রংপুরের মিঠাপুকুরে লোকজন ভাড়া করে জোরপূর্বক কৃষকের জমির পাকা ধান কেটে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আবু বক্কর সিদ্দিক গং- নামে এক ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে। এমনকি ধান কেটে চলে যাওয়ার সময় ভাড়াটে লোকজন কৃষকের সিমক্ষেত এবং কয়েক’শ কলা গাছ কেটে ফেলে কৃষকের স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন।
এলাকাবাসী ও স্থানীয়রা জানান, মিঠাপুকুর উপজেলার ০২ নং রানীপুকুর ইউনিয়নের মাদারপুর মৌজায় নুরনবী (৬০) নামে ওই কৃষকের নিজ মালিকানাধীন জমিতে ধান সহ সিম এবং কলাগাছ লাগানো ছিল।
বুধবার (০৬ নভেম্বর) সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় তিনটি ট্রলিতে প্রায় ৪০/৫০ জনের অধিক লোকজন দেশীয় ছোরা,লাঠি, লোহার রড,তীর-ধনুক এবং ধান কাটা কাস্তে নিয়ে নুরনবীর জমিতে প্রবেশ করে আবুবক্কর সিদ্দিকের নেতৃত্বে প্রায় ৪৯ শতাংশ জমির পাকা ধান কেটে ট্রলিতে তোলে এবং সিম ও কলাগাছ কেটে ফেলে । এ সময় নুরনবীর স্ত্রী ছকিনা বেগম (৫৩) তাদের বাঁধা দিতে গেলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়।
ভুক্তভোগী জানান, আমি একজন কৃষক। আবু বক্করের বাবার কাছ থেকে এই জমি আমি ক্রয় করি। আমার বিরুদ্ধে সে আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে আদালত তা খারিজ করে দেয়। মামলায় পরাজিত হয়ে আবু বক্কর সিদ্দিক, মোস্তাফিজার রহমান, শফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে তিন ট্রলি লোকজন উপজেলার বাহির থেকে ভাড়া করে এনে আমার জমি দখলের চেষ্টা করে এবং ধান চুরি করে সিম ও কলাগাছ কেটে ফেলে।
হাবিবুর রহমান, বদিয়ার রহমান, গনি মিয়া নামে স্থানীয়রা বলেন, আবু বক্করের নিজস্ব কোনো জমি নেই। জায়গা জমি সংক্রান্ত লোকজনকে কুপরামর্শ দিয়ে দাঙ্গা বাজিয়ে এলাকায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালায়। সে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে জমি পাবে বলে প্রথমে ভয় দেখিয়ে কিছু টাকা দাবি করে পরে টাকা না পেলে মামলা দিয়ে লোকজনকে হয়রানি করায়। পরে বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগীরা আপোষ মীমাংসা করে। তাকে সহযোগিতা করে এলাকার কিছু টাউট প্রকৃতির লোকজন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার লোকজনসহ আপনাদের সাথে সরাসরি কথা বলবো। এই মূহুর্তে কিছু বলতে চাই না।
মিঠাপুকুর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ঘটনার দিন আমি থানায় যোগদান করেছি। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নুর আলম ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।
এসআই নুর আলম জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি উল্টো নিজেকে বাঁচাতে কৌশলে ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে এসপি অফিসে অভিযোগ দিয়েছে। তিনি বলেন, লোকজন ভাড়া করে ধান, সিমগাছ এবং কলাগাছ কাঁটার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে।