ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এক সাক্ষাতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অভিযোগ করেছেন যে, বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীরা এই চেষ্টা চালাচ্ছেন।
আজ সোমবার (০৯ ডীসেম দুপুরে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। বৈঠকে ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ৮টি দেশের এবং ভারতের নয়াদিল্লিতে পাঁচটি মিশনের প্রধানরা অংশ নেন। এর নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ডিসেম্বর মাস আমাদের বিজয়ের মাস, এবং আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এই মাসে এমন একটি ইনট্যারক্টিভ আলোচনায় অংশ নিতে পেরেছি।” তিনি আরো বলেন, গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের উপর অত্যাচার, শোষণ, বলপূর্বক গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের মতো বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন যে, “বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্যাপকভাবে অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে।” তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে এই মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে সহযোগিতা কামনা করেন।
পাশাপাশি, প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের জানিয়ে দেন যে, “যারা দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, তারা পাচার হওয়া টাকা দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।”
বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন বিষয়ক ব্যাপারে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাদের পরামর্শ ও সুপারিশ দিয়েছেন। এছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের জন্য ভিসা সেন্টার ঢাকায় বা প্রতিবেশী দেশে স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন।