যথাবিহিত সম্মানপূর্বক জানাচ্ছি যে, আমরা প্রবাসী ও পর্যটন অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা। এ জেলার অসংখ্য প্রবাসী যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মসূত্রে স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সাধারণত প্রবাসীরা বিদেশ থেকে দেশে আসার পর তাদের সাথে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশি টাকায় রূপান্তর করার জন্য মৌলভীবাজার শহরে বেরিপারস্থ জেলার সুনাম ধন্য প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক কতৃক অনোমুদিত সৈয়দ মানি এক্সচেঞ্জ ও সোনালী ব্যাংক বৈদেশিক বাণিজ্য শাখায় বৈশিক মুদ্রা নগদ বিনিময় করে থাকেন। সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি পটপরির্তনের ফলে হুন্ডি ব্যাবসা, অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বেচাকেনা ও হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারের মত অবৈধ ব্যাবসায় সয়লাভ মৌলভীবাজার। যার ফলে সরকার নিয়মিত বড় ধরনের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
মৌলভীবাজারে এসব অবৈধ ব্যবসায়ীরা- রয়েল ম্যানসনের প্রথম রুম নাম বিহীন, এস এ ট্রাভেল্স, শাহ মোস্তফা ক্রোকারিজের মত ব্যবসার আড়ালে এক একটি সিন্ডিকেটের মত সংঘবদ্ধ থাকিয়া বৈদেশিক মুদ্রার কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করিয়া জনগনকে জিম্মি করিয়া থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংক কতৃক হুন্ডি ও অবৈধ ব্যবসার বন্ধের ক্ষেত্রে কোন প্রদক্ষেপ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে তারা নিজেরে ইচ্ছা মতো মূদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করে আসছেন। যার ফলে সোনালী ব্যাংক বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার মত প্রতিষ্ঠান গ্রাহক খুজে পাচ্ছে না। এসব কারণে প্রবাসীরা আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি এই সব অবৈধ প্রতিষ্ঠানের কাছে সাধারণ প্রবাসী জনগণ জিম্মি।
তাদের এমন অনৈতিকতার প্রতিবাদ করলে নানা রাজনৈতিক মহলের মাধ্যমে হুমকি প্রধান করে থাকে। বারংবার জাতীয় গণমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হলেও প্রবাসীদের এই দুর্ভোগের শেষ হয় না। এ অঞ্চলের প্রবাসীদের একান্ত ইচ্ছা সরকার দুষ্ট জুলুমবাজ, প্রতারক, হুন্ডি ব্যবসায়ী লোকদের অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সংঘবদ্ধ হুন্ডি চক্রটিকে নির্মূল করে দেশের স্বার্থ রক্ষা ও প্রবাসীর দুর্ভোগ ও হয়রানি লাঘবে প্রদক্ষেপ নিবেন।
এ অঞ্চলের সকল প্রবাসী-জনগণের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান উপষ্টো ড. মুহাম্মদ ইউনূস, মাননীয় অর্থ উপষ্টো সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের মাননীয় গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর মহোদয়গণ আপনাদের নিকট জেলাবাসী প্রবাসী ও তাদের আকুল আবেদন উপরোক্ত বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে আইনানুসারে প্রদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে প্রবাসীদের অর্জিত অর্থের প্রাপ্যতা নিশ্চিত এবং একই সাথে এই সব অবৈধ প্রতিষ্ঠানদের প্রতারণামূলক মনোপলি ব্যবসা থেকে প্রবাসী জনগণকে সহায়তা প্রদানে সচেষ্ট হবেন।
জেলাবাসীর পক্ষে
১। মোঃ মঞ্জুর আহমেদ- কুয়েত প্রবাসী
২। শাওন আহমেদ- ওমান প্রবাসী
৩। ফজলুর রহমান জগতসী- যুক্তরাষ্ট
