ঢাকা ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
যমুনা রেলওয়ে সেতুতে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএআইডি মহাপরিদর্শক পল মার্টিন বরখাস্ত শেখ হাসিনার বক্তব্য ভারতের জন্য জটিলতা সৃষ্টি করেছে: শশী থারুর বিনামূল্যে ক্যান্সার ওষুধ দেওয়ার ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আগামী অক্টোবরের মধ্যে জুলাই হত্যা মামলার রায়: আসিফ নজরুল পরিবেশ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সহকারী পরিচালক বদরুন্নাহার সীমার সীমাহীন দুর্নীতি পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প: পিডি উজ্জ্বল মল্লিক ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে শত শত কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত প্লট হাতিয়ে নিয়েছে ময়মনসিংহে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ময়মনসিংহ জেলা মটরযান কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচনে নির্বাচিত সভাপতি সম্পাদকসহ সকলের শপদ ও দায়িত্ব গ্রহণ গাজীপুর কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, তদন্ত কমিটি গঠন ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখার ওপর যশোরে বিএনপির প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জ সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে তারুণ্যের উৎসব অনুষ্ঠিত

মির্জাপুরে তৃতীয়বারের মতো অভিযান চালিয়ে ৭ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল প্রশাসন

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা সেই ৭ ইটভাটা তৃতীয়বারের মতো অভিযান চালিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া একইদিন এইচএসবি ও হাকিম ব্রিকস্ধসঢ় নামক আরও দু’টি ইটভাটার যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় দুই মালিককের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার গোড়াই ও বহুরিয়া ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করে ভাটাগুলো গুড়িয়ে দেওয়া হয়। গত দুই মাসের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো ইটভাটাগুলোতে টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।

যেসব ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে সেগুলো হলো বাটা ব্রিকস, নিউ সরকার ব্রিকস, হক ব্রিকস, নিউ রমিজ ব্রিকস, বি এন্ড বি ব্রিকস, সান ব্রিকস ও রান ব্রিকস। এছাড়া যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় এইচএসবি ব্ধিসঢ়; ব্রিকস্ধসঢ়; ২ লাখ ও হাকিম বিকস্ধসঢ় নামক ভাটা মালিকের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

গত ১২ ডিসেম্বর প্রথমবার টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তর ও মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে ওই ৭ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে ২৪ লাখ জরিমানা আদায় করে এবং প্রতিটি ভাটার কিছু কিছু অংশ ভেঙে ফেলে। এছাড়া ভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। অভিযানের পর আবার ভাটাগুলো চালু করা হলে গত ৯ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো অভিযান পরিচালনা করেন যৌথ দল। এ সময় দ্বিতীয়বারের মতো ইটভাটাগুলো চিমনি গুড়িয়ে দেয়া হয়। কিন্তু নির্দেশ অমান্য করে ইটভাটার মালিকরা পুনরায় চিমনি স্থাপনের মাধ্যমে ইট পোড়ানোর কার্যক্রম শুরু করলে দুই মাসের মধ্যে সোমবার তৃতীয়বারের মতো অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিঞা মাহমুদুল হক, সহকারি পরিচালক সজীব কুমার ঘোষ, পরিদর্শক বিপ্লব কুমার সূত্রধর প্রমুখসহ পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টিম উপস্থিত ছিলেন।

মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.বি. এম আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইএনও) এ.বি.এম আরিফুল ইসলাম জানান, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

যমুনা রেলওয়ে সেতুতে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

Verified by MonsterInsights

মির্জাপুরে তৃতীয়বারের মতো অভিযান চালিয়ে ৭ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল প্রশাসন

আপডেট সময় ১০:৪২:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা সেই ৭ ইটভাটা তৃতীয়বারের মতো অভিযান চালিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া একইদিন এইচএসবি ও হাকিম ব্রিকস্ধসঢ় নামক আরও দু’টি ইটভাটার যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় দুই মালিককের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার গোড়াই ও বহুরিয়া ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করে ভাটাগুলো গুড়িয়ে দেওয়া হয়। গত দুই মাসের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো ইটভাটাগুলোতে টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।

যেসব ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে সেগুলো হলো বাটা ব্রিকস, নিউ সরকার ব্রিকস, হক ব্রিকস, নিউ রমিজ ব্রিকস, বি এন্ড বি ব্রিকস, সান ব্রিকস ও রান ব্রিকস। এছাড়া যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় এইচএসবি ব্ধিসঢ়; ব্রিকস্ধসঢ়; ২ লাখ ও হাকিম বিকস্ধসঢ় নামক ভাটা মালিকের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

গত ১২ ডিসেম্বর প্রথমবার টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তর ও মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে ওই ৭ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে ২৪ লাখ জরিমানা আদায় করে এবং প্রতিটি ভাটার কিছু কিছু অংশ ভেঙে ফেলে। এছাড়া ভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। অভিযানের পর আবার ভাটাগুলো চালু করা হলে গত ৯ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো অভিযান পরিচালনা করেন যৌথ দল। এ সময় দ্বিতীয়বারের মতো ইটভাটাগুলো চিমনি গুড়িয়ে দেয়া হয়। কিন্তু নির্দেশ অমান্য করে ইটভাটার মালিকরা পুনরায় চিমনি স্থাপনের মাধ্যমে ইট পোড়ানোর কার্যক্রম শুরু করলে দুই মাসের মধ্যে সোমবার তৃতীয়বারের মতো অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিঞা মাহমুদুল হক, সহকারি পরিচালক সজীব কুমার ঘোষ, পরিদর্শক বিপ্লব কুমার সূত্রধর প্রমুখসহ পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টিম উপস্থিত ছিলেন।

মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.বি. এম আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইএনও) এ.বি.এম আরিফুল ইসলাম জানান, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে।