টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা সেই ৭ ইটভাটা তৃতীয়বারের মতো অভিযান চালিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া একইদিন এইচএসবি ও হাকিম ব্রিকস্ধসঢ় নামক আরও দু’টি ইটভাটার যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় দুই মালিককের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার গোড়াই ও বহুরিয়া ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করে ভাটাগুলো গুড়িয়ে দেওয়া হয়। গত দুই মাসের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো ইটভাটাগুলোতে টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।
যেসব ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে সেগুলো হলো বাটা ব্রিকস, নিউ সরকার ব্রিকস, হক ব্রিকস, নিউ রমিজ ব্রিকস, বি এন্ড বি ব্রিকস, সান ব্রিকস ও রান ব্রিকস। এছাড়া যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় এইচএসবি ব্ধিসঢ়; ব্রিকস্ধসঢ়; ২ লাখ ও হাকিম বিকস্ধসঢ় নামক ভাটা মালিকের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
গত ১২ ডিসেম্বর প্রথমবার টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তর ও মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে ওই ৭ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে ২৪ লাখ জরিমানা আদায় করে এবং প্রতিটি ভাটার কিছু কিছু অংশ ভেঙে ফেলে। এছাড়া ভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। অভিযানের পর আবার ভাটাগুলো চালু করা হলে গত ৯ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো অভিযান পরিচালনা করেন যৌথ দল। এ সময় দ্বিতীয়বারের মতো ইটভাটাগুলো চিমনি গুড়িয়ে দেয়া হয়। কিন্তু নির্দেশ অমান্য করে ইটভাটার মালিকরা পুনরায় চিমনি স্থাপনের মাধ্যমে ইট পোড়ানোর কার্যক্রম শুরু করলে দুই মাসের মধ্যে সোমবার তৃতীয়বারের মতো অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিঞা মাহমুদুল হক, সহকারি পরিচালক সজীব কুমার ঘোষ, পরিদর্শক বিপ্লব কুমার সূত্রধর প্রমুখসহ পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টিম উপস্থিত ছিলেন।
মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.বি. এম আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইএনও) এ.বি.এম আরিফুল ইসলাম জানান, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে।