ঢাকা ১০:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পিএসসিকে চাপ দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া ডিএসসিসি’র ব্যাটারির দরপত্রে অনিয়ম  :  কর্পোরেশনের ২০ লাখ টাকা গচ্চা এলজিইডির সদর দপ্তরসহ একযোগে ৩৬ অফিসে দুদকের অভিযান মৌলভীবাজারে ডাকাতির ঘটনায় ৫ডাকাতসহ গ্রেফতার-৭: অস্ত্র, গুলি, লুণ্ঠিত টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার রেললাইনের পাশে পড়েছিল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ নাগরপুরে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিরছা ব্রিকসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ইউএসটিসিতে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার ও ফ্রি স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে ইকবাল হত্যার বিচার ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন মৌলভীবাজার পৈলভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে দুর্নীতি: ঠিকাদারের সাথে এলজিইডি কর্মকর্তারা জড়িত জাতীয় আইন সহায়তা দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদী ভাঙনে ১৫টি ঘর বিলীন, দেড়শ পরিবার নিঃস্ব

ভাঙ্গুড়ায় প্রতিবন্ধী যুবকের মানবেতর জীবন সারাদিন কাটে ছাগলের সাথে!

দেশ যখন তারুণ্যের উৎসবে মেতে উঠেছে তখন পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এক প্রতিবন্ধী যুবকের দিন কাটছে ছাগলের সাথে। বড়ই নিদারুণ দৃশ্য!

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এই যুবকের নাম চাঁদ মোল্লা। বয়স ২৫ বছর। তিনি ভাঙ্গুড়া পৌরসভার সাহেবপাড়া মহল্লার মৃত মতি মোল্লার ছেলে। তার জন্মের পর মা-বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন চাঁদ। অথচ পঙ্গুত্ব তার জীবন-যৌবনের সব আলো নিভিয়ে দিয়েছে।

ভাই-ভাবীর দয়ায় কষ্টের জীবন পাড় করছেন তিনি। পশুর যে দাম সেটাও তার নেই। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বাড়ির ছাগলের সাথে তাকেও পায়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয় গাছের সাথে। রাতে ছাগলের ঘরেই ঘুমায় চাঁদ মোল্লা। অযত্নে অবহেলায় সে এখন কথাও বলতে পারে না।

সরজমিনে দেখা যায়, শীতের সকালে চাঁদের একটি পায়ে দড়ি লাগিয়ে তাদের বাড়ির সামনের একটি মেহগুনি গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে। পাশের গাছের সাথে একটি ছাগলও বেঁধে রাখা হয়েছে। ঠান্ডা নিবারণের জন্য ছাগলকে বিছানা দেওয়া হলেও চাঁদের ভাগ্যে জোটেনি তাও। তার সারাদিনের সঙ্গী কেবল ঐ ছাগল। তার সামনে খাবারও নেই। ফলে গবরের একটা টুকরো খেতে দেখা যায় তাকে। এভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন চাঁদ মোল্লা।

সাহেব পাড়ার সোহেল আহমেদ বলেন, ‘এমন জীবন কারো কাম্য নয়। মানুষ তো বটে সে!’ তাই কবির ভাষায় বলা যায়, “কাহারে করেছো ঘৃণা তুমি ভাই, কাহারে মারিছো লাথি? হয়তো উহারই বুকে ভগবান জাগিছেন দিবা-রাতি!”

চাঁদ মোল্লার ভাই সুরুজ মোল্লা বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ, দিন এনে দিন খাই। সকাল হলেই কাজের সন্ধানে বের হই। তাই ওকে বেঁধে রাখতে হয়।’

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদ মোল্লাকে প্রতি মাসে ৮৫০টাকা সরকারি ভাতা দেওয়া হয়। সেই ভাতার টাকা দিয়ে তার ভরণপোষণ করার কথা।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার বলেন, ‘চাঁদ মোল্লার পরিবারের যে সদস্য তার পক্ষে ভাতা গ্রহণ করেন তিনি বা তারা ওকে দেখভাল করবেন। এর গাফিলতি করলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

Verified by MonsterInsights

ভাঙ্গুড়ায় প্রতিবন্ধী যুবকের মানবেতর জীবন সারাদিন কাটে ছাগলের সাথে!

আপডেট সময় ১১:২২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

দেশ যখন তারুণ্যের উৎসবে মেতে উঠেছে তখন পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এক প্রতিবন্ধী যুবকের দিন কাটছে ছাগলের সাথে। বড়ই নিদারুণ দৃশ্য!

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এই যুবকের নাম চাঁদ মোল্লা। বয়স ২৫ বছর। তিনি ভাঙ্গুড়া পৌরসভার সাহেবপাড়া মহল্লার মৃত মতি মোল্লার ছেলে। তার জন্মের পর মা-বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন চাঁদ। অথচ পঙ্গুত্ব তার জীবন-যৌবনের সব আলো নিভিয়ে দিয়েছে।

ভাই-ভাবীর দয়ায় কষ্টের জীবন পাড় করছেন তিনি। পশুর যে দাম সেটাও তার নেই। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বাড়ির ছাগলের সাথে তাকেও পায়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয় গাছের সাথে। রাতে ছাগলের ঘরেই ঘুমায় চাঁদ মোল্লা। অযত্নে অবহেলায় সে এখন কথাও বলতে পারে না।

সরজমিনে দেখা যায়, শীতের সকালে চাঁদের একটি পায়ে দড়ি লাগিয়ে তাদের বাড়ির সামনের একটি মেহগুনি গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে। পাশের গাছের সাথে একটি ছাগলও বেঁধে রাখা হয়েছে। ঠান্ডা নিবারণের জন্য ছাগলকে বিছানা দেওয়া হলেও চাঁদের ভাগ্যে জোটেনি তাও। তার সারাদিনের সঙ্গী কেবল ঐ ছাগল। তার সামনে খাবারও নেই। ফলে গবরের একটা টুকরো খেতে দেখা যায় তাকে। এভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন চাঁদ মোল্লা।

সাহেব পাড়ার সোহেল আহমেদ বলেন, ‘এমন জীবন কারো কাম্য নয়। মানুষ তো বটে সে!’ তাই কবির ভাষায় বলা যায়, “কাহারে করেছো ঘৃণা তুমি ভাই, কাহারে মারিছো লাথি? হয়তো উহারই বুকে ভগবান জাগিছেন দিবা-রাতি!”

চাঁদ মোল্লার ভাই সুরুজ মোল্লা বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ, দিন এনে দিন খাই। সকাল হলেই কাজের সন্ধানে বের হই। তাই ওকে বেঁধে রাখতে হয়।’

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদ মোল্লাকে প্রতি মাসে ৮৫০টাকা সরকারি ভাতা দেওয়া হয়। সেই ভাতার টাকা দিয়ে তার ভরণপোষণ করার কথা।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার বলেন, ‘চাঁদ মোল্লার পরিবারের যে সদস্য তার পক্ষে ভাতা গ্রহণ করেন তিনি বা তারা ওকে দেখভাল করবেন। এর গাফিলতি করলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’