যশোর শহরে যানজট ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যশোর ট্রাফিক বিভাগ। জেলা ট্রাফিক পুলিশ নানা পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মাঠে নেমেছে। একইসাথে শহর ও শহরতলীর গুরুত্বপূর্ণ প্রায় ২১টি সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে চালকদের সচেতন করছে ট্রাফিক পুলিশ। এ সময় শহরের ভিতরে চলা অবৈধ ইজিবাইক, রিকশা, আইন অমান্যকারী মোটরসাইকেল চালকসহ বিভিন্নভাবে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রয়োজন হলে র্যাকার ব্যবহার করে অবৈধ গাড়ি জব্দ করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
যশোর পৌরসভা লাইসেন্স এর বাইরে অনেক রিকশা ও ইজিবাইক শহরতলী থেকে শহরে এসে যানজট সৃষ্টি করছে। অদক্ষ চালকদের খামখেয়ালিপনার কারণে প্রায় প্রতিনিয়তই শহরের কিছু কিছু জায়গায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ এসব যানজটমুক্ত করতে প্রায় হিমশিম খাচ্ছে। এমতাবস্থায় যশোর ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ যানজট নিরসন ও চলাচলকারী ইজিবাইক, রিকশা ও মোটরসাইকেল আরোহীদের সচেতন করতে মাঠে নেমেছে। একইসাথে পুলিশ অবৈধ যানবাহন আটক অভিযান পরিচালনা করছে যশোর ট্রাফিক বিভাগ।
ট্রাফিক অফিস সূত্রে জানা যায়, শহরকে যানজটমুক্ত করতে ট্রাফিক পুলিশ রমজান মাস ও ঈদকে সামনে রেখে মাসব্যাপী যানজট নিরসনের লক্ষ্যে অবৈধ ইজিবাইক ও রিক্সা আটক ও বেপরোয়া মোটরসাইকেল আরোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হবে।
সরেজমিনে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যশোরে ইজিবাইক ও অটোরিকশা চলাচলকারী চালকদের আইন-কানুন সম্পর্কে নূন্যতম কোন ধারনা নেই। অথচ তারা দিনের পর দিন রাস্তায় বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে।
এ বিষয়ে যশোর ট্রাফিক পুলিশের টিআই মাফুজুর রহমান বলেন, যশোরে অবৈধ যানবাহন ও আইন অমান্যকারী চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে পুলিশ সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। তবে রমজান মাসে যানজটে জনদুর্ভোগ যাতে না বাড়ে তার জন্য ট্রাফিক পুলিশ সব সময়ই মাঠে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ২-১ দিনের মধ্যে পুলিশ আরো কঠোর থেকে কঠোর ভূমিকা পালন করবে যানজট নিরোসনের জন্য। তিনি যশোর শহরবাসীকে ট্রাফিক পুলিশকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে আহ্বান জানিয়েছেন।