স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা শাখার দুই যুগ্ম সচিব মল্লিকা খাতুন ও মোহাম্মদ আবদুল কাদেরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী এক ঠিকাদার ব্যবসায়ীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা শাখার দুই যুগ্ম সচিব বেগম মল্লিকা খাতুন ও মোহাম্মদ আবদুল কাদেরের বিরুদ্ধে নিয়োগ, বদলি ও টেন্ডার বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এক ভুক্তভোগী ঠিকাদার ব্যবসায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. ওলিউজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, “দীর্ঘদিন ধরে একই মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করা এই কর্মকর্তারা নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যে জড়িত। এছাড়া, তারা বিভিন্ন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে টেন্ডার বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ করে আসছেন।”
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুগ্ম সচিব মল্লিকা খাতুন এবং তার সহযোগী মোহাম্মদ আবদুল কাদের দীর্ঘদিন ধরে একই পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত তেমন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে মল্লিকা খাতুন সকল অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে সৎ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দাবি করেন।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের দাবি জানিয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আব্দুল কালাম সম্প্রতি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, জনপ্রশাসন সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, মল্লিকা খাতুনের সিন্ডিকেটের কারণে মন্ত্রণালয়ের সংস্কার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য সেক্টরের উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।