ঢাকা ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পিএসসিকে চাপ দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া ডিএসসিসি’র ব্যাটারির দরপত্রে অনিয়ম  :  কর্পোরেশনের ২০ লাখ টাকা গচ্চা এলজিইডির সদর দপ্তরসহ একযোগে ৩৬ অফিসে দুদকের অভিযান মৌলভীবাজারে ডাকাতির ঘটনায় ৫ডাকাতসহ গ্রেফতার-৭: অস্ত্র, গুলি, লুণ্ঠিত টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার রেললাইনের পাশে পড়েছিল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ নাগরপুরে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিরছা ব্রিকসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ইউএসটিসিতে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার ও ফ্রি স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে ইকবাল হত্যার বিচার ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন মৌলভীবাজার পৈলভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে দুর্নীতি: ঠিকাদারের সাথে এলজিইডি কর্মকর্তারা জড়িত জাতীয় আইন সহায়তা দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদী ভাঙনে ১৫টি ঘর বিলীন, দেড়শ পরিবার নিঃস্ব

গণকবরে ১০০ নারী ও শিশুর লাশের সন্ধান

ছবি : সংগৃহীত

ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় মুসান্না প্রদেশের তা’ল আল-শাইখিয়া এলাকায় একটি গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে, যেখানে প্রায় ১০০ জনের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব মরদেহ কুর্দি জনগণের। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন। এ ঘটনা ১৯৮০-এর দশকের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে, যা সাবেক ইরাকি শাসক সাদ্দাম হোসেনের নির্দেশে ঘটানো হয়েছিল।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) আরব নিউজসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়।

ইরাকি কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে কবরের অবস্থান প্রধান সড়ক থেকে ১৫-২০ কিলোমিটার দূরে, এবং কুর্দি বাসন্তী পোশাক পরিহিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি দ্বিতীয় গণকবর, যেটি খননকারী বিশেষজ্ঞ দল গত মাসে আবিষ্কার করে।

ইরাকের তদন্ত কর্মকর্তা দিয়া করিম জানান, “মাটির প্রথম স্তর অপসারণ করার পর এই গণকবরটি আবিষ্কৃত হয়েছে। মৃতদেহগুলোর মধ্যে অনেকেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, এবং সম্ভবত কিছুজনকে জীবন্ত কবর দেয়া হয়েছিল।”

তথ্য অনুযায়ী, এই গণহত্যা সম্ভবত সাদ্দামের ‘আনফাল অপারেশন’ নামে পরিচিত অভিযানের অংশ ছিল, যা ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে কুর্দি জনগণের উপর চালানো হয়। ওই সময়ে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার কুর্দি নিহত হয়েছিল, এবং হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, দেশে ছড়িয়ে থাকা বহু গণকবরে গুম হওয়া এসব কুর্দিদের দেহাবশেষ রয়েছে।

এদিকে, কুর্দিরা এখনও শান্তিতে নেই। তুরস্কের সাম্প্রতিক হামলায় কুর্দি যোদ্ধারা প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সম্প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সিরিয়ায় কুর্দি যোদ্ধারা যদি আত্মসমর্পণ না করেন, তবে তাদের জীবন্ত কবর দেয়া হবে। তিনি বলেন, “কুর্দি যোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণ না করলে তাদের জন্য কোনো স্থান থাকবে না।”

এই নতুন গণকবর আবিষ্কৃত হওয়া কুর্দি জনগণের উপর পূর্ববর্তী সরকারের অত্যাচারের স্মৃতি আবারও উন্মোচন করে, এবং ইরাক ও তুরস্কের চলমান কুর্দি সমস্যার গভীরতার দিকে আলোকপাত করে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

Verified by MonsterInsights

গণকবরে ১০০ নারী ও শিশুর লাশের সন্ধান

আপডেট সময় ০৮:০৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় মুসান্না প্রদেশের তা’ল আল-শাইখিয়া এলাকায় একটি গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে, যেখানে প্রায় ১০০ জনের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব মরদেহ কুর্দি জনগণের। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন। এ ঘটনা ১৯৮০-এর দশকের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে, যা সাবেক ইরাকি শাসক সাদ্দাম হোসেনের নির্দেশে ঘটানো হয়েছিল।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) আরব নিউজসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়।

ইরাকি কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে কবরের অবস্থান প্রধান সড়ক থেকে ১৫-২০ কিলোমিটার দূরে, এবং কুর্দি বাসন্তী পোশাক পরিহিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি দ্বিতীয় গণকবর, যেটি খননকারী বিশেষজ্ঞ দল গত মাসে আবিষ্কার করে।

ইরাকের তদন্ত কর্মকর্তা দিয়া করিম জানান, “মাটির প্রথম স্তর অপসারণ করার পর এই গণকবরটি আবিষ্কৃত হয়েছে। মৃতদেহগুলোর মধ্যে অনেকেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, এবং সম্ভবত কিছুজনকে জীবন্ত কবর দেয়া হয়েছিল।”

তথ্য অনুযায়ী, এই গণহত্যা সম্ভবত সাদ্দামের ‘আনফাল অপারেশন’ নামে পরিচিত অভিযানের অংশ ছিল, যা ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে কুর্দি জনগণের উপর চালানো হয়। ওই সময়ে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার কুর্দি নিহত হয়েছিল, এবং হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, দেশে ছড়িয়ে থাকা বহু গণকবরে গুম হওয়া এসব কুর্দিদের দেহাবশেষ রয়েছে।

এদিকে, কুর্দিরা এখনও শান্তিতে নেই। তুরস্কের সাম্প্রতিক হামলায় কুর্দি যোদ্ধারা প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সম্প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সিরিয়ায় কুর্দি যোদ্ধারা যদি আত্মসমর্পণ না করেন, তবে তাদের জীবন্ত কবর দেয়া হবে। তিনি বলেন, “কুর্দি যোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণ না করলে তাদের জন্য কোনো স্থান থাকবে না।”

এই নতুন গণকবর আবিষ্কৃত হওয়া কুর্দি জনগণের উপর পূর্ববর্তী সরকারের অত্যাচারের স্মৃতি আবারও উন্মোচন করে, এবং ইরাক ও তুরস্কের চলমান কুর্দি সমস্যার গভীরতার দিকে আলোকপাত করে।