যশোরে গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ হানিফ মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মধ্যরাতে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে তার লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
হানিফের স্ত্রী শিরিন জানান, ঢাকা মেডিকেলে তার বড় একটি অপারেশন করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পরেন তিনি। পরে আইসিইউতে নেয়ার প্রস্ততি চলছিলো। এমন সময় হানিফ মারা যান।
তিনি জানান, ঐদিন সকালে বারবার হানিফকে কল করেছিল চেয়ারম্যান টুটুল। এক পর্যায়ে টুটুল বাড়ি থেকে বের হন। রাতে জানতে পারেন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন হানিফ।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কাজী বাবুল বলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের বিষয়ে পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যান টুটুলকে আটক করলেই বিস্তারিত জানা যাবে।
গত বুধবার গভীর রাতে হানিফকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুল। এরপরই তিনি পালিয়ে যান। এ সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন গুলিবিদ্ধ হানিফ। যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তিনি মারা যান।