ঢাকা ১০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ভারতের পার্লামেন্টে শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে আলোচনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ‘ধানমন্ডি ৩২’ মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত ৪ পুলিশ সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব শেখ মুজিবকে নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক্সে পোস্টের সত্যতা! অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন আটক ক্ষেতলালে ইউএনওর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ময়মনসিংহে শিশুকে অপহরণ করে লাশ গুমের ঘটনায় যুবকের আমৃত্যু কারাদন্ড মৌলভীবাজারে শেখ মুজিবুর রহমানের দু’টি পৃথক ম্যুরাল ভাংচুর করেছে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা মৌলভীবাজার কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর পুরস্কার বিতরণী উৎসব ভাঙ্গুড়ায় প্রাথমিকের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি: ইন্সট্রাকটরকে মারধর

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত কয়েদী এনামুলের মৃত্যু

  • যশোর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০৭:৩১:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫০৮ বার পড়া হয়েছে

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদী এনামুল বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি যশোরের চাঞ্চল্যকর মফিজ হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শরিফুল আলম। এনামুল যশোর সদর উপজেলার চানপাড়া গ্রামের মফজেল বেড়ের ছেলে।

কারাগার ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে জরুরি ভিত্তিতে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। চিকিৎসার জন্য তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বেলা ১১ টা ২০ মিনিটের সময় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক বলে দাবি করা হয়।

এদিকে, আদালত ও থানা সূত্র জানায় ২০১১ সালের ২২ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে মফিজুর রহমান তার হেলপার নয়নকে নিয়ে পুরাতন কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ড (মনিহার মোড়) থেকে হামিদপুর গ্রামে বাড়ির পথে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে হামিদপুরে তার হেলপার নয়নকে নামিয়ে দিয়ে তিনি বাড়ির দিকে চলে যান। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২৪ জুন সকালে হামিদপুর গ্রামের ময়লাখানার পাশের একটি পুকুর থেকে মফিজুর রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তিতে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আয়েশা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাত আসামি দিয়ে মামলা করেন। এ মামলায় গত বছরের ২০ মে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন পাঁচ আসামির ফাঁসির আদেশ দেন।

এ মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রপাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর বিশ্বাসপাড়ার মকছেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে ইকতিয়ার বিশ্বাস, মান্দারতলা গ্রামের বাসিন্দা ও মণিরামপুর উপজেলার লক্ষ্মণপুর গ্রামের মৃত হাছিম সরদারের ছেলে খোরশেদ আলম, হামিদপুর দক্ষিণপাড়ার জালাল উদ্দিনের ছেলে কাজল ও যশোর সদর উপজেলার ধানঘাটা গ্রামের বলরামঘোষের ছেলে গোপাল ঘোষ। বর্তমানে লাশ পরিবারের হাতে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
Verified by MonsterInsights

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত কয়েদী এনামুলের মৃত্যু

আপডেট সময় ০৭:৩১:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদী এনামুল বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি যশোরের চাঞ্চল্যকর মফিজ হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শরিফুল আলম। এনামুল যশোর সদর উপজেলার চানপাড়া গ্রামের মফজেল বেড়ের ছেলে।

কারাগার ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে জরুরি ভিত্তিতে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। চিকিৎসার জন্য তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বেলা ১১ টা ২০ মিনিটের সময় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক বলে দাবি করা হয়।

এদিকে, আদালত ও থানা সূত্র জানায় ২০১১ সালের ২২ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে মফিজুর রহমান তার হেলপার নয়নকে নিয়ে পুরাতন কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ড (মনিহার মোড়) থেকে হামিদপুর গ্রামে বাড়ির পথে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে হামিদপুরে তার হেলপার নয়নকে নামিয়ে দিয়ে তিনি বাড়ির দিকে চলে যান। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২৪ জুন সকালে হামিদপুর গ্রামের ময়লাখানার পাশের একটি পুকুর থেকে মফিজুর রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তিতে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আয়েশা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাত আসামি দিয়ে মামলা করেন। এ মামলায় গত বছরের ২০ মে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন পাঁচ আসামির ফাঁসির আদেশ দেন।

এ মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রপাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর বিশ্বাসপাড়ার মকছেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে ইকতিয়ার বিশ্বাস, মান্দারতলা গ্রামের বাসিন্দা ও মণিরামপুর উপজেলার লক্ষ্মণপুর গ্রামের মৃত হাছিম সরদারের ছেলে খোরশেদ আলম, হামিদপুর দক্ষিণপাড়ার জালাল উদ্দিনের ছেলে কাজল ও যশোর সদর উপজেলার ধানঘাটা গ্রামের বলরামঘোষের ছেলে গোপাল ঘোষ। বর্তমানে লাশ পরিবারের হাতে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।