জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, অনেকে ১৫ বছরের অবৈধ শাসনকে নির্বাচন করে বৈধতা দেয়ার অভিযোগ করেছেন। তবে তিনি দাবি করেছেন, ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অবৈধ হলে ১০ বছরের হিসাব করা উচিত, কারণ ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সরকার ছিল বৈধ।
তিনি শুক্রবার (১ নভেম্বর) বনানীর পার্টি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন।
বিএনপি ও অন্যান্য দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অন্য দলগুলো নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করেছে এবং বৈধতা দিয়েছে।” তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের কথাও উল্লেখ করেন।
এ সময় কাদের বলেন, গতকাল (৩১ অক্টোবর) কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, যা দলের নেতাকর্মীরা শনিবারের সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় ছিল।
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের ‘দোসর’ হিসেবে জাতীয় পার্টিকে সমালোচনার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আওয়ামী লীগের আমলে অন্যান্য দল নির্বাচনে অংশ নিলেও শুধুমাত্র জাতীয় পার্টির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়।”
জি এম কাদের বলেন, “নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা কোনো অপরাধ নয়। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপরাধীর তকমা লাগানো হচ্ছে।” তিনি দলের নেতাকর্মীদের শনিবারের সমাবেশে যোগ দিতে আহ্বান জানান এবং যে কোনো ধরনের প্রতিবাদে প্রস্তুত থাকার কথাও বলেন।
অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত আছি, দেশের জন্য। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, কিন্তু আমরা সৎ ও ন্যায়ের পথে রয়েছি।”
তিনি আরো বলেন, “দেশে বিভাজন তৈরি হয়েছে। একপক্ষে পবিত্র গোষ্ঠী আরেকপক্ষে অপবিত্র গোষ্ঠী। শেখ হাসিনার সরকারের বৈষম্যের শিকার হলে সেটা আমাদের জন্য ক্ষতিকর হবে।”