ঢাকা ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পিএসসিকে চাপ দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া ডিএসসিসি’র ব্যাটারির দরপত্রে অনিয়ম  :  কর্পোরেশনের ২০ লাখ টাকা গচ্চা এলজিইডির সদর দপ্তরসহ একযোগে ৩৬ অফিসে দুদকের অভিযান মৌলভীবাজারে ডাকাতির ঘটনায় ৫ডাকাতসহ গ্রেফতার-৭: অস্ত্র, গুলি, লুণ্ঠিত টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার রেললাইনের পাশে পড়েছিল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ নাগরপুরে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিরছা ব্রিকসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ইউএসটিসিতে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার ও ফ্রি স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে ইকবাল হত্যার বিচার ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন মৌলভীবাজার পৈলভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে দুর্নীতি: ঠিকাদারের সাথে এলজিইডি কর্মকর্তারা জড়িত জাতীয় আইন সহায়তা দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদী ভাঙনে ১৫টি ঘর বিলীন, দেড়শ পরিবার নিঃস্ব

টুঙ্গিপাড়ায় প্রবাসীর জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ

প্রবাসীর জমি জোরপূর্বক দখল করে মাটি কেটে নিচ্ছেন দখলদার

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় কাতার প্রবাসীর জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়ও প্রবাসী মিজানুর রহমানের জায়গা থেকে মাটি কেটে চলেছে প্রতিপক্ষরা।

অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার শ্রীরামকান্দি গ্রামের মৃত সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে রুহুল আমিন মোল্লা (৬৫) এবং তার দুই ছেলে সবুর মোল্লা ও কচি মোল্লা।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ১৪৪নং শ্রীরামকান্দি মৌজার এসএ ১৭৯৪ দাগের ১৯.৫০ শতাংশ জমির মালিক প্রবাসী মিজানুর রহমান। ১৯৯৪ সালে প্রতিবেশী আরোজ আলীর কাছে থেকে একই দাগে ১৯.৫০ শতাংশ জমি কিনে মোট ৩৯ শতাংশ জমির মালিক হন মিজানুর। কিন্তু ২০০০ সালে মিজানুরের টাকার প্রয়োজন হওয়ায় ২৮.৫০ শতাংশ জমি রহুল আমিন মোল্লার কাছে বিক্রি করেন। এছাড়া কয়েক বছর আগে মিজানুরের চাচা অন্য দাগ থেকে রুহুলের কাছে ১০ শতাংশ জমি বিক্রি করেন, কিন্তু রুহুল মোল্লা সেই দাগে ঘর না উঠিয়ে মিজানুরের জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে অস্থায়ী টিনের ঘর উঠিয়ে রাখে। বর্তমানে সেই জায়গা থেকে মাটি কেটে চলেছে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ রুহুল আমিন ও তার ছেলেরা।

এ বিষয়ে কাতার প্রবাসী মিজানুর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে অবস্থান করছি, কিন্তু টাকার প্রয়োজনে শ্রীরামকান্দি মৌজার এসএ ১৭৯৪ দাগের ২৮.৫০ শতাংশ জমি রহুলের কাছে বিক্রি করি। পরে সে আমার চাচার কাছ থেকে অন্য দাগে ১০ শতাংশ জমি কেনার পর থেকে আমার জায়গা দখলের পাঁয়তারা করছে। সেই বিষয়ে প্রতিবাদ করায় আমি দেশে ফিরলে আমাকে হামলা ও মামলার হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া এসব ভূমিদস্যুদের সম্পূর্ণ সাপোর্ট দিচ্ছে বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক কিছু নেতা। তারা আমার জায়গা দেখাশোনা করার লোককেও হত্যা-ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে। আর আমি আমার জীবনের নিরাপত্তায় দেশে ফিরতেও ভয় পাচ্ছি। এই ভূমিদস্যদের কাছ থেকে মুক্তি পেতে আমি সরকার ও প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, আমি যেখানে ঘর উঠিয়েছি ও মাটি কাটছি সেই জায়গাটা মিজানুর রহমানের ৩৩ বছর আগে ভোগদখলে ছিল, কিন্তু আমি তার চাচার কাছ থেকে জমি কেনার পর থেকে জায়গাটা আমি ভোগদখল করে আসছি। মিজান যেটুকু জায়গা পাবে সেটা অন্যপাশে রেখে দেওয়া হয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈনুল হক বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়ার পরে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

Verified by MonsterInsights

টুঙ্গিপাড়ায় প্রবাসীর জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৭:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় কাতার প্রবাসীর জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়ও প্রবাসী মিজানুর রহমানের জায়গা থেকে মাটি কেটে চলেছে প্রতিপক্ষরা।

অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার শ্রীরামকান্দি গ্রামের মৃত সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে রুহুল আমিন মোল্লা (৬৫) এবং তার দুই ছেলে সবুর মোল্লা ও কচি মোল্লা।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ১৪৪নং শ্রীরামকান্দি মৌজার এসএ ১৭৯৪ দাগের ১৯.৫০ শতাংশ জমির মালিক প্রবাসী মিজানুর রহমান। ১৯৯৪ সালে প্রতিবেশী আরোজ আলীর কাছে থেকে একই দাগে ১৯.৫০ শতাংশ জমি কিনে মোট ৩৯ শতাংশ জমির মালিক হন মিজানুর। কিন্তু ২০০০ সালে মিজানুরের টাকার প্রয়োজন হওয়ায় ২৮.৫০ শতাংশ জমি রহুল আমিন মোল্লার কাছে বিক্রি করেন। এছাড়া কয়েক বছর আগে মিজানুরের চাচা অন্য দাগ থেকে রুহুলের কাছে ১০ শতাংশ জমি বিক্রি করেন, কিন্তু রুহুল মোল্লা সেই দাগে ঘর না উঠিয়ে মিজানুরের জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে অস্থায়ী টিনের ঘর উঠিয়ে রাখে। বর্তমানে সেই জায়গা থেকে মাটি কেটে চলেছে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ রুহুল আমিন ও তার ছেলেরা।

এ বিষয়ে কাতার প্রবাসী মিজানুর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে অবস্থান করছি, কিন্তু টাকার প্রয়োজনে শ্রীরামকান্দি মৌজার এসএ ১৭৯৪ দাগের ২৮.৫০ শতাংশ জমি রহুলের কাছে বিক্রি করি। পরে সে আমার চাচার কাছ থেকে অন্য দাগে ১০ শতাংশ জমি কেনার পর থেকে আমার জায়গা দখলের পাঁয়তারা করছে। সেই বিষয়ে প্রতিবাদ করায় আমি দেশে ফিরলে আমাকে হামলা ও মামলার হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া এসব ভূমিদস্যুদের সম্পূর্ণ সাপোর্ট দিচ্ছে বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক কিছু নেতা। তারা আমার জায়গা দেখাশোনা করার লোককেও হত্যা-ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে। আর আমি আমার জীবনের নিরাপত্তায় দেশে ফিরতেও ভয় পাচ্ছি। এই ভূমিদস্যদের কাছ থেকে মুক্তি পেতে আমি সরকার ও প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, আমি যেখানে ঘর উঠিয়েছি ও মাটি কাটছি সেই জায়গাটা মিজানুর রহমানের ৩৩ বছর আগে ভোগদখলে ছিল, কিন্তু আমি তার চাচার কাছ থেকে জমি কেনার পর থেকে জায়গাটা আমি ভোগদখল করে আসছি। মিজান যেটুকু জায়গা পাবে সেটা অন্যপাশে রেখে দেওয়া হয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈনুল হক বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়ার পরে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।