ঢাকা ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা বিএনপিতে কোনো বেয়াদবের জায়গা থাকবে না: হীরা মানুষের কাজ করতে হবে হৃদয় উজার করে: মহসিন মিয়া মধু পাবনা জেল সুপারের মানবিকতায় কারাগার থেকে নিজ দেশে ফিরে গেলেন নেপালী যুবক পাবনায় শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত গ্রেপ্তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন: পিআইও আবুল কালাম আজাদ ও স্ত্রী-ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা মির্জাপুরে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করায় যুবক গ্রেপ্তার রমজানে ৫০০ জন রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ করছে “মানুষের পাশে আমরা, যশোর” বিজিবির অভিযানে ২০ লাখ টাকার মাদকসহ আটক ১০ বিবেকের জাগরণ: কখন আসবে আমাদের চেতনার আলো? রাজশাহীতে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, দুর্ভোগে রোগীরা বদলগাছীতে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উদযাপন

আওয়ামী লীগ নেতা কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে শফিকুল আলমের স্ট্যাটাস

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এএমএস কিবরিয়ার হত্যাকাণ্ড নিয়ে তাঁর ছেলে রেজা কিবরিয়া বরাবরই আওয়ামী লীগের দিকে অভিযোগ করে আসছেন। গত দুই দশক ধরে তিনি দাবি করে আসছেন, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা ও ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরাই এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জে এক দলীয় জনসভায় গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন রেজা কিবরিয়া। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান। তার মৃত্যুবার্ষিকীর পর গতকাল প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল আলম একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে শাহ কিবরিয়া হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায্য বিচারের দাবিতে রেজা কিবরিয়ার পরিবার কর্তৃক একাধিক বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, রেজা কিবরিয়া ও তার মা আসমা কিবরিয়ার আপত্তির কারণেই শেখ হাসিনা তিনবার এই হত্যা মামলার চার্জশিট পরিবর্তন করেছেন।

শফিকুল আলম তার স্ট্যাটাসে আরো বলেন, শাহ কিবরিয়া হত্যা মামলা ছিল তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের জন্য একটি ‘অ্যাসিড টেস্ট’।

তিনি দাবি করেন, কোনোভাবেই শেখ হাসিনা বিরোধী দলের কর্মীদের জন্য ন্যায্যবিচার নিশ্চিত করবেন না, কারণ তিনি নিজে স্বাভাবিকভাবে শুধুমাত্র তার পরিবারের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “শাহ কিবরিয়া ছিলেন ১৯৯৬-২০০১ সালে হাসিনার অর্থমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি, ১৯৯৮ সালে ভয়াবহ বন্যায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।”

এ সময় তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার পরিবারের বেদনা প্রভাবিত করে তার প্রতিদিনের বক্তৃতাগুলোর মধ্যে পারিবারিক হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরার ফলে মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতির ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

শফিকুল আলম আরও বলেন, পৃথিবীর আর কোনো নেতা তাঁর পরিবারের হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রতিদিন কথা বলেন না এবং অন্য কোনো দেশের নেতাও তার পরিবার হারানোর কথা এত বার্তায় প্রকাশ করেন না।

তিনি একে ‘পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার’ (পিটিএসডি) হিসেবে উল্লেখ করেন, যা তার শাসনক্ষমতা পরিচালনার জন্য একটি গুরুতর সমস্যা বলে মন্তব্য করেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা

Verified by MonsterInsights

আওয়ামী লীগ নেতা কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে শফিকুল আলমের স্ট্যাটাস

আপডেট সময় ১২:০৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এএমএস কিবরিয়ার হত্যাকাণ্ড নিয়ে তাঁর ছেলে রেজা কিবরিয়া বরাবরই আওয়ামী লীগের দিকে অভিযোগ করে আসছেন। গত দুই দশক ধরে তিনি দাবি করে আসছেন, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা ও ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরাই এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জে এক দলীয় জনসভায় গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন রেজা কিবরিয়া। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান। তার মৃত্যুবার্ষিকীর পর গতকাল প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল আলম একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে শাহ কিবরিয়া হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায্য বিচারের দাবিতে রেজা কিবরিয়ার পরিবার কর্তৃক একাধিক বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, রেজা কিবরিয়া ও তার মা আসমা কিবরিয়ার আপত্তির কারণেই শেখ হাসিনা তিনবার এই হত্যা মামলার চার্জশিট পরিবর্তন করেছেন।

শফিকুল আলম তার স্ট্যাটাসে আরো বলেন, শাহ কিবরিয়া হত্যা মামলা ছিল তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের জন্য একটি ‘অ্যাসিড টেস্ট’।

তিনি দাবি করেন, কোনোভাবেই শেখ হাসিনা বিরোধী দলের কর্মীদের জন্য ন্যায্যবিচার নিশ্চিত করবেন না, কারণ তিনি নিজে স্বাভাবিকভাবে শুধুমাত্র তার পরিবারের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “শাহ কিবরিয়া ছিলেন ১৯৯৬-২০০১ সালে হাসিনার অর্থমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি, ১৯৯৮ সালে ভয়াবহ বন্যায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।”

এ সময় তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার পরিবারের বেদনা প্রভাবিত করে তার প্রতিদিনের বক্তৃতাগুলোর মধ্যে পারিবারিক হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরার ফলে মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতির ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

শফিকুল আলম আরও বলেন, পৃথিবীর আর কোনো নেতা তাঁর পরিবারের হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রতিদিন কথা বলেন না এবং অন্য কোনো দেশের নেতাও তার পরিবার হারানোর কথা এত বার্তায় প্রকাশ করেন না।

তিনি একে ‘পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার’ (পিটিএসডি) হিসেবে উল্লেখ করেন, যা তার শাসনক্ষমতা পরিচালনার জন্য একটি গুরুতর সমস্যা বলে মন্তব্য করেন।