ঢাকা ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
মির্জাপুরে কোরআন শরীফে পা দিয়ে অবমাননার দায়ে তাইজুল ইসলাম নামের যুবক গ্রেপ্তার বড়লেখায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গৃহ নির্মাণ প্রকল্প ২ বছর পাড় হলেও কাজের অগ্রগতি শূন্য ঢাকা ওয়াসা বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত কিশোরগঞ্জে ছয়না থেকে চৌদ্দশত বাইপাস সড়কের কাজ ধীর গতির কারণে জেলা শহর ও হাওরবাসীর দুর্ভোগ শার্শায় উলাশী জেলে পাড়ায় দুর্বৃত্তদের হামলা, কেড়ে নেওয়া হয়েছে জলাশয়ের ইজারার সিডিউল ছাতকে সুরমা ব্রীজের টোলপ্লাজা ভাংচুর, সমন্বয়কদের জরিমানা ক্ষেতলালে দুই ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ ময়মনসিংহে যাত্রীদের তোপের মুখে স্টেশন সুপার, হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বন্ধ করে চালকের পলায়ন আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সাংবাদিকদের মর্যাদাও নিশ্চিত হবে না: কামাল আহমেদ পাংশায় নানা কর্মসূচিতে নবাগত জেলা প্রশাসক ময়মনসিংহে বিভাগীয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ইসলামী ব্যাংক টেকেরহাট শাখা ভাঙ্গারহাট এজেন্ট শুভ উদ্বোধন

রাজস্ব পরিদর্শক খায়রুল হাসান নিপু’র বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব জোন-১০ এর রাজস্ব পরিদর্শক, পিপিআই’র প্রকল্পের অন্যতম লুটেরা ও কথিত সিবিএ নেতা রাজস্ব পরিদর্শক খায়রুল হাসান নিপুর কত সম্পদ? ক্ষমতার উৎস কি? তার বেপরোয়া দুর্নীতিতে বিস্মিত ওয়াসার সাধারণ কর্মচারিদের এটাই প্রশ্ন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওয়াসার ভিভিআইপি রাজস্ব পরিদর্শক খায়রুল হাসান নিপুর ঢাকার শহরে কি নেই? বহুতল বাড়ি, একাধিক ফ্লাট, প্লট, গাড়ি আর গ্রামের বাড়িতে প্রচুর জায়গা-জমি। দরিদ্র পরিবারের সন্তান রাজস্ব পরিদর্শক খায়রুল হাসান নিপু আজ শতকোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। ওয়াসায় আন্ডার বিলিং করে, মিটার টেম্পোয়ারিং ও অবৈধ সংযোগসহ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

অপরদিকে সরকারের বিপুল পরিমাণ অংকের টাকার রাজস্বের ক্ষতি হয়েছে। সদ্য বিলুপ্ত ঢাকা ওয়াসার পিপিআই’র প্রকল্পের (দুর্নীতির অভিযোগে দুদক কর্তৃক তিনজনকে আসামি করে ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে এখনো তদন্ত চলছে) ত্রাস ছিল নিপু। নিয়োগ, বদলী, সাইট বরাদ্দের অন্যতম নিয়ন্ত্রক ছিল নিপু। প্রকল্পের শেষ দিকে ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে যোগসাজস করে পিপিআই’র কোটি কোটি টাকা লোপাট করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব জোন-১০ এর ভিআইপি রাজস্ব পরিদর্শক ও ওয়াসার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনী খ্যাত নিপুর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজস্ব পরিদর্শক নিপু ইতিপূর্বে ঢাকা ওয়াসার ৬নং জোনে কর্মরত ছিলেন। উক্ত সাইটে তিনি ডাবল সাইট পরিচালনা করতেন। পুরানা পল্টন হোল্ডিং ১৭১, পুরানা পল্টন লাইন হোল্ডিং ১ হতে ২৬/৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, সেক্রেটারিয়েট রোড- এ তিনি বিলিং ও রাজস্ব আদায়ের কাজ করতেন। ব্যক্তিগত একাধিক সহকারী দিয়ে সাইট পরিচালনা করতেন এবং এখনো করেন। সাইট পরিদর্শনে তিনি কখনও যাননা। নিয়মিত অফিস করেন না। ওয়াসা ভবনে নেতাগিরি, চাদাবাজি ও তদবিরবাজিতে ব্যস্ত থাকেন। হাজিরা খাতায় একসাথে অনেক দিনের স্বাক্ষর একসাথে করেন। মাসোহারার মাধ্যমে রাজস্ব কর্মকর্তাকে তুষ্ট রাখেন।

তার নিয়োগকৃত প্রধান ব্যক্তিগত সহকারী এনায়েত সহ একাধিক ডুপলি কে দিয়ে ডিউটি করান। বহিরাগত দিয়ে কাজ করানো সম্পূর্ণ বেআইনী । ৫ জুলাই ২০১৮ ইং তারিখে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ এক আদেশের মাধ্যমে বহিরাগত নিয়োগ নিষিদ্ধ করে। যার স্মারক নং রা/৮২০২ প্র:রা:ক:-৫/৭/২০১৮ইং।

জানা গেছে, তার চাকুরীর বেতনের সাথে বর্তমান যে বিপুল পরিমাণ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ। ঢাকা শহরের মিরপুরে ২টি ফ্লাট ও মিরপুরে ৬ তলা ভবন রয়েছে। ঢাকায় রয়েছে একাধিক প্লট। বরিশার জেলার মুলাদি উপজেলার হত দরিদ্র পরিবারের সন্তান নিপু গ্রামের বাড়িতেও প্রচুর সম্পদ গড়ে তুলেছেন। ছেলে-মেয়েরা ব্যয়বহুল বেসরকারী কলেজ বিশ^বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করে।

রাজস্ব পরিদর্শক খায়রুল হাসান নিপু যতটা না সরকারী কর্মচারী তার চেয়ে বড় আওয়ামী লীগের নেতা। সাইটে ডিউটি না করে মুজিব কোর্ট গায়ে দিয়ে ওয়াসা ভবনে ঘুরাঘুরি করা ছিল তার রুটিন ওয়ার্ক। ভাব-ভঙ্গি, চলনে তিনি ছিলেন ওবায়দুল কাদেরের চেয়ে বড় আওয়ামীলীগার। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এখন আবার বিএনপি নেতাদের সংষ্পর্শে গিয়ে জাতীয়তাবাদী-লীগ সাজার চেষ্টা করছেন করছেন বলে জানা গেছে।

ওয়াসা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিপু শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক। চতুর নিপু আইনগত ঝামেলা এড়ানোর জন্যে নিজের স্ত্রী , ছেলে , মেয়ে ও আত্বীয় স্বজনের নামে সম্পদ গড়েছেন। নিপু ও তার পরিবারের সদস্যদের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সম্পদ ও ব্যাংক ব্যালেন্স তদন্ত করলেই প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্টগণ মনে করেন। তার সর্বসাকুল্যে বেতন ৩৫ হাজার টাকা। অথচ তার ব্যক্তিগত সহকারিদের বেতন ২৫ হাজার টাকা করে। তৃতীয় শ্রেণীর একজন কর্মচারির সম্পদ ও বিলাসী জীবন যাপন দেখে খোদ ওয়াসার কর্মকর্তরাও অবাক। খায়রুল হাসান নিপুর আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের তদন্তের জন্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার সাধারণ কর্মচারীগণ।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাপুরে কোরআন শরীফে পা দিয়ে অবমাননার দায়ে তাইজুল ইসলাম নামের যুবক গ্রেপ্তার

Verified by MonsterInsights

রাজস্ব পরিদর্শক খায়রুল হাসান নিপু’র বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট সময় ০৩:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব জোন-১০ এর রাজস্ব পরিদর্শক, পিপিআই’র প্রকল্পের অন্যতম লুটেরা ও কথিত সিবিএ নেতা রাজস্ব পরিদর্শক খায়রুল হাসান নিপুর কত সম্পদ? ক্ষমতার উৎস কি? তার বেপরোয়া দুর্নীতিতে বিস্মিত ওয়াসার সাধারণ কর্মচারিদের এটাই প্রশ্ন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওয়াসার ভিভিআইপি রাজস্ব পরিদর্শক খায়রুল হাসান নিপুর ঢাকার শহরে কি নেই? বহুতল বাড়ি, একাধিক ফ্লাট, প্লট, গাড়ি আর গ্রামের বাড়িতে প্রচুর জায়গা-জমি। দরিদ্র পরিবারের সন্তান রাজস্ব পরিদর্শক খায়রুল হাসান নিপু আজ শতকোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। ওয়াসায় আন্ডার বিলিং করে, মিটার টেম্পোয়ারিং ও অবৈধ সংযোগসহ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

