ঢাকা ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পিএসসিকে চাপ দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া ডিএসসিসি’র ব্যাটারির দরপত্রে অনিয়ম  :  কর্পোরেশনের ২০ লাখ টাকা গচ্চা এলজিইডির সদর দপ্তরসহ একযোগে ৩৬ অফিসে দুদকের অভিযান মৌলভীবাজারে ডাকাতির ঘটনায় ৫ডাকাতসহ গ্রেফতার-৭: অস্ত্র, গুলি, লুণ্ঠিত টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার রেললাইনের পাশে পড়েছিল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ নাগরপুরে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিরছা ব্রিকসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ইউএসটিসিতে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার ও ফ্রি স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে ইকবাল হত্যার বিচার ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন মৌলভীবাজার পৈলভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে দুর্নীতি: ঠিকাদারের সাথে এলজিইডি কর্মকর্তারা জড়িত জাতীয় আইন সহায়তা দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদী ভাঙনে ১৫টি ঘর বিলীন, দেড়শ পরিবার নিঃস্ব

ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাংচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, এই ঘটনাটি “অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত” এবং এটি পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্যের ফলস্বরূপ ঘটেছে, যা জনমনে গভীর ক্রোধ সৃষ্টি করেছে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে ড. ইউনূস এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার বক্তব্যের কারণে জনমনে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাংচুরের মাধ্যমে।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “গত ছয় মাসে ৩২ নম্বর বাড়িটিতে কোনো ধরনের আক্রমণ বা ধংসযজ্ঞ হয়নি, তবে পলাতক শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর এই ঘটনা ঘটেছে।”

তিনি উল্লেখ করেন, হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ছিল- প্রথমত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন, তাদের সম্মানহানি করা এবং দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনার দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবিরোধী ভাষণের পুনরাবৃত্তি।

এ ঘটনার দায় শেখ হাসিনাকে দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, “তিনি এই সহিংস আচরণের মাধ্যমে জনগণের ক্ষতিসাধন করে চলেছেন, যার পরিণতি হিসেবে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।”

তিনি আরও বলেন, “সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ সতর্ক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।”

ড. ইউনূস জানিয়েছেন, সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত শেখ হাসিনার বক্তব্য বন্ধ করতে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তবে, তিনি আরও জানান, সরকার আশা করে ভারত যেন বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য কোনো প্রকার সহযোগিতা না করে এবং শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেয়।

আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন ড. ইউনূস। “জুলাই গণহত্যা এবং উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে,” বলেন তিনি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

Verified by MonsterInsights

ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

আপডেট সময় ০৯:৪২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাংচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, এই ঘটনাটি “অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত” এবং এটি পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্যের ফলস্বরূপ ঘটেছে, যা জনমনে গভীর ক্রোধ সৃষ্টি করেছে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে ড. ইউনূস এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার বক্তব্যের কারণে জনমনে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাংচুরের মাধ্যমে।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “গত ছয় মাসে ৩২ নম্বর বাড়িটিতে কোনো ধরনের আক্রমণ বা ধংসযজ্ঞ হয়নি, তবে পলাতক শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর এই ঘটনা ঘটেছে।”

তিনি উল্লেখ করেন, হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ছিল- প্রথমত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন, তাদের সম্মানহানি করা এবং দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনার দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবিরোধী ভাষণের পুনরাবৃত্তি।

এ ঘটনার দায় শেখ হাসিনাকে দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, “তিনি এই সহিংস আচরণের মাধ্যমে জনগণের ক্ষতিসাধন করে চলেছেন, যার পরিণতি হিসেবে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।”

তিনি আরও বলেন, “সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ সতর্ক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।”

ড. ইউনূস জানিয়েছেন, সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত শেখ হাসিনার বক্তব্য বন্ধ করতে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তবে, তিনি আরও জানান, সরকার আশা করে ভারত যেন বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য কোনো প্রকার সহযোগিতা না করে এবং শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেয়।

আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন ড. ইউনূস। “জুলাই গণহত্যা এবং উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে,” বলেন তিনি।