মৌলভীবাজার শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় ড্রেনের স্লাব ভেঙে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার নাগরিকদের এগুলো যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়ে রয়েছে। ফলে ড্রেনের গর্তে পড়ে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। বিপজ্জনক এসব ফুটপাত দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে। ড্রেনের কয়েকটি স্থানে দীর্ঘদিন যাবৎ স্লাব ভেঙে খোলা অবস্থায় পড়ে আছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর এলাকার ব্যস্ততম এলাকাগুলোর সাইফুর রহমান রোড, জুগিদর রোড, কুদালিচড়া রোড, পুরান হাসপাতাল রোড, কোট রোড, শাহ মোস্তফা রোড, শ্রীমঙ্গল রোডসহ আরো অনেকটি রোড রয়েছে। কিন্তু ড্রেনের ওপর স্লাব দেওয়ায় পথচারীরা এটি ফুটপাত হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। আর ড্রেনের পাশেই বাজারের সবচেয়ে বড় মার্কেট, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, বিমা প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
জানা যায়, মৌলভীবাজার পৌরসভা অনেকদিন ধরে কাজ করছে না প্রায় দশ বছর যাবৎ। দোকানের সামনের স্লাবটি ভেঙে দীর্ঘদিন ধরে উন্মুক্ত অবস্থায় রয়েছে। পৌর নাগরিকের জন্য ফুটপাত তৈরি করা হয়েছে। আমরা এখানে চলাফেরা করতে পারি না, সমস্যা হয়। এ বিষয়ে দেখার কথা ছিল পৌরসভার কর্মকর্তাদের। কিন্তু তাদের গাফিলাতির কারণে ড্রেন ভাঙার দিকে খেয়াল নেই। আর সাধারণ জনগণ ফুটপাত হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এখন যে অবস্থা হয়েছে এই ফুটপাত এখন ব্যবহার যোগ্য নয়। মৌলভীবাজারের সারা পৌর শহরের একই অবস্থা রয়েছে। প্রায় জায়গায় এভাবে ড্রেনের ওপর স্লাব সমস্যা রয়েছে।
রাস্তায় চলমানরত এক পৌর নাগরিক জানান, আমার পিছনে যে ড্রেন রয়েছে এটা অনেকদিন ধরে ড্রেনের স্লাব ভাঙ্গা রয়েছে। আমাদের চলাফেরা কষ্ট হচ্ছে হঠাৎ করে একটি দুর্ঘটনা ঘটে যায়। আমি ড্রেনের উপরে দিয়ে যেতে পারতাম কিন্তু আমি রিক্স নেইনি। তাই আমি রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে এসেছি। ড্রেনের ওপর স্লাব ভাঙ্গা রয়েছে, যেকোনো সময় পা পড়ে ভেঙে যেতে পারে এ রকম দুর্ঘটনা ঘটছে।
মৌলভীবাজার বেরিরপাড় বাসিন্দা জুনেদ আহমদ বলেন, দুই-তিন বছর যাবত আমি দেখতেছি হয়তো এর আগ থেকে ভাঙ্গা রয়েছে। ওই সামনে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে, একজন লোকের পা ভেঙ্গে গেছে। পৌরসভায় এগুলো দেখার কথা, কিন্তু উনাদের গাফিলাতির কারণে এরকম ঘটনা ঘটছে।
পৌরসভার ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা আহমদ আলী বলেন, অনেকদিন ধরে আমাদের এই ড্রেনগুলো উপরে স্লাব অবহেলা রয়েছে। পৌরসভা পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
পৌরসভার ফার্মেসি ব্যবসায়ী সুমন আহমদ বলেন, আমাদের সিলেট রোডে এই ড্রেনের পরিষ্কারও পরিচ্ছন্ন সময় তিন-চার বছর ধরে ড্রেনের ওপর স্লাব দেওয়ার কথা ছিল। এটার কারণ কি আমরা বলতে পারি না। আমাদের ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই সমস্যা হচ্ছে।
মৌলভীবাজার পৌরসভার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জেলা প্রশাসক মো. বুলবুল আহমদ এর সাথে ড্রেনের উপর স্লাব এর বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এগুলো আমাদের কাজ সব সময় চলমান আছে। কোথাও বেশি সমস্যা হয়ে থাকে এবং কোথাও কোথাও সমস্যা রয়েছে আমাদেরকে তথ্য দেন, এগুলোর কাজ করে দিচ্ছি। এই জন্য সমস্যাগুলো কোন দিকে বেশি এটা আমাকে একটু জানান। আসলে আমি এখানে চাকরি করতে আসছি এবং আমি নতুন এসেছি। আমি এটা ব্যবস্থা নেব ইনশাআল্লাহ।