অপরদিকে সরকারের বিপুল পরিমাণ অংকের টাকার রাজস্বের ক্ষতি হয়েছে। সদ্য বিলুপ্ত ঢাকা ওয়াসার পিপিআই’র প্রকল্পের (দুর্নীতির অভিযোগে দুদক কর্তৃক তিনজনকে আসামি করে ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে এখনো তদন্ত চলছে) ত্রাস ছিল নিপু। নিয়োগ, বদলী, সাইট বরাদ্দের অন্যতম নিয়ন্ত্রক ছিল নিপু। প্রকল্পের শেষ দিকে ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে যোগসাজস করে পিপিআই’র কোটি কোটি টাকা লোপাট করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব জোন-১০ এর ভিআইপি রাজস্ব পরিদর্শক ও ওয়াসার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনী খ্যাত নিপুর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজস্ব পরিদর্শক নিপু ইতিপূর্বে ঢাকা ওয়াসার ৬নং জোনে কর্মরত ছিলেন। উক্ত সাইটে তিনি ডাবল সাইট পরিচালনা করতেন। পুরানা পল্টন হোল্ডিং ১৭১, পুরানা পল্টন লাইন হোল্ডিং ১ হতে ২৬/৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, সেক্রেটারিয়েট রোড- এ তিনি বিলিং ও রাজস্ব আদায়ের কাজ করতেন। ব্যক্তিগত একাধিক সহকারী দিয়ে সাইট পরিচালনা করতেন এবং এখনো করেন। সাইট পরিদর্শনে তিনি কখনও যাননা। নিয়মিত অফিস করেন না। ওয়াসা ভবনে নেতাগিরি, চাদাবাজি ও তদবিরবাজিতে ব্যস্ত থাকেন। হাজিরা খাতায় একসাথে অনেক দিনের স্বাক্ষর একসাথে করেন। মাসোহারার মাধ্যমে রাজস্ব কর্মকর্তাকে তুষ্ট রাখেন।

তার নিয়োগকৃত প্রধান ব্যক্তিগত সহকারী এনায়েত সহ একাধিক ডুপলি কে দিয়ে ডিউটি করান। বহিরাগত দিয়ে কাজ করানো সম্পূর্ণ বেআইনী । ৫ জুলাই ২০১৮ ইং তারিখে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ এক আদেশের মাধ্যমে বহিরাগত নিয়োগ নিষিদ্ধ করে। যার স্মারক নং রা/৮২০২ প্র:রা:ক:-৫/৭/২০১৮ইং।

জানা গেছে, তার চাকুরীর বেতনের সাথে বর্তমান যে বিপুল পরিমাণ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ। ঢাকা শহরের মিরপুরে ২টি ফ্লাট ও মিরপুরে ৬ তলা ভবন রয়েছে। ঢাকায় রয়েছে একাধিক প্লট। বরিশার জেলার মুলাদি উপজেলার হত দরিদ্র পরিবারের সন্তান নিপু গ্রামের বাড়িতেও প্রচুর সম্পদ গড়ে তুলেছেন। ছেলে-মেয়েরা ব্যয়বহুল বেসরকারী কলেজ বিশ^বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করে।

রাজস্ব পরিদর্শক খায়রুল হাসান নিপু যতটা না সরকারী কর্মচারী তার চেয়ে বড় আওয়ামী লীগের নেতা। সাইটে ডিউটি না করে মুজিব কোর্ট গায়ে দিয়ে ওয়াসা ভবনে ঘুরাঘুরি করা ছিল তার রুটিন ওয়ার্ক। ভাব-ভঙ্গি, চলনে তিনি ছিলেন ওবায়দুল কাদেরের চেয়ে বড় আওয়ামীলীগার। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এখন আবার বিএনপি নেতাদের সংষ্পর্শে গিয়ে জাতীয়তাবাদী-লীগ সাজার চেষ্টা করছেন করছেন বলে জানা গেছে।

ওয়াসা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিপু শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক। চতুর নিপু আইনগত ঝামেলা এড়ানোর জন্যে নিজের স্ত্রী , ছেলে , মেয়ে ও আত্বীয় স্বজনের নামে সম্পদ গড়েছেন। নিপু ও তার পরিবারের সদস্যদের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সম্পদ ও ব্যাংক ব্যালেন্স তদন্ত করলেই প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্টগণ মনে করেন। তার সর্বসাকুল্যে বেতন ৩৫ হাজার টাকা। অথচ তার ব্যক্তিগত সহকারিদের বেতন ২৫ হাজার টাকা করে। তৃতীয় শ্রেণীর একজন কর্মচারির সম্পদ ও বিলাসী জীবন যাপন দেখে খোদ ওয়াসার কর্মকর্তরাও অবাক। খায়রুল হাসান নিপুর আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের তদন্তের জন্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার সাধারণ কর্মচারীগণ।