ঢাকা ০৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
IRIDP-3 প্রকল্পে সহকারী প্রকৌশলী মো: জাকির হোসেনের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ এলজিইডি সংশ্লিষ্ট কেউ অপরাধ করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ,প্রধান প্রকৌশলী রুটিন দায়িত্ব ,এলজিইডি মৌলভীবাজারে পুলিশের বিশেষ অভিযানে চোরাই সিএনজি উদ্ধার, গ্রেফতার-১ বাজিতপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত: তারুণ্যের একতায় শুদ্ধতার অঙ্গীকার খবর না দিয়েই হঠাৎ এফডিসিতে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের ভিজিট ইউরোপের ৮ দেশের ভিসা মিলবে ঢাকায় বাণিজ্য বন্ধ করলে দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে পারবে না ভারত: গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দিল্লির ৪৪টি স্কুলে বোমা হামলার হুমকি লন্ডনে শেখ হাসিনার ভার্চ্যুয়াল সমাবেশে সাবেক এমপি ও মন্ত্রীদের উপস্থিতি ২০০৭ সালের আগে জন্ম নিলে ভোটার হওয়ার আহ্বান ইসির ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিএনপি’র বিক্ষোভ সমাবেশ মাগুরায় থানার সামনেও দুর্ধর্ষ চুরি দুদক ও বিচার বিভাগ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল: আইন উপদেষ্টা বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শুরু

মাগুরায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী কাত্যানী পূজা

মাগুরায় জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী হৈমন্তী-কাত্যানী পূজা শুরু হয়েছে। এই উৎসবকে ঘিরে মাগুরা শহরে সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন গেট (ত্বরণ)। কাত্যানী পূজার দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা তরুণ ও প্যান্ডেলের মূল আকর্ষণ। যা দেখতে পার্শ্ববর্তী জেলাসহ দেশ-বিদেশ থেকেও আসেন আত্মীয়-স্বজনসহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

পূজা উদযাপন কমিটির সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এই উৎসব। আগামী সোমবার (১১ নভেম্বর) বিজয়া দশমী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই কাত্যানী পূজা। এ বছর জেলায় মোট ৮১ টি মণ্ডপ কাত্যানী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তার মধ্যে পৌরসভার ১৬ টি স্থানে পূজা হচ্ছে। আরো জানা যায়, বাংলার নবাব আলীবর্দী খাঁর সময় ১১৫০ সনে জগধাত্রী পূজা প্রথম উদযাপিত হয় মাগুরা সদর উপজেলার কান্দা বাশঁকোটা গ্রামে। সেই সময় থেকেই জেলায় এই কাত্যানী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

এই কাত্যানী পূজাকে কেন্দ্র করে জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গত বুধবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ওয়াহিদুল ইসলামসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন পূজা মন্দির পরিদর্শন করেন। এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ৪৪ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুর রহমান, ১৪ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এম এম জিল্লুর রহমানসহ অন্যান্যরা।

শহরের বিভিন্ন এলাকায় সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন মণ্ডপে প্রতিমাগুলো আকর্ষণীয় রঙে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শহরের প্রতিটি কাটতেনী মণ্ডপ সাজানো হয়েছে আকর্ষণীয় দৃষ্টিনন্দন গেট (ত্বরণ) একই সাথে তৈরী হয়েছে বিশাল বিশাল আলোকসজ্জার প্রবেশদ্বার। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে প্রতিটি প্যান্ডেলে আলোকসজ্জা চলবে রাতভর। পূজা প্যান্ডেলের এই আকর্ষণীয় আলোকসজ্জা দেখতে ইতোমধ্যে মাগুরায় আসতে শুরু করেছে আত্মীয়-স্বজনসহ দেশি-বিদেশি থেকে আসা ভক্তবৃন্দরা। এ পূজাকে কেন্দ্র করে প্রতিটি মন্দিরের সামনে বসেছে মেলা। এ মেলা মাসব্যাপী চলবে।

ভারত কলকাতা থেকে কাকদানি পূজা দেখতে আসা সুধীর মণ্ডল বলেন, মাগুরার কাটতানি এশিয়ার বিখ্যাত পূজা। এই পূজা দেখতে আমি প্রতিবছরই আত্মীয়র বাড়িতে আসি।

পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাসুদেব কুন্ডু জানান, কাত্যানী পূজা মাগুরা জেলায় শত বছরের ঐতিহ্য। প্রতি বছর এ উৎসব উপলক্ষে দেশ বিদেশ থেকে আসা লাখো মানুষের ঢল নামে। প্রশাসনের যে তৎপরতা দেখতেছি তাতে আশা রাখছি ভালো পরিবেশের মধ্য দিয়ে কাত্যানী পূজা সম্পন্ন হবে।

পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বিপিএম বলেন, কাত্যানী পূজাকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাথা হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর সাথে সেনাবাহিনী এবং প্রয়োজনে র‍্যাব থাকবে। আশা করি কাত্যানী পূজাকে কেন্দ্র করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। 

জনপ্রিয় সংবাদ

IRIDP-3 প্রকল্পে সহকারী প্রকৌশলী মো: জাকির হোসেনের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ

এলজিইডি সংশ্লিষ্ট কেউ অপরাধ করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ,প্রধান প্রকৌশলী রুটিন দায়িত্ব ,এলজিইডি

মৌলভীবাজারে পুলিশের বিশেষ অভিযানে চোরাই সিএনজি উদ্ধার, গ্রেফতার-১

মাগুরায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী কাত্যানী পূজা

আপডেট সময় ০৮:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

মাগুরায় জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী হৈমন্তী-কাত্যানী পূজা শুরু হয়েছে। এই উৎসবকে ঘিরে মাগুরা শহরে সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন গেট (ত্বরণ)। কাত্যানী পূজার দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা তরুণ ও প্যান্ডেলের মূল আকর্ষণ। যা দেখতে পার্শ্ববর্তী জেলাসহ দেশ-বিদেশ থেকেও আসেন আত্মীয়-স্বজনসহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

পূজা উদযাপন কমিটির সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এই উৎসব। আগামী সোমবার (১১ নভেম্বর) বিজয়া দশমী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই কাত্যানী পূজা। এ বছর জেলায় মোট ৮১ টি মণ্ডপ কাত্যানী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তার মধ্যে পৌরসভার ১৬ টি স্থানে পূজা হচ্ছে। আরো জানা যায়, বাংলার নবাব আলীবর্দী খাঁর সময় ১১৫০ সনে জগধাত্রী পূজা প্রথম উদযাপিত হয় মাগুরা সদর উপজেলার কান্দা বাশঁকোটা গ্রামে। সেই সময় থেকেই জেলায় এই কাত্যানী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

এই কাত্যানী পূজাকে কেন্দ্র করে জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গত বুধবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ওয়াহিদুল ইসলামসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন পূজা মন্দির পরিদর্শন করেন। এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ৪৪ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুর রহমান, ১৪ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এম এম জিল্লুর রহমানসহ অন্যান্যরা।

শহরের বিভিন্ন এলাকায় সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন মণ্ডপে প্রতিমাগুলো আকর্ষণীয় রঙে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শহরের প্রতিটি কাটতেনী মণ্ডপ সাজানো হয়েছে আকর্ষণীয় দৃষ্টিনন্দন গেট (ত্বরণ) একই সাথে তৈরী হয়েছে বিশাল বিশাল আলোকসজ্জার প্রবেশদ্বার। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে প্রতিটি প্যান্ডেলে আলোকসজ্জা চলবে রাতভর। পূজা প্যান্ডেলের এই আকর্ষণীয় আলোকসজ্জা দেখতে ইতোমধ্যে মাগুরায় আসতে শুরু করেছে আত্মীয়-স্বজনসহ দেশি-বিদেশি থেকে আসা ভক্তবৃন্দরা। এ পূজাকে কেন্দ্র করে প্রতিটি মন্দিরের সামনে বসেছে মেলা। এ মেলা মাসব্যাপী চলবে।

ভারত কলকাতা থেকে কাকদানি পূজা দেখতে আসা সুধীর মণ্ডল বলেন, মাগুরার কাটতানি এশিয়ার বিখ্যাত পূজা। এই পূজা দেখতে আমি প্রতিবছরই আত্মীয়র বাড়িতে আসি।

পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাসুদেব কুন্ডু জানান, কাত্যানী পূজা মাগুরা জেলায় শত বছরের ঐতিহ্য। প্রতি বছর এ উৎসব উপলক্ষে দেশ বিদেশ থেকে আসা লাখো মানুষের ঢল নামে। প্রশাসনের যে তৎপরতা দেখতেছি তাতে আশা রাখছি ভালো পরিবেশের মধ্য দিয়ে কাত্যানী পূজা সম্পন্ন হবে।

পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বিপিএম বলেন, কাত্যানী পূজাকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাথা হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর সাথে সেনাবাহিনী এবং প্রয়োজনে র‍্যাব থাকবে। আশা করি কাত্যানী পূজাকে কেন্দ্র করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না।