আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে আবারও তাগাদা দিয়েছে, যেন বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করা হয়।
মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে এই তাগাদা দেয় আইএমএফ-এর একটি প্রতিনিধি দল।
বাংলাদেশকে দেয়া ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ার পূর্বে, আইএমএফের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে গত ৪ ডিসেম্বর থেকে বৈঠক করছে, এবং তৃতীয় কিস্তির অর্থ ব্যবহারের অগ্রগতি পর্যালোচনা করছে। আইএমএফের গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকস প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি বিষয়টি পর্যালোচনা করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা জানিয়েছেন, গত তিন মাস ধরে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থির অবস্থায় রয়েছে। আইএমএফ পরামর্শ দিয়েছে, ডলারের বিনিময় হারকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাজারের চাহিদা ও যোগানের সাথে সমন্বয় করতে হবে। এর জন্য ক্রলিং পেগ পদ্ধতির বাস্তবায়ন করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
ক্রলিং পেগ পদ্ধতি হল একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি দেশের মুদ্রা বিনিময় হার একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ওঠানামা করতে পারে। এটি মুদ্রার দামের ওঠানামা সীমিত রাখে, যাতে হঠাৎ করে মূল্য বাড়ানোর বা কমানোর সুযোগ না থাকে। আইএমএফের পরামর্শে, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত মে মাসে এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন শুরু করেছে, এবং মুদ্রানীতিতে এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আইএমএফ-এর ঋণ চুক্তি অনুযায়ী, চতুর্থ কিস্তির জন্য বাংলাদেশকে ৮ কোটি ৩৩ লাখ এসডিআর বরাদ্দ করা হয়েছে, যা মোট ঋণের ৩৩ শতাংশ। চতুর্থ কিস্তি ছাড়লে বাংলাদেশ মোট ৩৫ কোটি ২৩ লাখ এসডিআর (আইএমএফ মুদ্রা) পাবে, যা ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের মোট ঋণের একটি বড় অংশ।