ঢাকা ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পিএসসিকে চাপ দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া ডিএসসিসি’র ব্যাটারির দরপত্রে অনিয়ম  :  কর্পোরেশনের ২০ লাখ টাকা গচ্চা এলজিইডির সদর দপ্তরসহ একযোগে ৩৬ অফিসে দুদকের অভিযান মৌলভীবাজারে ডাকাতির ঘটনায় ৫ডাকাতসহ গ্রেফতার-৭: অস্ত্র, গুলি, লুণ্ঠিত টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার রেললাইনের পাশে পড়েছিল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ নাগরপুরে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিরছা ব্রিকসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ইউএসটিসিতে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার ও ফ্রি স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে ইকবাল হত্যার বিচার ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন মৌলভীবাজার পৈলভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে দুর্নীতি: ঠিকাদারের সাথে এলজিইডি কর্মকর্তারা জড়িত জাতীয় আইন সহায়তা দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদী ভাঙনে ১৫টি ঘর বিলীন, দেড়শ পরিবার নিঃস্ব

পাবনায় জামায়াতের অফিসে হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে

পাবনা সদর উপজেলায় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর

আধিপত্য বিস্তারের জেরে পাবনা সদর উপজেলায় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সময় একটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে জামায়াত সমর্থক কয়েকজনের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাইদ ও জাহিদুল ইসলামের ফেস্টুন।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা নাগাদ সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ী এলাকার তিন নাম্বার ওয়ার্ড জামায়াতের কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৭ জনকে অভিযুক্ত করে পাবনা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন- মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, পাবনা সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, পাবনা জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবির হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার আসামি উজ্জ্বল হোসেন সহকারে ৭ জন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে অনেককে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১০টার দিকে মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ জন অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী পিস্তল, বন্দুক, রামদা, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ি এলাকায় স্থানীয় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা একটি মুদিখানা দোকান ভাংচুর ও একটি অটোরিকশার গ্যারেজে ভাংচুর ও লুটপাট করে। পাশে থাকা একটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর তারা স্থানীয় বাসিন্দা, পাবনা পৌর জামায়াতের ইঞ্জিনিয়ার ফোরামের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ করিমসহ বেশ কয়েকজনের বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ আবু সাঈদ ও জাহিদুল ইসলামের ফেস্টুন পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা।

ভুক্তভোগী জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ করিমের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপি নেতা ইয়াকুব আলী, মাহমুদুল হাসান, আবির হোসেনসহ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতারা দখলদারিত্ব, আধিপত্য বিস্তার, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। তারই ধারাবাহিতকতায় আমাদের অফিসে হামলা-ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণ করেছে। সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী বলেন, এ ঘটনায় আমি মোটেও জড়িত নই। যখন এ ঘটনা ঘটে তখন থানার ওসি সাহেবের ফোন পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। এর বেশি কিছু নয়।

পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, জমিজমা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি ঝামেলা চলে আসছিল কয়েকদিন ধরে। শনিবার রাতে দোকান ও অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পাইনি (রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত)। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

Verified by MonsterInsights

পাবনায় জামায়াতের অফিসে হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ০৭:২৬:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আধিপত্য বিস্তারের জেরে পাবনা সদর উপজেলায় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সময় একটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে জামায়াত সমর্থক কয়েকজনের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাইদ ও জাহিদুল ইসলামের ফেস্টুন।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা নাগাদ সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ী এলাকার তিন নাম্বার ওয়ার্ড জামায়াতের কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৭ জনকে অভিযুক্ত করে পাবনা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন- মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, পাবনা সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, পাবনা জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবির হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার আসামি উজ্জ্বল হোসেন সহকারে ৭ জন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে অনেককে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১০টার দিকে মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ জন অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী পিস্তল, বন্দুক, রামদা, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ি এলাকায় স্থানীয় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা একটি মুদিখানা দোকান ভাংচুর ও একটি অটোরিকশার গ্যারেজে ভাংচুর ও লুটপাট করে। পাশে থাকা একটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর তারা স্থানীয় বাসিন্দা, পাবনা পৌর জামায়াতের ইঞ্জিনিয়ার ফোরামের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ করিমসহ বেশ কয়েকজনের বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ আবু সাঈদ ও জাহিদুল ইসলামের ফেস্টুন পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা।

ভুক্তভোগী জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ করিমের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপি নেতা ইয়াকুব আলী, মাহমুদুল হাসান, আবির হোসেনসহ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতারা দখলদারিত্ব, আধিপত্য বিস্তার, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। তারই ধারাবাহিতকতায় আমাদের অফিসে হামলা-ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণ করেছে। সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী বলেন, এ ঘটনায় আমি মোটেও জড়িত নই। যখন এ ঘটনা ঘটে তখন থানার ওসি সাহেবের ফোন পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। এর বেশি কিছু নয়।

পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, জমিজমা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি ঝামেলা চলে আসছিল কয়েকদিন ধরে। শনিবার রাতে দোকান ও অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পাইনি (রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত)। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।