ঢাকা ০১:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ইউএসটিসিতে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার ও ফ্রি স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে ইকবাল হত্যার বিচার ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন মৌলভীবাজার পৈলভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে দুর্নীতি: ঠিকাদারের সাথে এলজিইডি কর্মকর্তারা জড়িত জাতীয় আইন সহায়তা দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদী ভাঙনে ১৫টি ঘর বিলীন, দেড়শ পরিবার নিঃস্ব জয়পুরহাটে স্কুল ছাত্র কাফি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ নবীনগর ভূমি অফিসে ‘ভুয়া পরিচয়ে’ ৮ বছর চাকরির অভিযোগ এক ইউএনও জমি দিলো, আরেক ইউএনও কেড়ে নিলো রাস্তার পাশে পড়েছিল শিশুর মাথা থেঁতলানো লাশ নিখোঁজের একদিন পর রেললাইনের পাশ থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার, স্ত্রী ও স্বজনদের অভিযোগ পরিকল্পিত হত্যা মির্জাপুর জমি নিয়ে সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত, স্ত্রী ও ছেলে আহত জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র নিখোঁজের নয়দিন পর পরিত্যক্ত ডোবায় লাশ উদ্ধার

মির্জাপুর জমি নিয়ে সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত, স্ত্রী ও ছেলে আহত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবদল নেতা ফজল হক (৫৫) নিহত, তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৪৫) ও ছেলে মনিরুজ্জামান (২৫) গুরুতর আহত হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বংশীনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ফজল হক বংশীনগর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি বাঁশতৈল ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি। তিনি পেশায় ডেকোরেটর ব্যবসায়ী ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪৭ বছর পূর্বে ফজল হকের দাদি বংশীনগর মৌজায় তার নামে ৫৫ শতাংশ জমি দলিল করে দেন। কিন্তু ওই জমিটি ভোগ দখল করছিলেন ফজল হকের ফুপাতো ভাইয়ের ছেলে মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে পারভেজ। এদিকে ৪৭ বছর পূর্বের দলিল পেয়ে জমি দখল পেতে উদ্যোগ নেন ফজল হক।

তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মাতব্বরদের নিয়ে একাধিক সালিশ বৈঠকও করেন। তাতে কোন সমাধান না পেয়ে সম্প্রতি আদালতে একটি মামলাও করেন। পরে জমির চারপাশে কাটা তারের বেড়া দিয়ে ঘেরাও দেন। অপর দিকে এ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পারভেজ ৩০ থেকে ৩৫ জন লোকসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ফজল হকের কাটা তারের ঘেরা উঠাতে গেলে ফজল হক বাধা প্রদান করেন। এসময় পারভেজ ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন ফজল হককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। ফজল হকের আত্মচিৎকারে তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও ছেলে মনিরুজ্জামান এগিয়ে এলে তাদেরও মারপিট করে আহত করে পারভেজ ও তার লোকজন। আশপাশের লোকজন এসে গুরুতর অবস্থায় ফজল হক, তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলাস্থ জামুর্কী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজল হককে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ফজল হকের লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউএসটিসিতে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার ও ফ্রি স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

Verified by MonsterInsights

মির্জাপুর জমি নিয়ে সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত, স্ত্রী ও ছেলে আহত

আপডেট সময় ০৭:২৭:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবদল নেতা ফজল হক (৫৫) নিহত, তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৪৫) ও ছেলে মনিরুজ্জামান (২৫) গুরুতর আহত হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বংশীনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ফজল হক বংশীনগর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি বাঁশতৈল ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি। তিনি পেশায় ডেকোরেটর ব্যবসায়ী ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪৭ বছর পূর্বে ফজল হকের দাদি বংশীনগর মৌজায় তার নামে ৫৫ শতাংশ জমি দলিল করে দেন। কিন্তু ওই জমিটি ভোগ দখল করছিলেন ফজল হকের ফুপাতো ভাইয়ের ছেলে মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে পারভেজ। এদিকে ৪৭ বছর পূর্বের দলিল পেয়ে জমি দখল পেতে উদ্যোগ নেন ফজল হক।

তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মাতব্বরদের নিয়ে একাধিক সালিশ বৈঠকও করেন। তাতে কোন সমাধান না পেয়ে সম্প্রতি আদালতে একটি মামলাও করেন। পরে জমির চারপাশে কাটা তারের বেড়া দিয়ে ঘেরাও দেন। অপর দিকে এ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পারভেজ ৩০ থেকে ৩৫ জন লোকসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ফজল হকের কাটা তারের ঘেরা উঠাতে গেলে ফজল হক বাধা প্রদান করেন। এসময় পারভেজ ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন ফজল হককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। ফজল হকের আত্মচিৎকারে তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও ছেলে মনিরুজ্জামান এগিয়ে এলে তাদেরও মারপিট করে আহত করে পারভেজ ও তার লোকজন। আশপাশের লোকজন এসে গুরুতর অবস্থায় ফজল হক, তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলাস্থ জামুর্কী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজল হককে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ফজল হকের লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।