মাগুরায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত মেহেদী হাসান রাব্বির (৩৪) মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
সোমবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের বরুনাতৈল এলাকার পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
পরে মরদেহটি মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। মৃত্যুর ৩মাস ২৮দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুজাহিদুল ইসলাম। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই এহসানুল হকসহ থানার ভাতপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আইয়ুব আলী উপস্থিত ছিলেন।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, ওই ঘটনায় নিহতের ভাই ইনুস আলী মাগুরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর (মাগুরা-১) ও অ্যাড. বীরেন শিকদারসহ ১৩ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে। এছাড়াও অজ্ঞতনামা হিসাবে রয়েছে ১৫০ জনের নাম।
গত ৪ আগস্ট শহরের পানান্দলি এলাকায় দুই ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন বরুনাতৈল গ্রামের মৃত ময়েনউদ্দিনের ছেলে মেহেদী হাসান রাব্বি।
মাগুরা কোর্ট পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির বাংলাদেশ সময়কে জানান, রাব্বি হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনে মাগুরা অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলি আদালতে আবেদন করেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে ১০ অক্টোবর কবর থেকে লাশ উত্তোলনের নির্দেশটি দেন। ময়নাতদন্তের কাজ সম্পন্ন হলে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আবারো মরদেহ দাফন করা হবে।