাপ পেড়িয়ে উত্তীর্ণদের তালিকায় প্রমিতার নামও উঠে আসে।

জানা যায়, প্রমিতার মা দিপালী রাণী দেব ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৪ সালে মারা যাওয়ার পরের বছর তার বড় বোনের বিয়ে হয়। আর আজমনি বহুমুখী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রমিতা লেখাপড়া করে। বর্তমানে এই তরুণী মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

মৌলভীবাজার পুলিশের কনস্টেবল পদে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রমিতা দেব বলেন আমি যখন চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ি তখন আমাদের চার বোনকে রেখে আমাদের মা মারা যায়। এবার পুলিশ নিয়োগে ৫৬ জন নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আমি ২১ তম মেধায় উত্তীর্ণ হয়েছি। এই পুলিশের চাকরির জন্য কোনো ধরনের টাকা লাগেনি। যা খরচ হয়েছে তা আমার যাতায়াত খরচ, এর বাইরে অতিরিক্ত কোনো টাকা দিতে হয়নি। এবার সম্পূর্ণ মেধা তালিকায় পুলিশে নিয়োগ নেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেশীরা জানান এবার বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ ২০২৪ এ প্রমিতা দেব প্রাথমিকভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে যে উত্তীর্ণ হয়েছে এতে আমরা খুব খুশি। আগে সবাই জানতো যে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে টাকা লাগতো বা দালালদের মাধ্যমে ঘুষ দিয়ে চাকরি দেওয়া হতো। এই প্রথম দেখলাম আমাদের প্রমিতা কোনো ঘুষ, টাকা, দালাল ছাড়াই একদম নিরপেক্ষভাবে চাকরি পেয়েছে। এই মেয়েটা পড়ালেখা করতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছে। সব চেয়ে বেশি খুশি হয়েছি তার চাকরির জন্য কোনো ঘুষ দিতে হয়নি, একটি টাকাও খরচ করতে হয়নি। এখন সে পুলিশে চাকরি পাওয়ায় আমাদের গ্রামের গর্ব।

প্রমিতার বাবা লন্টু দেব বলেন আমি একজন কৃষক। ফসল চাষ করে অনেক কষ্টে চলছি। আমার চার মেয়েকে নিয়ে কোনোরকম জীবনযাপন করছি। এক মেয়ে বিয়ে দিয়েছি, আর তিন মেয়ে রয়েছে,মেয়েদের লেখাপড়ায় অনেকে অনেকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছে। আমার এক মেয়ের সরকারি চাকরি পেয়েছে এতে আমি অনেক খুশি।

মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার এম. কে. এইচ. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের সার্কুলার দেওয়ার পর থেকেই সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল পুলিশ হেডকোয়ার্টার এর। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম থেকেই আমরা নার্সিং এর কাজ শুরু করেছিলাম। যখন বিভিন্ন জায়গায় আমরা পোস্টারিং করেছি, লিফলেট বিতরণ করেছি যে পুলিশ নিয়োগে কোনোরকম টাকা পয়সা লাগে না, কোনো দালালের কাছে যাবেন না, মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। পুলিশ নিয়োগে আমরা মেধাকে প্রাধান্য দিয়েছি। মেধা, শারীরিক যোগ্যতা এগুলোতে যারা উত্তীর্ণ হতে পেরেছে তাদেরকে আমরা নির্বাচন করেছি। নিয়োগের মাধ্যমেই পুলিশ মানুষের কাছাকাছি যেতে পারে, মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারে।