ঢাকা ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পিএসসিকে চাপ দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া ডিএসসিসি’র ব্যাটারির দরপত্রে অনিয়ম  :  কর্পোরেশনের ২০ লাখ টাকা গচ্চা এলজিইডির সদর দপ্তরসহ একযোগে ৩৬ অফিসে দুদকের অভিযান মৌলভীবাজারে ডাকাতির ঘটনায় ৫ডাকাতসহ গ্রেফতার-৭: অস্ত্র, গুলি, লুণ্ঠিত টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার রেললাইনের পাশে পড়েছিল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ নাগরপুরে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিরছা ব্রিকসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ইউএসটিসিতে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার ও ফ্রি স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে ইকবাল হত্যার বিচার ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন মৌলভীবাজার পৈলভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে দুর্নীতি: ঠিকাদারের সাথে এলজিইডি কর্মকর্তারা জড়িত জাতীয় আইন সহায়তা দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদী ভাঙনে ১৫টি ঘর বিলীন, দেড়শ পরিবার নিঃস্ব

মাদক মামলায় সম্রাটের বিচার শুরু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০১:১৪:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫৫০ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর রমনা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদার সম্রাটের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে এ চার্জ গঠন করেন। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্রাটের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হলো।

চার্জ গঠনের সময় সম্রাট পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ২০১৯ সালে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে সম্রাটকে আটক করা হয়েছিল। এরপর তাকে ঢাকায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

র‍্যাবের তৎকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে কাকরাইলে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় কার্যালয় থেকে ক্যাঙারুর দু’টি চামড়া, মাদক ও অস্ত্র পাওয়া যায়। সেখান থেকে ১ হাজার ১৬০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। র‍্যাব বাদী হয়ে মাদক ও অস্ত্র আইনে দু’টি মামলা দায়ের করে।

মাদক মামলায় অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, যুবলীগ নেতা সম্রাট তার সহযোগী আরমানের সহযোগিতায় মাদকদ্রব্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতেন। উদ্ধার করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। ঢাকার দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি হিসেবে তিনি বিভিন্ন ক্লাব পরিচালনা করতেন, যেখানে ক্যাসিনো ও জুয়া চলত।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, সম্রাট প্রতি মাসে সিঙ্গাপুরে গিয়ে ক্যাসিনো খেলতেন এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করতেন। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ এবং যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া।

এছাড়া, আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া মদ ও ইয়াবার রাসায়নিক পরীক্ষা করা হয়েছে। মদের বোতলে অ্যালকোহলের নমুনা পাওয়া গেছে এবং ইয়াবার ট্যাবলেটগুলোতে ইয়াবার উপাদান পাওয়া গেছে। মোট ১৯ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে যার মূল্য ৯৫ হাজার টাকা এবং ইয়াবার দাম প্রায় ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

Verified by MonsterInsights

মাদক মামলায় সম্রাটের বিচার শুরু

আপডেট সময় ০১:১৪:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর রমনা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদার সম্রাটের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে এ চার্জ গঠন করেন। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্রাটের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হলো।

চার্জ গঠনের সময় সম্রাট পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ২০১৯ সালে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে সম্রাটকে আটক করা হয়েছিল। এরপর তাকে ঢাকায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

র‍্যাবের তৎকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে কাকরাইলে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় কার্যালয় থেকে ক্যাঙারুর দু’টি চামড়া, মাদক ও অস্ত্র পাওয়া যায়। সেখান থেকে ১ হাজার ১৬০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। র‍্যাব বাদী হয়ে মাদক ও অস্ত্র আইনে দু’টি মামলা দায়ের করে।

মাদক মামলায় অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, যুবলীগ নেতা সম্রাট তার সহযোগী আরমানের সহযোগিতায় মাদকদ্রব্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতেন। উদ্ধার করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। ঢাকার দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি হিসেবে তিনি বিভিন্ন ক্লাব পরিচালনা করতেন, যেখানে ক্যাসিনো ও জুয়া চলত।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, সম্রাট প্রতি মাসে সিঙ্গাপুরে গিয়ে ক্যাসিনো খেলতেন এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করতেন। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ এবং যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া।

এছাড়া, আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া মদ ও ইয়াবার রাসায়নিক পরীক্ষা করা হয়েছে। মদের বোতলে অ্যালকোহলের নমুনা পাওয়া গেছে এবং ইয়াবার ট্যাবলেটগুলোতে ইয়াবার উপাদান পাওয়া গেছে। মোট ১৯ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে যার মূল্য ৯৫ হাজার টাকা এবং ইয়াবার দাম প্রায় ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।