আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, “জনগণ চূড়ান্তভাবে বিরক্ত হওয়ার আগেই নিজেদের দক্ষতা-দায়িত্বশীলতার প্রমাণ দিন।” তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ মাস : ডেভিল হান্ট, সেন্ট্রাল কমান্ড ও নাগরিক প্রত্যাশার হিসাবনিকাশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মঞ্জু বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের গত ৬ মাস ছিল নানা প্রতিকূলতাময়। ১৮০ দিনে ১৫০টির মতো আন্দোলন ও অবরোধ গণতান্ত্রিকভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে। তবে, তার মতে, সরকারের কাজের ফলাফল সত্ত্বেও জনগণের প্রকৃত প্রত্যাশা মেটানো সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, “নাগরিকরা শুধু শাসক পরিবর্তন চায়নি, তারা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন চেয়েছে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের আকাঙ্ক্ষা ছিল তাদের।”
এছাড়াও, মঞ্জু সরকারের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও বিভেদ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই সরকারকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য একটি টিম গঠনের পরামর্শ দিয়েছিলাম, কিন্তু সে বিষয়ে গঠনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”
মঞ্জু ‘ডেভিল হান্ট’ কর্মসূচির বিষয়ে বলেন, “এটি ডিলেইড ডেভিল হান্ট ইনিশিয়েটিভ হয়ে গেছে। সরকারের উচিত ছিল শুরুতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া। প্রথমদিকে এমন ব্যবস্থা নিলে অনেক ডেভিল পালাতে পারত না এবং চাঁদাবাজি ও দখলবাজি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যেত।”
তিনি আরও বলেন, সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টার গঠন একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ এবং জনগণ সরকারকে আইনের শৃঙ্খলা রক্ষায় দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ দেখাতে চায়।
এছাড়াও, মঞ্জু বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, “কিছু নেতার বক্তব্য আমাদের খারাপ লেগেছে, তারা একদিকে সুশীল অবস্থান নিচ্ছেন, আর অন্যদিকে তাদের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে ভাঙচুরসহ বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ খান, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফারাহ নাজ সাত্তার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব আহমেদ বারকাজ নাসির এবং অন্যান্য নেতারা।