ঢাকা ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
সংবাদ শিরোনামঃ
সাবেক মেয়র তাপসকে দুদকে তলব দুর্নীতির অভিযোগে ডিবি হারুন ও তার পরিবারকে দুদকে তলব দুর্নীতির অভিযোগে দুই যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যবিপ্রবিরএডি আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতন ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে লন্ডনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সাইফুজ্জামান রাজস্ব পরিদর্শক খায়রুল হাসান নিপু’র বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ মেয়র আতিকের এপিএস ফরিদের ভাই ফারুকের বিরুদ্ধে হুন্ডি ও অর্থপাচারের অভিযোগ মৌলভীবাজারের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, কাজ না করে বিল উত্তোলন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দুদকের জালে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম অবশেষে দুর্নীতিপরায়ন স্থানীয় সরকার সচিব আবু হেনা মোর্শেদ জামান ওএসডি

বগুড়ায় হত্যাচেষ্টা মামলায় ২ সাংবাদিকসহ আসামি ২১৪

  • বগুড়া প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ১১:৪৮:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কলেজছাত্র এম নুরুল্লাহ মন্ডলকে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে দুই সাংবাদিকসহ আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মোট ২১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি করেন কাহালু সরকারি কলেজের ছাত্র কেএম নুরুল্লাহ মন্ডলের বাবা কেএম সাইফুর রহমান। তিনি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নারিচাগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা কে এম সাইফুর রহমান মন্ডল। বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ মামলায় আসামি হওয়া দুই সাংবাদিক হলেন দৈনিক কালের কণ্ঠের ফটো সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ ঠান্ডা এবং গাজী টিভির বগুড়া প্রতিনিধি ও বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন মিন্টু।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মঞ্জুরুল আলম মোহন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা, সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজি জুয়েল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাইমুর রহমান তিতাস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায়, আওয়ামী লীগ নেতা সাগর কুমার রায়, শাহাদৎ আলাম ঝুনু, সুলতান মাহমুদ খান রনি প্রমুখ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের কামারগাড়ি এলাকায় মিছিল নিয়ে পৌঁছুলে উল্লেখিত আসামিরা বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে আমারে ছেলের কপাল লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে আমার ছেলে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (শজিমেক) নেওয়া হলে দুই দফা আপারেশন করে গুলি বের করা হয়। পরে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।

মামলার বাদী সাইফুর রহমান মন্ডল বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ন্যায়বিচারের আশায় সদর থানায় মামলা করেছি।’

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন বলেন, আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মাগুরায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী কাত্যানী পূজা

বগুড়ায় হত্যাচেষ্টা মামলায় ২ সাংবাদিকসহ আসামি ২১৪

আপডেট সময় ১১:৪৮:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কলেজছাত্র এম নুরুল্লাহ মন্ডলকে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে দুই সাংবাদিকসহ আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মোট ২১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি করেন কাহালু সরকারি কলেজের ছাত্র কেএম নুরুল্লাহ মন্ডলের বাবা কেএম সাইফুর রহমান। তিনি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নারিচাগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা কে এম সাইফুর রহমান মন্ডল। বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ মামলায় আসামি হওয়া দুই সাংবাদিক হলেন দৈনিক কালের কণ্ঠের ফটো সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ ঠান্ডা এবং গাজী টিভির বগুড়া প্রতিনিধি ও বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন মিন্টু।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মঞ্জুরুল আলম মোহন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা, সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজি জুয়েল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাইমুর রহমান তিতাস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায়, আওয়ামী লীগ নেতা সাগর কুমার রায়, শাহাদৎ আলাম ঝুনু, সুলতান মাহমুদ খান রনি প্রমুখ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের কামারগাড়ি এলাকায় মিছিল নিয়ে পৌঁছুলে উল্লেখিত আসামিরা বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে আমারে ছেলের কপাল লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে আমার ছেলে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (শজিমেক) নেওয়া হলে দুই দফা আপারেশন করে গুলি বের করা হয়। পরে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।

মামলার বাদী সাইফুর রহমান মন্ডল বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ন্যায়বিচারের আশায় সদর থানায় মামলা করেছি।’

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন বলেন, আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।